আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মার্কিন সৈন্যদের হাতে বন্দী হওয়া একজন ইরাকী মহিলার মর্মসপশর্ী কাহিনী



[গাঢ়]ইরাকে ইঙ্গ-মার্কিন আগ্রাসনের পর লেবাননী বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক নাজিম সালাম ইরাক যান। সেখানে তিনি 4 মাস অবস্থানকালে মার্কিন বাহিনীর হাতে আটক ও কারাবন্দী থাকা এক মহিলার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। উচ্চ শিক্ষিত ঐ ইরাকী মহিলা সরকারের একটি দফতরের পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। 2003 সালের 14 সেপ্টেম্বর মহিলাকে মার্কিন সৈন্যরা আটক করার পর কুখ্যাত আবু গারিব কারাগারসহ ইরাকের বিভিণ্ন কারাগারে 4 মাস বন্দী রাখার সময় তার উপর যে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হয়ূ তারই মর্মসপশর্ী কাহিনী এই সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছেন। এছাড়া অন্যান্য বন্দীদের উপর নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্রও তিনি বর্ণনা করেছেন।

মার্কিন সৈন্যরা আবার তাকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালাতে পারে এই ভয়ে মহিলা তার প্রকক্সত নাম প্রকাশ না করে নিজেকে উমমে তাহা নামে পরিচয় দিয়েছেন। এখানে তার কথামালা তুলে ধরা হল। [/গাঢ়] আমি বাকুবায় বসবাস করি এবং সেখানে একটি সরকারী দফতরে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলাম। 2003 সালের 14 সেপ্টেম্বর সকালের দিকে আমি বাড়ীতে থাকা অবস্থাতেই একটি টেলিফোন পাই। মার্কিন বাহিনীর পক্ষে কাজ করা একজন ইরাকী দোভাষী আমাকে টেলিফোনে জানান যে মার্কিন সৈন্যরা আমার সাথে কিছু কথা বলতে চায় এবং সেদিনই আমাকে গভর্নরের অফিসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

ঐ টেলিফোনকারী আমাকে বলে যে সৈন্যরা কিছু বিষয়ে আমার কাছ থেকে তথ্য জানতে চায় এবং এ জন্য মাত্র 5 মিনিট কথা বলেই সৈন্যরা আমাকে বিদায় দেবে। কিন্তু আমি সেখানে যাওয়ার সাথে সাথে মার্কিন সৈন্যরা আমার হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে ফেলে এবং আমার মাথায় অস্ত্র তাক করে ধরে রাখে। আমি একজন মহিলা সৈন্যকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন তারা আমাকে এভাবে আটক করছে? আমার অপরাধ কি? তখন সৈন্যটি আমাকে বললো যে আমরা তোমাকে ইবেল ফানাস বিমানবন্দরে নিয়ে যাচ্ছি এবং সেখানেই তোমাকে গ্রেফতারের কারণ জানানো হবে। একথা বলেই মহিলা সৈন্যটি আমাকে টেনে-হেঁচড়ে নিয়ে একটি জীপে তুললো এবং গাড়ী বিমানবন্দরের দিকে ছুটে চললো। বিমানবন্দরে নিয়ে গাড়ী থেকে নামিয়ে ঐ মহিলা সৈন্যটি পুরুষ সৈন্যদের সামনেই অত্যন্ত বিশ্রী অশালীনভাবে আমার শরীর তলাশী করলো।

এরপর মহিলার সাথে পুরুষ সৈন্যরাও আমাকে কদর্য ভাষায় গালাগাল দিলো এবং টেনে-হেঁচড়ে বিমানবন্দরের একটি কক্ষের পুরনো বাথরুমের ভিতরে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো। এরপর তারা একটি কম্বল আমার দিকে ছুড়ে দিয়ে দরজা ব করে দিলো। বাথরুমটিতে 4টি টয়লেট এবং এগুলো ময়লায় ভর্তি ছিল। তেলাপোকা ও অন্যান্য পোকামাকড় ছিল অসংখ্য। এছাড়া প্রচণ্ড গরম ছিল বাথরুমটি।

দুর্গ েআমার বমি হতে লাগলো। টয়লেটগুলো সমপূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়ায় আমাকে বাইরের একটি টয়লেটে যেতে হতো। কেবল মাত্র ঐ সময়েই আমাকে রুমের বাইরে বের করা হতো। কিন্তু অত্যন্ত লজ্জার বিষয় হচ্ছে এখানে আটক পুরুষ বন্দীদের সামনেই আমাকে প্রস্রাব-পায়খানা করতে বাধ্য করা হতো। একজন মুসলমান মহিলার জীবনে এরচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আর কি হতে পারে।

এভাবেই 22টি দিন আমাকে এই বাথরুমে আটক রাখা হয়। এই 22 দিনের মধ্যে প্রায়ই আমাকে টয়লেট পরিষ্কার করতে বাধ্য করা হতো পুরুষ বন্দীদের সামনেই। আমি বাথরুমের মেঝেতে ঘুমাতাম। অবশ্য ঘুমাতাম না বলে শুয়ে থাকতাম বলাই ভাল। কারণ কক্ষটি ছিল খুবই নোংরা এবং গরম।

চারদিকে কেবল পোকামাকড়। এরমধ্যে ঘুম আসে কিভাবে। তাছাড়া আমার 4টি ছেলেমেয়ে রেখে এসেছি এদের মধ্যে ছোট দুূটির দেখাশোনা কে করছে সে চিন্তাতেই আমার সারাক্ষণ চলে যেতো। সারাক্ষণই আমি অস্থির হয়ে থাকতাম। এছাড়া মারাত্মক দুর্গন্ধের কারণে প্রায় সময়ই আমার বমি হতো।

ফলে আমার স্বাস্থ্য একেবারে ভেঙে পড়েছিল। আমাকে সৈন্যদের পরিত্যক্ত ও বাসী খাবার দেয়া হতো। পানি দেয়া হতো বাইরের রোদে রাখা ব্যারেল থেকে। ফলে পানি খুব গরম থাকতো। আমি প্রায় কিছুই খেতে পারতাম না।

22টি দিনের বেশীর ভাগই আমার কেটেছে না খেয়ে। আমার স্বাস্থ্যের এতই অবনতি ঘটেছে যে সৈন্যরা আমাকে তাদের ক্লিনিকে নিয়ে সামান্য কিছু ওষুধপত্র খাওয়ায়। আমাকে আটকের 3-4 দিন পর বিমানবন্দরের সেই বাথরুমে একজন মার্কিন সৈন্য আসে যে নিজকে স্কপিয়ন নামে পরিচয় দেয়। তার সাথে একজন লেবাননী দোভাষীও ছিল। তারা আমাকে অনেকগুলো প্রশ্ন করে।

আমি শিয়া না সুণ্নী , আমি বাথপার্টির সদস্য কিনা। আমার নাম কি ইত্যাদি সব প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত ঐ স্কপিয়ন আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনে যে আমি নাকি আমার বাড়ীতে বাথপার্টির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরকে বৈঠক করার সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু আমি তাদের অভিযোগের প্রতিবাদ করে জানাই যে বাথপার্টির সাথে আমার কোনদিনই সমপর্ক ছিল না এবং সাদ্দাম আমার এক আত্মীয়কে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা আমার কথায় কোনই গুরুত্ব দিলো না।

আমার ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা কাগজপত্রও তারা দেখতে চাইল না। 23তম দিনে তারা আমাকে তিকরিতের একটি ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে পেঁৗছার পর টেনে হেঁচড়ে গাড়ী থেকে নামিয়ে আমাদের কয়েকজনকে অসহ্য রোদের মধ্যে রাখা হয়। এরপর তারা একটি দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে মাথার উপর হাত তুলে রেখে একঘন্টা নীলডাউন করে রাখে আমাকে। এ সময় তারা আমার কানের কাছে বার বার চিৎকার করে বলতে থাকে।

খবরদার নড়বে না। এরপর আমাকে উঠে আসার নির্দেশ দেয় সৈন্যরা এবং উঠে তাদের কাছে যাওয়ার সাথে সাথে শিকল দিয়ে আমার হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং 11 দিন এভাবেই শিকলবন্দী করে রাখে। আমার সাথে একজন মহিলা ও 10 জন ছেলেমেয়ে ছিল এই ছেলেমেয়েদের বয়স ছিল 10 থেকে 14 বছরের মধ্যে। আমাদেরকে একটি তাঁবুর মধ্যে রাখা হয় এবং তাঁবুর চারপাশে ছিল বিদু্যতায়িত কাঁটাতারের বেড়া। তিকরিতে থাকার সময় মার্কিন সৈন্যরা আমাকে মলমূত্র ভর্তি একটি ময়লা বালতি থেকে চালুনি দিয়ে ছেকে মূত্র থেকে মল আলাদা করতে বাধ্য করতো।

এছাড়া ভারী ঐ বালতিটি আমাকে 100 গজ দূরে তুলে নিয়ে যেতে হতো তাদের নির্দেশ মতো। এরপর সৈন্যরা এতে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিতো। আগুন ও ধোয়ার পাশে আমাকে আধঘস্বা দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। দুর্বলতার কারণে মলমূত্র ভর্তি ভারী বালতি তুলে একশূ গজ দূরে নিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব ছিল। আমি করজোড়ে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি এ কাজ থেকে আমাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।

কিন্তু তারা আমার অনুরোধে কর্ণপাত করেনি বরং আরো বেশী করে আমাকে দিয়ে এ কাজ করিয়েছে। একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়লে আমাকে স্যালাইন দিয়েছে। এ সময় ডাক্তার হাত-পায়ের শিকল খুলতে চাইলেও সৈন্যরা তাতে রাজী হয়নি। 15 অক্টোবর আমাকে তিকরিত থেকে আবু গারিব কারগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কুখ্যাত এই কারাগারের তৃতীয় তলার একটি সেলে আটকে রাখা হয়।

আমার স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটলে আমাকে কারাগারের ক্লিনিকে 8 দিন রাখা হয়েছিল। এছাড়া এই কারাগারে আমার 3টি মাসের অবশিষ্ট সময় এই সেলেই আমাকে শিকলবন্দী করে রাখা হয়। আমি যখন মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন জয়নার নামে একজন কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সৈন্য আমাকে ক্লিনিকে নিয়ে যেতে অস্বীকার করে। শেষ পর্যন্ত কয়েকজন ইরাকী সমাজকমর্ী আমাকে কারাগারের ক্লিনিকে নিয়ে যায়। জয়নার প্রতিদিন ভোর 4টার সময় একটা রড হাতে এসে আমাদের সেলের লোহার গরাদে জোরে শব্দ করে পেটাতো এবং প্রত্যেক কয়েদিকে 'গুড মর্নিং স্যারূ বলতে বাধ্য করতো।

সৈন্যরা একদিন এক মহিলাকে আমাদের সেলে নিয়ে আসে। মহিলার সঙ্গে তার ছোট ছেলে ছিল। সাদ্দামের আত্মীয়কে বিয়ে করার অপরাধে এই মহিলাকে ধরে আনা হয় এবং তার উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। সৈন্যরা তাকে একটি কাঠের খাঁচায় বন্দী করে রাখতো এবং বের করে নির্দয়ভাবে পেটাতো। তাকে যখন আমাদের সেলে আনা হয় তখনও তার ঠোঁট কেটে রক্ত ঝরছিল।

আমাদের সেলের সামনে একটি কক্ষ ছিল সেখানে মার্কিন সৈন্যরা প্রতিদিনই একজন করে বন্দীকে এনে মেঝেতে ফেলে তার উপর বরফের বস্তা চাপা দেয়া হতো। সারারাতে ঠাণ্ডায় জমে মৃত প্রায় হয়ে গেলে সকালে সৈন্যরা তাকে টেনে-হিঁচড়ে ক্লিনিকে নিয়ে যেতো। এভাবেই চলতো প্রতিদিন একেক বন্দীর উপর এই নির্যাতন। নভেম্বর মাসে কিছুবন্দী মার্কিন সৈন্যদের নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে বিদ্রোহ করে। ফলে সৈন্যরা 14 জন বন্দীকে উলঙ্গ করে করিডোরে দাঁড় করিয়ে রাখে।

আমার সেল থেকে এ ঘটনা সপষ্টই দেখা যাচ্ছিল। সৈন্যরা তাদেরকে এক পায়ের উপর দাঁড় করিয়ে রাখে এবং পিছন থেকে জোরে লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়। পশুর চেয়েওঅধম এক মহিলা সৈন্য এসব উলঙ্গ বন্দীদের চারপাশে নেচে নেচে তাদের ছবি তুলছিল এবং হাতে রাবারের গ্লাভস পরে বন্দীদের পুরুষাঙ্গে আঘাত করছিল। অন্যান্য সৈন্যরাও এ সময় বন্দীদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। বন্দীদের আর্তচিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে।

আমার সেল থেকে সবই দেখা যাচ্ছিল। তাদের আর্তচিৎকার যেন এখনো আমার কানে বাজে। নির্যাতনের দৃশ্যগুলো যেন চোখের সামনে ভাসছে। বন্দীদেরকে ভেড়া গরু ও গাধার ডাক অনুকরণ করতে হতো জোরে জোরে এবং সৈন্যরা এ সময় হাসতো। বন্দীদের সেলে আলোর স্বল্পতার কারণে তারা বাইরে এসে কোরআন শরীফ পড়তো।

কিন্তু সৈন্যরা এটা সহ্য করতো না। তারা বন্দীদের কখনো হাতে পেটাত আবার কখনো লাথি দিয়ে ফেলে দিতো। সৈন্যরা আরবীতে লেখা বাইবেল দিতো বন্দীদের কাছে। বিশেষ করে অল্প বয়স্ক বন্দীদের মধ্যে এ ধরনের বাইবেল সরবরাহ করতো তারা এবং এগুলো পড়তে বাধ্য করতো। নভেম্বরের 11 তারিখে আমাকে আবু গারিব থেকে বাগদাদের ট্রেসফিত ক্যামপে নিয়ে যাওয়া হয়।

এটা বাগদাদের অলিমপিক সটেডিয়ামের কাছে অবস্থিত ছিল। এখানে আমাকে 2 মাস রাখা হয় এবং এ বছরের 10 জানুয়ারী আমাকে ছেড়ে দেয়া হয় এই ক্যামপ থেকে। এই চার মাসে কোন কারাগারেই আমাকে একটি দিনও গোসল করতে ও কাপড় বদলাতে দেয়া হয়নি। 10 জানুয়ারী আমি শূন্যহাতে কারাগার থেকে বেরিয়ে বাগদাদের রাস্তায় এসে দাঁড়াই। আমার পরনে ছিল গ্রেফতারের দিনের সেই কাপড়।

আমার ভাগ্য ভাল ছিল যে আমি বাকুবায় যাওয়ার একটি ট্যাক্সি পেয়ে যাই। সেখানে পেঁৗছার পর পরিচিত লোকজন ও বু-বাবরা ট্যাক্সি ভাড়া পরিশোধ করে দেয়। সেখানে গিয়ে আমি জানতে পারি যে আমার 10 বছরের ছেলে ও 14 বছরের মেয়ে শহরের পাশের গ্রামে আমার এক আত্মীয় বাড়ীতে আছে। আমি বন্দী হবার পর তারাই ওদের দেখাশোনা করছে। ওদেরকে দেখার জন্য আমার বুকটা যেন ফেটে যেতে লাগলো।

কিন্তু আমার পায়ের তলার মাটি সরে যেতে লাগলো আমার বড় দুই সন্তানের কথা শোনে। 20 বছরের ছেলেটি একটি গ্যাং-এর সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং আমার বাড়ীটিও বেচে দিয়েছে। অন্যদিকে 21 বছরের মেয়েটি এক চোরকে বিয়ে করেছে। এসব শুনে আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। আমার পুরো জীবনটাই বরবাদ হয়ে গেছে।

এর ক্ষতিপূরণ কোনদিনই হবে না। আমার বয়স এখন 50 বছর। অনেক পরিশ্রমে তিল তিল করে আমি এই সংসার গড়েছিলাম। প্রবল এক ঘূর্ণিঝড়ে মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু তছনছ হয়ে গেল। আজ নতুন করে জীবন করবো কিভাবে? আমার বর্তমানও নেই ভবিষ্যৎও নেই।

আমি আজ ঝড়ে উপড়ে যাওয়া এক বৃক্ষ যার একটি শিকড়ও মাটিতে প্রোথিত নেই। আমেরিকার দেয়া স্বাধীনতার ফল আমি এভাবেই পেলাম।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.