জীবন যখন ব্যস্ত যেমন দুই পরতা
বাংলা মিউজিকে নতুন ডিভা মিলা । তার গানে আছে নতুন দিনের ডাক । আসুন আমরা মিলা সম্পর্কে জেনে নিই ।
বাংলা গানে আধুনিকায়ন ধরা দিয়েছে। গায়কদের পাশাপাশি গায়িকাদের গানের ক্ষেত্রেও কথাটা এখন স্পষ্ট।
আধুনিক সংগীত জগতে পপ-রকের সঙ্গে শুরু হলো ফিউশন। গায়ক হিসেবে এ ধারায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিসত্দার করে চলেছেন হাবিব। তবে গায়িকাদের পালা শুরু হয়ে গেছে। পপ-ফিউশনে আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে হাজির হচ্ছেন মিলা। পুরো নাম মিলা ইসলাম।
বাজারে আসার প্রহর গুনছে মিলার প্রথম একক অ্যালবাম 'ফিরে দেখা'। অনাগত সময়ের বুকে পপ ডিভা হওয়ার সম্ভাবনার নাম মিলা। বিভিন্ন ধারায় মিউজিকের সংমিশ্রণ ঘটেছে 'ফিরে দেখা' অ্যালবামে। প্রজন্মের একজন হিসেবে মিলাও চেয়েছেন সময়কে তার গানে তুলে ধরতে। পপ-ফিউশনে মেলোডির যেমন সমাহার ঘটেছে তেমনি অ্যারেঞ্জমেন্টে আনা হয়েছে ভিন্নতা।
র্যাপের সংযোজন অ্যালবামের আরেকটি প্লাস পয়েন্ট। বাপ্পা মজুমদার, বালাম, ফুয়াদ ইবনে রাবি্ব, পঙ্কজ, নাজীম মোহাম্মদ গানের সুর করেছেন। মিলা জন্মের পরই দেখেছেন তার চারপাশ সুরের মোহনীয়তায় ভরে রয়েছে। মা স্বপ্না ইসলাম গান করতেন। গানটা তাই রক্তের মধ্যেই প্রবাহিত।
বাবা সরকারি চাকুরে হওয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের অনেক জায়গায়। খুব ছোটবেলায় রাজশাহীতে থাকতেন তিনি। মায়ের হাতেই গানের প্রথম হাতেখড়ি মিলার। কথায় আছে ঘরের মানুষ দিয়ে গুরু বিদ্যার কাজ চলে না। মিলার জন্য নতুন গুরু ঠিক করা হলো মঞ্জুশ্রী রায়কে।
তার কাছে শিখলেন বেশকিছু দিন। আবার বাবার চাকরি স্থান বদল হলো চট্টগ্রামে। পুরো পরিবার ছুটল সেখানে। জায়গার বদল হলেও সাধনার জায়গা বদল হয়নি। গানটা চালিয়ে গেলেন মিলা।
নতুন ওসত্দাদ অশোক চৌধুরীর কাছে শুরু হলো দীক্ষা। অনুপ্রেরণা দিয়েছেন মা। বাবার চাকরিটা আর্মিতে বলে আর্মিদের শো মানেই মিলার গান। ঢাকায় চলে আসার পর দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করে। মিলা তার গানের ব্যাপারে অনেক বেশি সিরিয়াস হন।
অ্যালবামই একজন শিল্পীর প্রথম আইডেনটিটি- মিলার তা-ই ধারণা। হঠাৎ করেই তার সুরের জগৎটা আরো বিসত্দৃত হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হলো। মিলার বাবা খুব একটা চাইতেন না তার মেয়ে গানকে পেশা হিসেবে নিক। কিন্তু বন্ধুদের ইচ্ছা আর মিলার উদ্যোগের কাছে পরাসত্দ হলো সব। গানকেই ঠিকানা হিসেবে বেছে নিলেন মিলা।
এরপর যথারীতি শুরু হলো অ্যালবামের কাজ। প্রায় আড়াই বছর ধরে মিলা তার 'ফিরে দেখা' অ্যালবামের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মিলার কথায়, 'সব ধরনের ভাল কিছু গান রয়েছে। সবাই যেন উপভোগ করতে পারেন এমন গানই করেছি'। নিজের গাওয়া 'ছেঁড়া পাল' গানটা তার খুব ভাল লাগে।
এ গানে হিন্দি র্যাপ গাওয়া হয়েছে, তবে তা খুব স্বল্প সময়ের জন্যই। সমালোচনার ভয় নিয়ে কাজটা করেছেন; কিন্তু বাদও দিতে পারেননি, জিনিসটা ম্যাচ করেছিল খুব। সংগীতের পথে উত্তাল হওয়ার মতোই বয়ে যেতে যান মিলা। সে কাজটা খুব সহজ হয়ে যাবে 'ফিরে দেখা' অ্যালবামটি সফল হলে। মিলার আত্মবিশ্বাসের পাহাড়টা আকাশছোঁয়া।
12 জুলাই সংগীতের ব্যানারে 'ফিরে দেখা' অ্যালবাম প্রকাশ পাবে বাজারে। ছেঁড়া পালে আউলা বাতাসটা সুরে সুরে ছুঁয়ে যাবে হৃদয় থেকে হৃদয়। মিলার চোখে সুরের গর্জন। সোনালী দিনের হাতছানিতে মিলাও ছুটে চলেছেন ছেঁড়া পালে উতাল হাওয়ার মতো।
মোর্শেদ নাসের টিটু
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।