নারীর প্রশংসায়
আমার সবসময় মনে হয়েছে, পুরুষ নয়, নারীরাই শক্তিশালী ও উন্নততর প্রজাতি। তার ধৈর্যশক্তি অনেক বেশি, সে অধিকতর যন্ত্রণা, বঞ্চনা, পীড়ন ইত্যাদি সহ্য করতে পারে। তবে তার শারীরিক দমই কেবল তাকে উন্নত করেনি। তার আয়ত্তে রয়েছে প্রবল বুদ্ধিমত্তা, যাকে পুরুষের মানদণ্ডে মাপা যাবে না। এর সঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক অন্বেষা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির কোনো সম্পর্ক নেই।
তার বুদ্ধিমত্তা প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ যা স্বভাবজাত ও সজ্ঞাপ্রসূত। প্রকৃতির প্রয়োজন ও ছন্দের সঙ্গে সে এক সুরে বাঁধা। পুরুষ যেখানে তার পারিপার্শ্বের পৃথিবীকে নিজের প্রয়োজন ও পছন্দের আদলে আকার দিতে চায়, নারী সেখানে তার প্রয়োজনের সঙ্গে সে যে পৃথিবীতে বাস করে সেই পৃথিবীর প্রয়োজনকে সমন্বিত করে নেয়। জীবনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি খুব প্রাকৃতিক, বাস্তবসম্মত ও শান্তিপূর্ণ, যেখানে পুরুষ খুব যান্ত্রিক ও যুদ্ধংদেহী।
আমি মনে করি, পৃথিবীটা নারীদের দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত।
তাহলে সেটা হতো সেই পৃথিবীÑ এক পৃথিবীÑ যার স্বপ্ন দেখি আমি প্রায়শই। কোনো নারী, পুরুষ কিংবা শিশু কি, ধরা যাক, কোনো ইহুদি রাষ্ট্রনায়িকার শাসনে ক্ষুধার্ত থাকতে পারে?
নারীরা পুরুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক। সে তাকে একেবারে দোলনা থেকেই জীবনের ও ভালোবাসার সবচেয়ে বড় শিক্ষা দিয়ে থাকে। সে সমগ্র মানবজাতির অস্তিত্ব, আলোকপ্রাপ্তির এবং ভবিষ্যতের জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার টুপি খুলে নিই এবং তার সামনে নতজানু হই।
বি. দ্র. আমার কাছে ভালো লাগা লেখাটি সবার পড়ার জন্যে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।