আমার "কত অজানা রে" সিরিজের সব গুলো পোষ্ট সংগ্রহে থাকা বই, গুগোল মামা ও বিভিন্ন সাইট থেকে অনুবাদ করা, তবে কোন ভাবেই কপি-পেষ্ট নয়। জানার জন্য পড়ন, ভুল হলে সঠিকটি বলার দায়িত্ব আপনাদের। আনন্দের সাথে পড়ুন। আমার ব্লগ কেচাল মুক্ত।
ট্রেজার ! ট্রেজার !! ট্রেজার !!!
আজ বলবো কিছু হারিয়ে যাওয়া ট্রেজার শিপের গল্প যা সমুদ্রের নিচে অপেক্ষায় আছে আপনাদের, কোন ভাগ্যবান যদি পেয়ে যান তাহলে কেল্লা ফতে।
আর কষ্ট করে খেতে হবে না, বসে বসে খাবেন। আপনিও হয়ে যেতে পারেন এ যুগের একজন রাজা। রাজার ভান্ডার পাবেন। একটাই রিকোয়ারম্যান্ট, আপনাকে অসম্ভব ভাগ্যবান হতে হবে। নিজেকে ভাগ্যবানদের একজন মনে করলে ডুব দিয়ে নিজের ভাগ্য যাচাই করে দেখতে পারেন।
কোথায় লুকিয়ে আছে এই ট্রেজার ???
১) EL DORADO--
একটি কাব্যিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল বিয়োগান্তক ঘটনার ভিতর দিয়ে। দিনটি ছিল জুলাই ৪, ১৫০২। ৩২ টি ক্যারাভেলের একটি নৌবহর সান্টো ডোমিংগো পোর্টে চার দিন আগে একত্রিত হয় স্পেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার জন্য। এই নৌবহরের ভিতর "এল-ডোরাডো" নৌকায় ছিল "বোবাডিল্লা" নামক এক ফন্দিবাজ যাত্রী যে দুই বছর আগে কলাম্বাসকে দুইবছরের জন্য জেলে ভরেছিল। কাকতালীয় ভাবে, কলম্বাসও একটি সমুদ্রযাত্রার পথে সান্টো ডোমিংগোতে অবস্থান করছিল।
কলম্বাস বলেছিল এই খারাপ আবোহাওয়াতে যাত্রা শুরু না করতে। কিন্তু তার কথা এই ফন্দিবাজ "বোবাডিল্লা"র ভাল লাগে নাই। সে এর ভিতরই যাত্রা শুরু করে এবং ঐ সময়ের পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সাইক্লোনের ভিতর পরে যায়। ১৩ ঘন্টা প্রতিকূল আবোহাওয়ার সাথে যুদ্ধ করে তারা হার মেনে নিজেদের প্রকৃতির দয়ার উপরে ছেড়ে দেয়। এবং এটা তো জানা কথা যে প্রকৃতি যখন প্রতিশোধ নেয় তখন সে কতটাই নিষ্ঠুর।
২৭ টা জাহাজ, ৫০০ যাত্রীর শলিল সমাধি ঘটে। মাএ ৫ জন বেচে যায় এই দিন। কিন্তু জানেন কি এর সাথে কি হারিয়ে যায়? ১.৫ টন (৩৩১০ পাউন্ড) ওজনের একটি সোনার টেবিল যা ঐ বোবাডিল্লা তার গভর্নর হবার পর রাজাকে গিফট দেবার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলো, আরো ছিল ১৫টি জাহাজ পূর্ন সোনার গুড়া ও মনি মুক্তা। ধারনা করা হয়, এই ঘটনা ঘটেছিল "মনা প্যাসেজে"র কাছে, যেখানের গভীরতা ১০০০ ফিট। জানতে ইচ্ছা হচ্ছে কত মূল্য ছিল সম্পদের ??? ৩০,০০,০০০ ডলার , এই সময়ের ডলারের মুল্যে না, ১৯৬২ সালের ডলার মুল্যে।
সেই ডুবির পর থেকে আজ পর্যন্ত অগণিত ডুবড়ি "মনা প্যাসেজে" ডুবের পর ডুব দিয়েছে কিন্তু এল-ডোরাডো আজ পর্যন্ত লোক চোকখুর অন্তরালে রয়ে গেছে। যাবেন নাকি ডুব দিতে? যদি পেয়েই যান, তাহলে কিন্তু আমাকে কিছু দিয়েন, কিছু মানে টেবিলটা আমারে দিয়েন, আমার পড়ার টেবিল নাই।
২) FLOR DE LA MAR--
১৫১১ সালে সুমাত্রার উত্তর তীরের সাগরে ডুবে যায় এই "the richest treasure on earth that I have ever seen" খ্যাত জাহাজটি। পূর্তগীজরা যখন বর্তমান মালয়শিয়াতে বানীজ্য করতে চেয়ে মালয়শিয়ার রাজা কর্তীক প্রত্যাক্ষিত হয় তখন তারা "এডমিরাল আলফোনসো ডি'আলবুকুরকু" এর নেত্রীত্বে সেনা দল লেলিয়ে দেয় যারা তিন দিনে ৬০ টন সোনা, রাজার পারিবারিক সোনার সিংহাসন ও মূল্যবান মনি-মুক্তা খচিত রাজকিয় তাজ, রাজভান্ডারের সোনার মোহর, ২০০ বাক্স ডায়মন্ড,মনি, মুক্তা, পান্না ইত্যাদি লুট করে এই FLOR DE LA MAR-এ লোড করে যাএা শুরু করে। কিন্তু মানুষের অভিশাপ তো লেগেছিল এই ৩ বিলিয়ন ডলারের এই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ট্রেজারে।
তাই আর গন্তব্যে পৌছাতে পারে নাই। আজও এই ব্লাড মানি অগ্যত জায়গায় অপেক্ষায় আছে আলোর মুখ দেখার। সে ভাগ্যবান আপনিও হতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী আপনে ১০% এর মালিক যার বৈধ হকদার আপনে যদি আপনে উদ্ধার করতে পারেন।
৩) NEW SPAIN FLEET---
এইটা ১৫৬৭ সালের কথা।
স্প্যানীস "ক্যাপ্টেন জেনারেল জুয়ান ভেলাসকো ডি বারিও" সারা দুনিয়ায় চুরি-চামারি করে প্রায় ৩০,০০,০০০ পেশো নিয়ে স্পেনের দিকে রওনা দিবে, এমন সময় খবর পেল চোরের উপর বাটপারি করতে দুইটা ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ দুই জায়গায় তার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সে চাল্লু মাল, সে একটা আনচার্টেট ওয়েতে স্পেনের দিকে রওনা হলো। সব ভালই চলতাছিল, কিন্তু পোর্ট রিকোর কাছে এসে পুরা নৌবহরই ঝড়ের কবলে পরে গেল। ছয়টা প্রধান মুদ্রা বহনকারী জাহাজ তখনই ডুবে গেল। বাকি জাহাজ গুলো ঝড় থেকে বাঁচতে যেখানে নৌকা ভিরালো সেখানে বাস করতো নরখাদক ক্যারিবিয় ইন্ডিয়ানরা।
তাদের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। ৩০,০০,০০০ পেশো এখনো নিখোঁজ। এন্টিক ও ঐতিহাসিক মুল্যের কারনে এক এক পেশোর মুল্য এখন হাজার হাজার ডলারের মুল্যের সমান কিংবা তারও বেশি।
৪) NAU CHAGAS---
১৩ই জুন ১৫৯৪ সাল। পর্তুগীজ বাণিজ্যজাহাজ Nau Chagas ভিন্ন দুটি ভগ্নপ্রায় জাহাজ থেকে ৩৫,০০,০০০ ক্রজাডোস(সরি এর মানে বুঝতে পারলাম না, মে বি মুদ্রা) ও অগ্যাত সংখ্যক বাক্স ভর্তি হীরা, মনি, মুক্তা উদ্ধার করে বাড়ি ফিরছিল।
তখন চোরদের সর্দার ইংরেজদের চারটি যুদ্ধ জাহাজ(!!!) এর পিছু নেয়। [একটু দীর্ঘায়িত করছি, তখনকার জামানায় স্পেন,ইংল্যান্ডওপূর্তগীজদের ভিতর সমুদ্র বানিজ্য নিয়ে রেশারেশি ছিল চরমে, এরা একে অপরের জাহাজ লুট তো করতোই, লুট করতে না পারলে ডুবায় দিত, এর কারন ছিল, সে দেশের অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়া,কলোনাইজিং এর সময়ে যার যত বড় সৈন্যদল ছিল সে ততবেশি দেশ দখলে রাখতে পারতো। এখন যার ভান্ডারে যতবেশি সম্পদ তার তত বেশি বড় সেনাদল, নোংরা রাজনীতি সাথে বাণিজ্যনীতি, যতসব নীতিহীন চোরের দল, আজ আবার নিজেদের বড় ভদ্রলোক বলে দাবী করে ফাইজলামির একটা সীমা থাকা উচিৎ] তো যাই হোক জাহাজ দখল করতে না পেরে তারা তা ডুবিয়ে দেয়। একটা কথা তখন প্রচলিত ছিল, "নো সার্ভাইবার" মানে সবাইকে মেরে ফেলতে হবে, কাওকে বাঁচতে দেওয়া হবে না। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে তারা এই কাজটি করতো।
ইস, আমি যদি পাইতাম তাহলে সবাইকে ভাগ দিতাম, প্রমিস।
৫) NEUSTRA SENORA DE BEGONA, SANTO DOMINGO, SAN AMBROSIO & SAN ROQUE ---
৭টা গ্যালিওন(বড় বড় বানিজ্য নৌকা যাতে কামান লাগানো থাকতো) ১৬০৫ সালে পোর্ট ছাড়ার আগে বড় উচু গলায় বড়াই করে বলেযায় যে তারা সামুদ্রিক ঝড়ের ভিতর দিয়ে যেতে পারবে, যে কথা সেই কাজ। প্রথম ঝড়টা টারা ভাল ভাবেই পার করে, কিন্তু দ্বিতীয় যে ঝড়টি ছিল তা ছিল অপ্রত্যাশিত এবং মাএ তিনটি জাহাজ বন্দরে ফিরে আসতে পারে বাকি চারটি জাহাজ ৮০,০০,০০০ গোল্ড পেশো ও ১৩০০ যাএীসহ ডুবে যায় জ্যামাইকা থেকে মাএ ২৩০ কিমি দুরে। এইটাও এখনো আপনাদের অপেক্ষায় আছে।
৬) SANTISSIMA TRINIDAD---
১৬১৬ সালে, এই জাহাজটি টাইফুনের কবলে পরে ৩০,০০,০০০ পেশো (৯৪ টন) সহ ডুবে যায় জাপানের কাছে।
আজও উদ্ধার হয়নি। যাবেন নাকি অ্যাডভেন্চারে ???
৭) MERCHANT ROYAL---
১৬৪১ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বার। বলা হয়ে থাকে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ট্রেজার শিপটা এই দিন খারাপ আবহাওয়ার জন্য ডুবেছিল। ৩৬ টি কামান সজ্জিত এই জাহাজে ৮০ জন ক্রু/নাবিক ছিল যার দায়িত্বে ছিলেন "ক্যাপ্টেন জোহান লিমব্রে"। এটি কোথায় ডুবে থাকতে পারে তার একটি সুএ আছে, "ten leagues from Land's End"।
যদি আপনি জাহাজটি পেয়ে যান তাহলে আপনি হবেন ৩ লাক্ষ মূল্যের সিলভার, ১ লাক্ষ মূল্যের সোনা, ৫ লাক্ষ স্প্যানীশ পেশো, ৫০০ টি সোনার ভারি বার, ডায়মন্ড, মুল্যবান পাথর ও ভারি গহনা যা ছিল মূল্যবান পাথর দিয়ে কারুকাজ করা। আনুমানিক ২০০ ব্যবসায়ির ধনরত্ন ছিল এই জাহাজে। ও জাহাজটি ডুবে আছে গ্রেট ব্রিটেনের সমুদ্রের নিচে। আপনাকে শুধু ঐ ধাধার উত্তর বের করতে হবে। তো , বসে আছেন কেন লেগে যান।
সে সময়ের এই জাহাজের ভাগ্য নিয়ে তৈরি লিফলেট।
৮) SAN FRANCISCO XAVIER---
১৬৫৬ সালে এই জাহাজ ডুবে যায়। স্প্যেনের বে অফ কাডিজে এটি ডুবে আছে। ৬৩ টন কয়েন (পেশো) ছিল এতে।
৯) LA VIERGE DU BON PORT---
এইটা ইতিহাস!!! আমি ১৬৬৪ সালের কথা বলছি।
ফ্রান্সের নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধির জন্য ৩০ টি কামান বিশিষ্ট এই জাহাজ টি বানানো হয় যার ধারন ক্ষমতা ছিল ৩০০ টন।
এই জাহাজের মিশন ছিল মাদাগাস্কারে একটি শক্ত ঘাটি তৈরি করতে মূল বাহিনীকে সাহায্য করা। তখন ইষ্ট ইন্ডিয়া কম্পানী একটি শিশু কম্পানী। জাহাজটি সাথের আরো চারটি জাহাজে ৫ লাক্ষ সৈন্যবহরের ফ্লিটের সাথে যাএা শুরু করে।
২৩০ জন অভিজাত ক্রু এবং ২৮৮ জন যাত্রী নিয়ে ৭ই মার্চ ১৬৬৫ সালে এটি মাদাগাস্কারে পৌছে।
জাহাজ গুলো ছিল খালি বাক্সে ভরা। পরিকল্পনা ছিল ওখান থেকে স্যাম্পল যোগার করে বাড়ি ফিরে আরও বড় দল আনা।
২০শে ফেব্রুযারি ১৬৬৬ সালে, জাহাজ টি তার প্রথম মিশন সফল ভাবে সম্পন্ন করে। সাত মাস পর জাহাজটি যখন বানিজ্য করে ঘরে ফেরার পথে তখন তারা ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং ১২০ জন ক্রু সহ ডুবে যায়। সাথে ৩২ জন ইংরেজ ক্রুও যারা জাহাজের ট্রেজার রক্ষা করার আপ্রান চেষ্টা করেছিল।
তৎকালিন মূল্যে ১৫ লাক্ষ ডলারের সোনা ও মূল্যবান পাথর এই জাহাজে ছিল।
১০) ISABELA---
১৬৭২ সালে প্রায় ১০ লাক্ষ পেরুভিয়ান ও কলম্বিয়ান গোল্ড কয়েন নিয়ে এই ৬০০ টনি জাহাজটি "কেপ শান্তা মারিয়া", পুর্তগালের কাছাকাছি প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পরে ডুবে যায়। গুড নিউজ হইলো, এখনো পাওয়া যায় নি।
১১) SOLEIL D'ORIENT---
এর কাহিনী জমজমাট। ইষ্ট ইন্ডিয়া কম্পানির জাহাজ ছিল এটি।
১৬৮১ সালে সিয়ামের (বর্তমান থাইল্যান্ড) রাজা, ফ্রান্সের রাজা লুইস-১৪ কে গিফট পাঠান এই জাহাজে করে। গিফটের ভিতর ছিল, ৬০ বাক্স রাজা ভান্ডার যার ভিতর একটা গহনায় ছিল কয়েকশ ডায়মন্ড। আরও ছিল ১০০০ পিসের একটি সোনার ডিনার সেট যা ছিল জাপানের রাজসভার গিফট, চিনের রাজসভারও কিছু আর্টক্রাফট ছিল। সবগুলোরই ঐতিহাসিক মূল্য কল্পনার অতীত। মাদাগাস্কারের সমুদ্রতীর থেকে ১৫ কিমি দুরে এই জাহাজটি ডুবে আছে উদ্ধারের অপেক্ষায়।
ডুবচরের সাথে ধাক্কা খেয়ে এই হাল হয়েছিল জাহাজটির।
১২) HMS SUSSEX---
১৬৯৩ সালের ২৩ শে ডিসেম্বার ১৬৬ টি বানিজ্য জাহাজের একটি নৌবহর ও ৪০ জন যুদ্ধবিশারদ একত্রিত হয় পোর্ট স্মাউথে। "HMS Sussex" এর ভিতর একটি জাহাজ যার ছিল ৮০ টি কামান যা ৮ মাস আগে পানিতে নামানো হয়। ব্রিটেনের শএুদের ধ্বংশ করতে এই জাহাজ টি তৈরি করা হয়। এর পরের কাহিনী পুরোটাই ধুর্ততা, বিশ্বাসঘাতকতা ও বেইমানির।
পুরো নৌবহরের খুব কম লোকই জানতো এই যাএার আসল কারন টা কি ছিল। HMS Sussex এর নেএীত্বে ছিল "এডমিরাল স্যার ফ্রানসিস উয়েলার"। তার কাছে একটি গোপন খাম ছিল যার ভিতরে তার অর্ডার দিয়া ছিল। অর্ডার ছিল ফ্রান্সের নৌবহরকে আক্রমন করা। কিন্তু এডমিরাল উয়েলার তা না করে ফ্রান্সকে ইংল্যান্ডের সমর পরিকল্পনা বলে দেয় ১০ লাক্ষ সোন্য ও রোপ্য মুদ্রার বিনিময়ে।
তারপর সে তার নিজের নৌবহরকে ফাকি দিয়ে পালাতে থাকে কিন্তু ১৯ শে ফেব্রুয়ারি ১৬৯৪ সালে এটি সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পরে, এই ঝড় কিন্তু যে সে ঝড় ছিল না, একে বলা হয় "পার্ফেক্ট স্টম" যা প্রতি ১০০ বছরে একবারই দেখা যায়। এডমিরাল উয়েলার নিজ সৈন্যবাহিনীর কাছে ধরা পরে, তারা হাই কমান্ডের কাছে রিপোর্ট করে, ""The Admiral was foundered and not a soul saved but two Turks"। এখানে সম্পদের একটি হিসাব পাওয়া যায়, তৎকালিন ১০ লক্ষ = বর্তমান ২.৭ বিলিয়ন ডলার। আজও নিখোঁজ।
১৩) SAN JOSE---
এর কথা আমরা সবাই জানি।
মনে করতে পারছেন না? আরে ট্রেজার আইল্যান্ড। হা, এই সেই বিখ্যাত জাহাজ যা ৩৪৪ টন সোনা, ১১৬ বাক্স মুল্যবান পাথর ও পেরু জয়ের পর প্রাপ্ত সম্পদ নিয়ে ইসলা ডেল টেসোরো(Isla del Tesoro)/ট্রেজার আইল্যান্ডের কাছে ১৭০৮ সালের ৮ই জুলাই ডুবে যায়। এর দায়িত্বে থাকা এডমিরাল ওয়াগারের বর্ননায়, " "It was just sunset when I engaged the Admiral [San Jose], and in about an hour and a half, it being them quite dark, the Admiral blew up. I being than along his side, not a half pistol's shot from him, so that the heat of the blast came very hot upon us, and several splinters of plank and timber came on board us a fire. We soon threw them overboard. I believe the ship's side blew out, for she caused a sea that came in our ports. She immediately sank with all her riches."" হাহ , পিপড়া খাইলো বড় লোকের ধন...
[অফ টপিক কথা বলি, ট্রেজার আইল্যান্ডের প্রতি ইন্ঞ্চি মাটি ২০ ফিট গভীর পর্যন্ত খোরা হয়েছে, এ পর্যন্ত ১০ লাক্ষের ও বেশি ট্রেজার হান্টার এই সম্পদ খুজছে, অনেকেই সারা জীবন ধরেই, সোনার, রাডার, মেটাল ডিটেকটর কি ব্যবহার করা হয়নি এই ট্রেজার খুজতে, কিন্তু সবাইকেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। বলা হয়ে থাকে,"এই ট্রেজারটি চোখের সামনেই আছে কিন্তু আপনার দেখার চোখ থাকতে হবে"। এই ট্রেজার সেই চোখের অপেক্ষায় আছে গত ৩০০ বছর ধরে]
[চলবে...]
সবাইকে শুভকামনা , আজ এ পর্যন্তই ...
আমার "কত অজানা রে" সিরিজ:
পৃথিবীর যত সব আজব-অদ্ভুত ... আজকের বিষয়-উৎসব (কত অজানা রে পার্ট-১)
পৃথিবীর যত সব আজব-অদ্ভুত ... আজকের বিষয়-কম্পিউটার মাউস (কত অজানা রে পার্ট-২)
পৃথিবীর যত কিছু আজব-অদ্ভুত ... আজকের বিষয়-প্রাকৃতিক গরম পানির লেক (কত অজানা রে পার্ট-৩)
পৃথিবীর যত কিছু আজব-অদ্ভুত ... আজকের বিষয়- জাপানের কিছু পুকুর যাকে তারা 'হেল' বা নরক বা জিগোকু বলে (কত অজানা রে পার্ট-৪)
পৃথিবীর যত সব আজব-অদ্ভুত ... আজকের বিষয়-দুবাই ওয়াল্ড (দেখলেও পস্তাইবেন না দেখলেও পস্তাইবেন) (কত অজানা রে পার্ট-৫)
পৃথিবীর যত সব আজব-অদ্ভুত ... আজকের বিষয়-ক্রেজিয়েষ্ট ম্যানমেইড ফাউনটে (কত অজানা রে পার্ট-৬)
পৃথিবীর যত সব আজব-অদ্ভুত ... আজকের বিষয় - জিওলজিকাল বিশ্ময় (এর অনেক গুলো আজ প্রথম দেখবেন) (কত অজানা রে পার্ট-৭)
পৃথিবীর যত সব আজব-অদ্ভুত ... আজকের বিষয়-এক্সট্রিম বডিবিল্ডার (কত অজানা রে পার্ট-৮)
পৃথিবীর যত সব আজব-অদ্ভুত ... আজকের বিষয়-জীবন্ত পাথর (পাথর কেটে বানানো বিশাল মূর্তি) (কত অজানা রে পার্ট-৯)
পৃথিবীর যত সব আজব-অদ্ভুত ... আজকের বিষয়-ভুতুড়ে শহর (কত অজানা রে পার্ট-১০)
পৃথিবীর যত সব আজব-অদ্ভুত ... আজকের বিষয়-"পারফেক্ট" ক্রাইম (কত অজানা রে পার্ট-১১)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।