এ্যাডভার্টাইজমেন্টের জন্য একটা রূপালী মাছের দরকার। কিন্তু অমন মাছ পৃথিবীতে বিরল। অনেক খুঁজেপেতে একটা পাওয়া গেলো। ল্যাবে গবেষণা করতে গিয়ে হুট করে গলে ওর পেটে থেকে রক্ত বের হয়ে এলো। বুঝা গেলো, ওইটা দানবাকৃতির মশা।
আমরা নদীর মাছ ধরে ধরে একটা একটা করে পরখ করে দেখতে লাগলাম। অতিরিক্ত গবেষণার অভিশাপে মাছের প্রজাতিগুলো লোপ পেতে শুরু করলো। কিন্তু কোনক্রমেই সেই মাছ আর পাওয়া গেল না। সিলভারকর্প মাছ মরে হাফ হয়ে গেল। পৃথিবীতে শুরু হলো, সিলভার ক্রাইসিস।
....................
নদী ফুঁসে উঠলো ক্রোধে। তীরের সবগুলো ঘরবাড়িকে নদী গিলে ফেলতে শুরু করলো। বিল্ডিংগুলো থেকে সিলভারের জিনিসগুলো নিংড়ে বের করে নিতে লাগলো।
....................
মানুষগুলো ভয়ে বিল্ডিং ছেড়ে নদীর পাড় ধরে পালাতে শুরু করলো। চতুর মানুষগুলো নিজেদের জলজ প্রাণী বলে দাবী করতে লাগলো নদীর কাছে।
তারা পানিতে মিশে বাস করতে লাগলো। ওদের চেহারা বিভিন্ন মাছের মত হয়ে গেল।
কারো মুখে বোয়াল মাছের মত বিশাল সুঁড়। কারো কারো দাঁত হাঙরের মত ধারালো এবং সূঁচালো। সমস্যা হলো আমার।
আমি মনুষ্যত্বের মায়া ছাড়তে পারলাম না। তাই মানুষ রয়ে গেলাম। কিন্তু মামুছগুলো একই সাথে মাছ, আর ভিতরে ভিতরে মানুষ। আর সুযোগ পেলেই মাছ খায়। নদীর আসল মাছ প্রায় শেষের পথে।
নকল মাছে ভরপুর। আমি মানুষ থাকতে চাই বলে নদীর পথ ধরে পালাতে লাগলাম। মামুছগুলোর কাছে মানবিক আশ্রয় চাইলাম। কিন্তু আমাকে ওরা নদী ও মাছে দূত ভেবে আক্রমণ করলো। আমাকে গভীর পানিতে টেনে লামালো।
ধারালো দাঁত দিয়ে কামড় বসালো আমার কাঁধে। কিন্তু ওদের মাঝে একটা ভালো মামুছ ছিল। আক্রমণকারীকে ভালো মামুছ এক ঝটকায় সরিয়ে দিলো।
....................
বুদ্ধি করে বললো, নদীতে খাবার মাছ কই আছে একমাত্র ওই জানে। ওকে খেয়ে ফেললে কেউ আর মাছের সন্ধান পাবে না।
শুধু জলজ লতাপাতা খেয়ে বাঁচতে হবে। আর আমরা দিনদিন অনেক দুর্বল হয়ে পড়বো। আমি ছাড়া পেলাম। কিন্তু দুষ্টু মামুছ’কে ভালো মামুছটা ছাড়লো না। সিলভারের হার্পুনে ট্রিগার চাপল।
ছররার মত গুলি বের হয়ে
দুষ্টু মামুছের সারা গায়ে জালের মত ছড়িয়ে পড়লো। বন্দী করে রাখলো পাতালপুরীতে।
....................
দুষ্টু মামুছ কী করে জানি সিলভারের জাল কেটে বেরিয়ে আসে।
এরপর ঘটতে থাকে একের পর এক ভয়ঙ্কর বিভীষিকাময় ঘটনাগুলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।