আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশী ফিসফাস: ন্যাকা প্রেমের গল্প

ভস্ম হই। মৃত্যুর চুমু আমার কপোল ছুঁয়ে যায়। বেঁচে উঠি আবার। নতুন দিনের আশায়। বেঁচে উঠি বারবার।



[মুখফোড়ের ব্লগে দেখলাম চাইনীজ ফিসফাস। একজন একটা গল্প লেখা শুরু করবে অন্য একজন সেটা আগিয়ে নেবে। ভীষন মজার লেগেছিল ব্যাপারটি। আমি তখন একটিভ ব্লগিং করতাম না বলে অংশগ্রহন করা হয়ে ওঠেনি। যাই হোক আমি দেশী ফিসফাসের একটা প্রস্তাব দিচ্ছি।

শুরু থাকবে আর সেই সাথে থাকবে শেষটা কিহবে সেটার একটা ধারনা। মাঝখানের শুন্যস্থান পূরনের দায়িত্ব পাঠকের। আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক। ] [গাঢ়]ন্যাকা প্রেমের গল্প[/গাঢ়] বুয়েটের ঢুকে নোমানের ভীষন ভাব হয়েছে। ঢাকার একটা ছোট কলেজ সরকারী কলেজ থেকে পাশ করে বুয়েটের মত একটা জায়গায় ভর্তি হয়ে যেতে পেরে যারপর নাই গর্বিত সে।

কলেজের শেষ দিকে এসে কিছু ডেঁপো ছেলেদের পাল্লায় পড়ে গিটার নিয়ে টুংটা করা শুরু করেছে আর চুল রেখেছে সন্ত্রাসীর মত। ড্যাম কেয়ার ভাব তার - যেকোন মেয়ে দু মিনিটে পটিয়ে ফেলতে পারবে সে এমনই তার বিশ্বাস। ওদিকে ফ্লোরার হয়েছে সমস্যা। এমনিতে তার সবকিছুতে নাভর্াস হয়ে যাবার অভ্যাস তার উপর ভর্তি রেজাল্টের ভিত্তিতে হওয়ায় বুয়েটের সবচেয়ে কঠিন বিষয়ে ভর্তি হতে হয়েছে তাকে। প্রথম দিন ক্লাস করতে এসে ক্লাস রুটিন তার সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলনা একলা একলা কিভাবে যাবে।

ভীষন নাভর্াস ভঙ্গীতে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল সে। ঠিক সেই সময় হেলে দুলে ক্লাস রুটিন টুকতে আসা নোমানের দেখা পেল সে। লম্বা লম্বা চুলের কারনে ওরিয়েন্টেশেনে একবার দেখেও সহজে মনে রাখতে পেরেছে তাকে ফ্লোরা। নোমান ক্লাসের দিকে রওনা দিতেই ফ্লোরা তাকে ডাকল। 'এই শোন, তুমি,লক্করকৌশলে ভর্তি হয়েছ না?' নোমান তো ভীষন ভাবের চোটে ঘাড় কাত করে মেয়েটাকে দেখল একবার।

কেমন যেন অস্থির ছটফটে ভাব মেয়েটার মধ্যে। মনে মনে গলে গেলেও তা প্রকাশ করতে দিলনা। বলল, 'হ্যাঁ'। ফ্লোরা যেন আকাশের চাঁদ পেল হাতে, 'আমি আসলে পুরাতন ভবনটা কোনদিকে সেটা বুঝতে পারছি না। তোমার সাথে গেলে কিছু মনে করবে?' মনে মনে দি মাস্ক ছবির গ্রীন ডেভিলের মত চিহ্বা বেরিয়ে গেলেও হাবে ভাবে সেটা প্রকাশ করতে দিল না সে।

বলল, 'চল, অসুবিধা কি?' সেটাই শুরু। তারপর ছোটখাট কথা বার্তা, চোথা আদান প্রদান, লক্কর কৌশলের বিখ্যাত হাতে কলমে লোহা ঢালাই শিক্ষা ক্লাসের কল্যানে আরও একটু বেশী মেলামেশা শুরু হয় তাদের মাঝে। এর মাঝে নোমান জানতে পারে ফ্লোরা আগে থেকেই কমিটেড কারো সাথে। কিছুদিনের জন্য একটু থমকে গেলেও, দু:খটা সামলে নিয়ে আবার নিজের পথে চলতে থাকে নোমান। [গাঢ়]শেষ পরিনতি[/গাঢ়] এই দুই চরিত্রকে শেষ পর্যন্ত মিলাতে হবে কোনো না কোন ভাবে।

সঙ্গে থাকতে পারে কিছু টুইস্ট। তো ব্লগার গন লেগে যান ঝটপট।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।