আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুয়েটের এক শিক্ষার্থীকে বাঁচান

হেঁটে হেঁটে যতদূর চোখ যায়

ছবিতে মিষ্টি চেহারার উজ্জ্বল যে তরুণকে দেখতে পাচ্ছেন সে নুরুল, আমাদের নুরুল। পুরো নাম মো: নুরুল ইসলাম। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। আর মাত্র ক'টা দিন পরই যার ইঞ্জিনিয়ার হবার কথা। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার কথা।

দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার কথা। কিন্তু হঠাৎ কিডনির ব্যথায় আজ সে জীবন-মৃত্যর মুখোমুখি, বেঁচে থাকার জন্য যমের সাথে লড়াই করে চলেছে। শান্ত দুচোখে তার রাজ্যের শঙ্কা ভিড় করে-আবার কি আমি ক্লাসে যেতে পারব? দেখতে পারব কি সকালের সূর্যোদয়? পাখির গান কি আর শোনা হবে না? ডাক্তারি রিপোর্টে বলা হয়েছে, নুরুলের দুটো কিডনির শতকরা আশি ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। এজন্য প্রচুর টাকা দরকার।

সবচেয়ে ভাল হয় যদি মাদ্রাজে নিয়ে চিকিৎসা করা যায়। আর এ কাজটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে হবে। কিন্তু নুরুলের দরিদ্র পিতার পক্ষে সন্তানের এ চিকিৎসার ব্যয়ভার (ডাক্তারদের মতে, প্রায় 15 লাখ টাকা) বহন করা অসম্ভব। তাই দেশবাসীই এখন ভরসা। যে নুরুলের ক'টা দিন পরই প্রকৌশলী হয়ে দেশের কাজে ছুটে বেড়ানোর কথা সে কিনা আজ পড়ে আছে ধানমন্ডির ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের (রোড-8, বাড়ি-6) কেবিন নং-1 এর তিন নম্বর বেডে।

এটা কি মেনে নেয়া যায়? না, যায় না। নুরুলকে আমরা বাঁচাবোই। আমরা বিশ্বাস করি-নুরুলের জন্য দেশের প্রতিটা মানুষ এগিয়ে আসবে। একদিন আমরা অমিতকে বাঁচিয়েছি। বুয়েটের হৃদয়কে বাঁচিয়েছি।

আজ কি আমরা নুরুলকে বাঁচাতে পারব না? নুরুলের জন্য সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: তাহমিনা আক্তার হিসাব নং-34115593 জনতা ব্যাংক দিলকুশা কর্পোরেট ব্রাঞ্চ ঢাকা বি.দ্র: যদি কেউ পারেন প্লিজ নুরুলকে একটু দেখে আসুন (কেবিন-1, বেড-3, ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন, রোড-8, বাড়ি-6, ধানমন্ডি, ঢাকা। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।