লন্ডনী কইন্যা লিখার পর লন্ডনী পোলা সম্পকে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করলাম। আমার কয়েকজন সিলেটি বন্ধু আছে যার একজনের গালফ্রেন্ডের নাম সানজানা। সানজানার সাথে একদিন পরিচয় হলো। খুবই মিশুক প্রকৃতির মেয়ে এবং কথাবাতায় বোঝা যায় সে এদেশে এসেছে বেশিদিন হয়নি। কথা প্রসঙ্গে তা কে ইংল্যান্ডে আসার ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করলাম।
সে যা শুনালো তা এরকমঃ তার এক চাচাতো ভাই লন্ডন থেকে এসেছেন পরিবার সহ। উদ্দেশ্য ভালো এক মেয়ে দেখে বিয়ে করা। যেহেতেু সিলেটিরা আত্বীয়ের মাঝে বিয়ে দেওয়া পছন্দ করে সেহেতু একমাত্র পাত্রী ছিলো সানজানা। ছেলে ভালো । সানজানার বাবা মা মেয়েকে লন্ডনে ভালো জীবনের আশায় বিয়ে দিল এই পাত্রের সাথে।
বিয়ের পর ব্যবসার ক্ষতি হবে অজুহাতে ছেলে সহ তার পরিবার লন্ডনে চলেআসে। বছরখানিক পর সানজানাকেও লন্ডনে আনা হয় । এদেশে পরিবারগুলো আলাদা ছোট পরিবারে থাকতে পছন্দ করে বেশী। কাউনসিল থেকে তাদের ফ্ল্যাট দেয়া হলে তারা স্বামী স্ত্রী একসাথে বসবাস শুরু করলো। কয়েকদিন পর সে লক্ষ্য করলো তার স্বামী ঠিকমত বাসায় ফেরেনা।
প্রয়ই সময় রাতে কোন এক মেয়ের সাথে কথা বলে ঘন্টার পর ঘন্টা। সানজানা ইংরেজী জানেনা তাই বুঝতে ও পারে না। এসব ব্যাপারে তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে সে গালিগালাজ শুরু করে দেয়। এভাবে কিছুদিন চলল। একদিন তার স্বামী এক ইংরেজ মেয়ে নিয়ে ঘরে ঢুকলো মাতাল অবস্থায়।
সানজানা েক বেডরুম থেকে সরিয়ে দিয়ে মেয়েটাকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। সারারাত সানজানা গেষ্টরুমে কাটালো ক্ননাকাটি করে সকালে তার স্বামীকে বলল তাকে শ্বশুর বাড়ী দিয়ে আসার জন্য। এতে সে আরো রেগে গিয়ে সানজানাকে মারধোর করলোএবং হুমকি দিলো কাউকে কিছু বললে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ৈ দেয়া হবে। সানজানা জানে তার বাবা মা তাকে এভাবে মেনে নিতে পারবেনা। অতপর প্রায় প্রতিদিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চললো আর সানজানা ও সহ্য করে চললো।
আমার বন্ধুটির বাসা আর সানজানার বাসা পাশাপাশি। প্রয়ই সময় তাদের কথাবাতা হতো। একদিন রাতে পুলিশ এসে সানজানার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেলে সে পশের বাসায় আমার বন্ধুটির সাহায্য চাইলো। খবর নিয়ে জানা গেল অনেকদিন ধরে গাঁজার ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সানজানা হতাশ হয়ে পড়লে আমার বন্ধুটি তাকে সান্তনা দিলো।
এরপর আস্বস্থ হয়ে সানজানা একে একে তার প্রতি অত্যাচারের কথা জানালো।
এরপর আমার বন্ধুটি সানজানার লাইফ ষ্টাইল বদলে দিলএবং এখন তারা লিভ টুগৈদার করে।
সানজানার আসল নাম সলিমা। জীবন বদলের সাদে সাথে সে নাম ও বদলে ফেলেছে।
সানজানার কাছ থেকে বিদায় নিতে গিয়ে দেখলাম আমার চোখের কোনে একফোটা পানি জমেছে।
এ ঘটনা আমার বোনের ও তো হতে পারতো।
হায়রে অবলা নারী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।