রবিবার নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া বিওপি সংলগ্ন 271/9/1নং পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফের গুলিতে নূরুজ্জামান (35) নামের এক বাংলাদেশী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। বিএসএফ তার লাশ ভারতে নিয়ে যায়। নিহত নূরুজ্জামান ধামইরহাট উপজেলার উত্তর চকরহমত গ্রামের মৃত তায়েজ উদ্দিনের পুত্র। নওগাঁর ধামইরহাট সীমানত্দে সোমবার বিএসএফ ও বিডিআরের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এদিকে রবিবার ওই সীমানত্দে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী কৃষক নূরুজ্জামানের লাশ সোমবার সন্ধ্যা 6টা পর্যনত্দ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
রবিবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কিরণগঞ্জ সীমানত্দে বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে আবারও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। লে. কর্নেল লুৎফর রহমান জানান, বিএসএফের 15/20 রাউন্ড গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে বিডিআর পাল্টা 20 রাউন্ড গুলি চালায়। বিএসএফ পিছু হটে নিরাপদ স্থানে সরে যায়। সোমবার সকালে বিএসএফ ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সীমানত্দ এলাকায় শক্তি বৃদ্ধি করেছে। উলেস্নখ্য, গত 1 মাস ধরে বিএসএফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সীমানত্দে উস্কানিমূলকভাবে গুলিবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং গত 10 দিনে জেলার 2 সীমানত্দে গুলি করে এক গৃহবধূসহ 3 জন বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করেছে।
কলারোয়ার হিজলদী সীমানত্দে রবিবার রাতে বিএসএফ বিডিআরকে লক্ষ্য করে 8/10 রাউন্ড গুলি করে। বিডিআর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে 5/6 রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। সীমানত্দ ঘুরে দেখা গেছে, কলারোয়া সীমানত্দের বিপরীতে 18 কিলোমিটার দীর্ঘ ভারতীয় সীমানত্দে বিএসএফ 5টি ক্যাম্পে 3 হাজারের বেশি অতিরিক্ত সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। বিএসএফ গোবিন্দপুর, আড়শিকড়ি, হাকিমপুর, তারালী সীমানত্দ ক্যাম্পে নজরদারি বৃদ্ধি করতে পর্যবেৰণ টাওয়ার ও সার্চ লাইট স্থাপন করেছে। নোম্যান্সল্যান্ডের ওপর কোন বাংলাদেশীকে দেখামাত্র গুলি করার হুমকিতে সীমানত্দবাসীর দৈনন্দিন হাট-বাজার, কাজকর্ম ও ইছামতি নদীতে মাছ ধরা, গোসল করাসহ নিত্যনৈমিত্তিক কাজ প্রায় বন্ধের পথে।
ঃঃ দৈনিক ইত্তেফাক ঃ 04.07.2006 ঃঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।