প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাজারি গলির জয়কালী মন্দির এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন ভবনের মালিক তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরীর লোকজনের সংঘর্ষ বাঁধে।
পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে মন্দিরের পুরোহিত গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য ও অন্যপক্ষের প্রবীর বণিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জয়কালী মন্দির কমিটির সদস্য বাবুল চন্দ মন্দিরের টিনের ছাউনি লাগানোর সময় তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরীর লোকজন তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা মন্দির কমিটির লোকজনের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
এক পর্যায়ে ভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত তিন আনসার সদস্য ফাঁকা গুলি শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে আলী হাসান, রেজাউল করিম ও ইয়াকুব আলী নামে তিন আনসার সদস্যসহ ২০ জন আহত হন।
তাদের চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়েছে। ”
কোতয়ালী থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, মন্দিরের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।