সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার
ক'দিন আগে মহুয়ামন্জুরী একটা পোষ্ট দিয়েছিলেন লন্ডনে বোমাবাজীর সন্দেহে ধৃত দুই বাংলাদেশী যুবকের খবর দিয়ে। সেখানে ধর্মান্ধতার বিপক্ষে তার কিছু বক্তব্য ছিল, যার প্রতি আমারও সমর্থন রয়েছে। তারপরেও তার কিছু বক্তব্য, যা আমার কাছে ঢালাওভাবে অন্যের অনুভুতিতে আঘাত হেনেছে বলে মনে হয়েছে, তার প্রতিবাদ করেছিলাম মহুয়ার সে পোষ্টেই। যেহেতু নিজেকে গঠনশীল চিন্তার মানুষ হিসেবে জানি, তাই ঘটনার পটপরিবর্তনকে সামনে রেখে মহুয়ার সমর্থযোগ্য বক্তব্যের সমর্থনেই এগিয়ে আসছি।
সন্দেহভাজন দুই বাংলাদেশীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
তাদের কাছে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে। আনন্দের কথা, স্বস্তির কথা। আরেকটি জাতিগত কলঙ্কের ছোবল থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচা গেলো। কিন্তু কিছু কিছু লোকের আনন্দ এ আনন্দ ছাড়িয়েও অন্য এক আনন্দে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছে। তা হচ্ছে মহুয়াকে কোনঠাসা করার আনন্দ।
কাউকো কোনঠাসা করার আনন্দকে আমার কাছে নোংরা মনে হয়। এ নোংরা আনন্দেই বিভোর কিছু কিছু ব্লগার। একজন আলাদা পোষ্ট দিয়েছেন। নির্লজ্জভাবে স্বীকারও করেছেন, মহুয়াকে লজ্জায় ফেলাই তার পোষ্টের উদ্দেশ্য। অন্যরা মহানন্দে মাথা নেড়ে তাতে সায় দিয়েছেন।
অবশ্যই মহুয়ার পোষ্টের বিরুদ্ধে আপনাদের বক্তব্য থাকতে পারে। কিন্তু কোন ঘটনাচক্রের প্রভাবে যদি বক্তব্যের যুক্তিকে ছাড়িয়ে কোনঠাসা করার আনন্দই প্রবল হয়ে উঠে, তখন সংশ্লিষ্টদের চিন্তার কদর্ষ হিংস্রতাই প্রকাশ পায় বেশী। সুতরাং মহুয়াকে যে সমালোচনা করেছিলাম, তার দ্বিগুন আপনাদের দিকে ছুড়ে দিলাম।
মহুয়ার বক্তব্য শুধুমাত্র ধৃত যুবকদের বিরুদ্ধেই ছিল না। ছিল সামগ্রিক ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও।
সেই সাথে ছিল সাধারণ মানুষের ধর্মবোধকে যারা ধ্বংসাত্বক পথে ব্যবহার করে যারা রাজিৈতক উদ্দেশ্য হাসিল করে, তাদের বিপক্ষেও। বিষয়টি কি মিথ্যে ? ধর্মের নামে সন্ত্রাস সারা পৃথিবীতে নেই ? বাংলাদেশে নেই। আপনাদের তা চোখে পড়েনি বা পড়লেও হয়তো নিজেদের গা বাঁচানোর জন্যেই সেদিকে ল রাখেন নি। নাকি ধর্মান্ধরা সত্যিকারভাবেই অন্ধ ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।