আমার সাথে যোগাযোগ করতে http://bn.jinnatulhasan.com/blog এ ভিজিট করুন।
স্ট্যান্ড করলেই পোলাপাইন টিভির সামনে এসে ডায়ালগ দিতো 'আমার স্বপ্নই ছিল স্ট্যান্ড করার, তাই অধীর মনোযোগ আর অধ্যাবসায় দিয়ে পড়াশুনা করেছি ...' -লন্ডনে আসা নিয়ে এই টাইপের ডায়ালগ দিবো না। তবে বিদেশে যাব, পড়াশুনা করবো - এমন স্বপ্ন অন্য সবার মতো আমিও দেখেছি, অস্বীকার করবো না। বার কয়েক চিন্তা করেছি নাহ এইবার যাবই যাব, কিন্তু অলসতা আর পয়সার চিন্তায় 'নিপ ইন বাড', বিসমিল্লাহ তেই শেষ।
যাই হোক, 2003 এ ভার্সিটি পড়া শেষ করলাম।
একটা চাকুরিও জুটেছিল শেষ করার আগেই, কিন্তু বেতন বলার মতো পাচ্ছিলাম না। অন্যদিকে বন্ধুরা একের পর এক ভাল ভাল চাকুরি পেয়ে যাচ্ছিল- একেক জন 25-30 হাজার টাকার চাকরি করে আর আমি 12 হাজারে পড়ে আছি। সবাই আমার এই কথাকে পরশ্রীকাতরতা বলবে কিন্তু আমি বলবো সামাজিক চাপ। আমার চাকুরিকে ভালবাসতাম, জান প্রান দিয়েই খাটতাম - পয়সা জন্য নয়, পরিবেশ আর কাজের ধরন খুব পছন্দের ছিল। তাই সেই চাকুরি ছেড়ে অন্য কোথাও জয়েন করা সম্ভব ছিল না, তাই এক্কেবারে দেশই ছেড়ে এলাম।
বিদেশে যারা আসতে চায়, তাদের জন্য আমার প্রস্তুতি পর্বটা বিস্তারিত লিখছি। কাজে লাগতেও পারে।
সবার আগে দরকার হাস্যোজ্জল ফটুক সহ একখানা পাসপোর্ট। আমার পাসর্পোটটা আগেই করা ছিল। যা করার আমার এক বন্ধুই সব কিছুর ব্যবস্থা করেছিল, কারন তার বাসার সবাই আমাকে খুব ভাল পোলা হিসেবে জানে তাই আমি গেলে ওর যাওয়া হবে - এই কারনে সেই নানা রকম যোগাড়যন্ত্র ওই করেছে।
ওরই কথা মতো ইউকে-তে আসতে রাজী হলাম, এইখানে পয়সা বেশি, আবার চাকুরিও পাওয়া যায়। সেইসাথে ভিসা বাড়ানোও সুবিধা ইত্যাদি ইত্যাদি।
একটা এজেনসীতে যোগাযোগ করেছিলাম, ওরাই একটা খুব ভালো বড় কলেজের ভর্তি ফরম এনে দিল। এইখানকার কলেজগুলো সম্বন্ধে পরে আলোচনা করবো।
এরপর একটা ভাল উপদেশ দিল।
বলল IELTS দিয়ে ফেলেন, UK তে মাস্ট না, কিন্তু IELTS এ ভাল স্কোর থাকলে ভিসা পাওয়ার chance থাকে। IELTS দেয়া ব্যাপার ছিল না, কিন্তু এতগুলো টাকার ধাক্কা এইটাই কষ্ট লাগছিল, সব বন্ধুরা বলল কোচিং করে দে। আমি কই এমনিতেই এত গুলা টাকার ধাক্কা, তারপর আবার কোচিং। যা আছে কপালে দেখা যাবে। নীলক্ষেত থেকে একটা বই আর সিডি কিনলাম 70 টাকা দিয়া।
কেউ বিশ্বাস করবো কিনা জানি না, সিডি দুইটা ছাড়া আর কিছুই স্পর্শ করে দেখি নাই। তবে ব্রিটিশ কাউনসিল একদিনের একটা ওয়ার্কশপ করে, প্রাথমিক জ্ঞান দেবার জন্য, সেইটায় অংশগ্রহন করেছিলাম। বেশ কাজে দেয়।
চলবে ....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।