সযতনে খেয়ালী!
বিশ্বকাপ নিয়ে লিখা নাকি সৃষ্টিছাড়া। এই অজুহাতে লোকজন কিছু কিছু পোস্টে "পাঠকের কর্তব্য" দানে বিরত থাকছে। আমার কথা হলো, টপিকটা না হয় সৃষ্টিছাড়া, লিখাগুলো নাহয় সৃষ্টি ছাড়া, কিন্ত অক্ষর গুলো...? ওরাতো আর সৃষ্টিছাড়া না। অন্ত:ত ওদের দিকে তাকিয়েই আপনার কর্তব্যটা পালন করুণ না।
আমার আগের পোস্টে মন্তব্যের জায়গায় দেখলাম উপদেশ।
এই ধরণের পোস্টের সাথে ছবি বা ফটুক না দিলে নাকি পাবলিক খায় না। চাই ছবি, চাই ফটুক- তবেই না পোস্টের ধার বাড়ে।
বেরিয়ে পড়লাম, হাতে 2 মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা মোবাইল। যেখানে দাড়াই ফটুক খিচি। রেল ইস্টিশন, ক্যাফে, প্লাজা, স্কোয়ার, প্যাসেজ, সিমেট্রি, রোদ, বৃষ্টি, ঘর-বাড়ি - কোন কিছুই বাদ দেইনি।
রাত দুপুরেও রাস্তার পাশে দাড়িয়ে তুলেছি ফটুক। লোকজন হয়তো কটু কথা বলেছে পিছনে, "পোলাডার দেহি মাথাডা গ্যাছে"। কুচ পরোয়া নেহি, ব্লগানেটের জন্য আরও বড় ত্যাগ স্বীকার করতে রাজী আছি আমি, তবে .........
কোলন বড়ই সৌন্দর্য শহর। কোলনের ডোম ( সবচেয়ে উঁচু ক্যাথেড্রাল, যা দ্্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ও অটল ছিলো) দেখবেন। ভেতরে যাবেন, মোমবাতি রাখা আছে, ইচ্ছে হলেই জ্বালাবেন।
প্রার্থনার জায়গা গুলো দেখবেন ঘুরে ঘুরে।
বিভিন্ন প্লেস টেস ঘুরে রাইনের পাড়ে চলে যান ক্লান্তি কাটাতে। রাতের বেলায় যায়গাটা অসম্ভব সুন্দর লাগে। কোলন ডয়চে ব্রীজ, জেভেরিন্স ব্রীজ দেখুন রাতের আলোয়। ইচ্ছে থাকলে ডয়চে ব্রীজ ধরে হাঁটতে থাকুন।
ঠিক মাঝা মাঝি দাড়ালে একটু পর পর একটা দোলা অনুভূত হবে, অসাধারণ।
কোলন দেখা শেষ হলে কোলন সেন্ট্রাল স্টেশনে চলে যান। গ্লাইস (প্লাটফরম) 9-এ চলে যান সোজা। ট্রেনে উঠে পড়ে চলে যান বন, বেথোফেন-এর শহর। এখানেও দেখার অনেক কিছু পাবেন।
ছোট শহর, কিন্ত অনেক পুরাতন। প্রায় 2000 বছরের পুরনো শহর বন।
এখানেও রাইনের পাড় ধরে হাঁটতে পারেন। এমন কোন জায়গা হয়তো খুঁজেও পাবেন যেখানে বসে বেথোফেন একসময় তার সিম্ফনী গুলো মাথা থেকে বের করেছে।
বন থেকে ও খানিক দূরে যেতে পারেণ।
ওয়াইন ভাইনইয়ার্ড দেখতে হলে কোবলেনৎস এর দিকে যেতে হবে। আন্দারনাখ, বিঙ্গেন - এসব এলাকার পাহারের ঢালে সুন্দর করে সাজানো সব দেখেই চোখ জুড়িয়ে যাবে।
থাকার জন্যেও আছে সুন্দর সব ব্যবস্থা। কোলনেই দেখতে পাবেন, "কোলন অ্যাপারটেল, ইউর সেকন্ড হোম" নামের হোটেল। এখন ওখানে গিয়ে নিজের হোমের দলিল না চাইলে হয়তো বিনা ক্যাচালেই স্বল্প মূল্যে থাকা যাবে একেকটা রাত।
এরকম আরো অনেক ছড়িয়ে, ছিঁটিয়ে থাকা ছোট ছোট হোটেল আছে টুরিস্টদের জন্য। ইনফর্মেশনের জন্য আছে সিটি ইনফর্মেশন সেন্টার।
-[ শেষ করতে পারলাম না লিখাটা। যদি সম্পাদনার প্রয়োজন থাকে, পরে হয়তো আরো কিছু যোগ হতে পারে এতে, ধন্যবাদ ]-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।