চলচ্চিত্রকারদের রোষ থেকে বাঁচতে ভারত পালিয়েছে বিতর্কিত চলচ্চিত্র পরিচালক পিএ কাজল। খবরটি নিশ্চিত করেছে পরিচালক সমিতি।
সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন জানান, কুকর্মের দায়ে অভিযুক্ত পিএ কাজল শুক্রবার কলকাতা থেকে ফোনে কৃতকর্মের কথা স্বীকার এবং ক্ষমা করে দিতে অনুনয়-বিনয় করে। কিন্তু সভাপতি খোকন তাকে দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দেন চলচ্চিত্রকারদের গায়ে কালিমা লেপনের মতো ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে সে। তাই তার কোনো ক্ষমা নেই।
সভাপতি তাকে দ্রুত দেশে ফিরে সমিতির বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশ দেন। তখন কাজল জানায়, সে গুরুতর অসুস্থ এবং চিকিৎসার জন্য কলকাতা গেছে। চিকিৎসকের পরামর্শে শীঘ্রই তাকে চেন্নাই যেতে হবে। তাই দ্রুত দেশে ফিরে আসা সম্ভব হবে না। এর জবাবে সভাপতি খোকন তাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সে যেন কখনো তার অনুমতি ছাড়া এফডিসিতে প্রবেশ না করে।
শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, এই নির্মাতার অপকর্মের কারণে তার বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র জগৎ সোচ্চার। তাকে কখনোই ক্ষমা করা কিংবা এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পরিচালক সমিতির বিচারের মুখোমুখি তাকে হতেই হবে।
এদিকে পরিচালক সমিতির কার্যকরী পরিষদ পিএ কাজলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বুধবার জরুরি বৈঠক করে। এতে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে তিন দিনের মধ্যে লিখিত জানাতে শোকজ নোটিস দেয়।
নোটিসটি তার বাসার ঠিকানায় কুরিয়ারে পাঠানো হলেও এ পর্যন্ত তা কেউ গ্রহণ করেনি এবং তিনবার ফেরত আসে।
বিশেষ একটি সূত্র জানায়, ফেসবুকে এক নারী মডেলকে দেওয়া তার কুপ্রস্তাবের কথা মিডিয়ায় ফাঁস হলে অবস্থা বেগতিক দেখে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পিএ কাজল ভারত পালিয়ে যায়। সূত্রটি দাবি করে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীদের সর্বনাশ করাই ছিল তার কাজ। চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার সময় চিত্র পরিচালনায় তার আত্দপ্রকাশ এবং বেশ কয়েকটি অশ্লীল চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছে সে। ওয়ান-ইলেভেনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় র্যাবের হাতে গ্রেফতারের ভয়ে তখনো ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল কাজল।
অভিনয়ের লোভে তার জালে আটকানো মেয়েদের নিজে ভোগ করার পাশাপাশি বিভিন্ন জনের কাছে অর্থের বিনিময়ে পাচার করাও ছিল তার ব্যবসা। সূত্রটির মতে, পিএ কাজল মূলত নারী ও মাদক পাচারকারী সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য।
এদিকে যেসব নির্মাতা ও শিল্পীর নামে ওই মডেলের কাছে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তারা তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কাছে।
নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান, গুলজার, অভিনেত্রী পূর্ণিমা, সাহারা ও মাহি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন পরিচালক সমিতিকে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং তারা প্রত্যেকে কাজলের বিরুদ্ধে শীঘ্রই মানহানির মামলা করবেন। পিএ কাজলের এই অপকর্মে ফুঁসে উঠেছে চলচ্চিত্র জগৎ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।