সকাল সকাল টিভিতে সিনেমা দেখছিলাম। সেখানে দেখলাম নায়িকার বাবাকে চ্যালেঞ্জ করেছে গাড়ি মিস্ত্রি নায়ক। চ্যালেঞ্জটা হলো হাতেগোনা কয়েক দিনের মধ্যে সে কোটিপতি হয়ে দেখিয়ে দেবে। মিনিট ঘুরতে না ঘুরতেই দেখি নায়ক লটারি পেয়ে নাচতেছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, সে নায়ক না হলে এই লটারি জীবনেও পেত না।
মনে মনে হা-হুতাশ করে ভাবতে থাকি, আমি সাধারণ মানুষ দেখেই জীবনে কোনো দিন লটারিতে একটার জায়গায় দুইটা আইসক্রিম জোটে নাই! নায়ক হওয়ার তো কোনো সুযোগই নেই। চেহারাটা সাপোর্ট করলে কমপক্ষে নায়িকা হতে পারতাম। কেন যে নায়িকা হলাম না! এমন সময় হঠাৎ আমার মোবাইলে ব্যাপক আওয়াজ করে রিং এলো...
: স্যার, আমি ভুয়াটেলিকম অফিস থেকে বলছি।
: আমি স্যার না ম্যাম।
: ওহ, মিসটেকে সরি স্যার।
আমরা এ মাসের সেরা ব্যবহারকারীদের নিয়ে একটি লটারি করেছি। লটারিতে আপনি তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। কংগ্রেচুলেশন।
: ধুর মিয়া, প্রথম হলেও একটা কথা ছিল। যাই হোক, পুরস্কার কি?
: আপনি ৫০ হাজার টাকা জিতেছেন।
: একটু কম হয়ে গেল না?
: না। হে হে হে। আপনার ঠিকানাটা একটু বলুন।
: হাতিরঝিল।
: আচ্ছা।
আপনি আমাদের হাতিরঝিল কাস্টমার কেয়ার শাখা থেকে আপনার প্রাইজটা সংগ্রহ করে নেবেন আশা করি। এর জন্য আপনাকে এক ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
: কীভাবে করব?
: আপনি এক ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ১০০০ টাকা লোড করে দিন আমাদের এই নাম্বারে।
: আপনি দুইটা নাম্বার লিখুন।
: কীসের নাম্বার লিখব?
: আহ লিখুন তো।
: বলুন...
: ০১ ২০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যাগুলো ও ০১ জিরো জিরো ডবল জিরো ট্রিপল জিরো।
: হুম লিখলাম। এখন?
: প্রথম নাম্বারটা খায়েশ ভাইয়ের, তিনি আমার কাছে ১৫ হাজার টাকা পান। আর দ্বিতীয় নাম্বারটা হতাশা বানুর, তিনি পান ৩৫ হাজার টাকা। আপনি কাইন্ডলি তাদের ফোন করে, তাদের পাওনা টাকাটা আপনার অফিস থেকে কালেক্ট করে নিতে বলেন।
হঠাৎ 'টুট টুট' শব্দ করে লাইনটা কেটে গেল।
তারপর আর কি, মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।