রবিবার গভীর রাতে অবরুদ্ধমুক্ত হয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। রাত ৩টায় চাকরি হারানো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়ে সটকে পড়লে উপাচার্য ছয় দিন পর তার কার্যালয় থেকে ক্যাম্পাসে বেরিয়ে আসেন। এর আগে রাতে উপাচার্যের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে ব্যর্থ হন চাকরি হারানো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
তবে দুয়েক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, চাকরি হারানোদের বলেছি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দাবি আদায় হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো ক্ষমতা আমার নেই। চাকরি স্থায়িত্বের বিষয় নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে কথা বলেন। এরপর রাত ৩টায় প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেওয়া হয়েছে খবর পেয়ে ছয় দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ক্যাম্পাসে বেরিয়ে প্রকৃতির বাতাস গ্রহণ করি। বাংলোয় স্ত্রী না থাকায় আবারও কার্যালয়ে গিয়ে কাজ করি।
বিশৃঙ্খলা ও অরাজক পরিস্থিতির কারণে গত শুক্রবার স্ত্রীকে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। সারা রাত কর্মকর্তাদের নিয়ে বকেয়া বেতন দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করেছি। ইউজিসি অনুমোদিত ৩৩৬ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ বেতন তুলতে পারবেন। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালন করব কিনা ২-১ দিনের মধ্যে ঢাকায় যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ঊধর্্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব।
পাঁচ মাসের বেতন-ভাতার দাবিতে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষকদের একাংশ আমরণ অনশন এবং আরেক অংশ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের ব্যানারে এক পক্ষের আমরণ অনশন চলাকালে তিন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার বেতন দেওয়ার শর্তে আমরণ অনশনকারী শিক্ষকরা শুক্রবার বেলা ২টায় তাদের কর্মসূচি স্থগিত করলেও অপর অংশ 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ'র ব্যানারে কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন। তাদের কিছু দাবি মেনে নেওয়ায় রবিবার রাত ১টা ২০ মিনিটে কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে অবরোধমুক্ত হন উপাচার্য।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা যথারীতি চলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।