জীবনের প্রয়োজনেই আমাদেরকে CV, Resume এবং Bio Data তৈরি করতে হয়। আমরা অনেকেই জানিনা এই তিনটা ব্যাসিক কি পার্থক্য। অথবা কোনটা কি কিভাবে লিখতে হয়।
CV যার পুরো অর্থ Curriculum Vitae. CV তৈরি করতে অনেকেই পারেন না। আসুন জেনে নেই একটি স্ট্যান্ডার্ড CV কিভাবে তৈরি করবেন।
আমাদের বাংলাদেশ বিভিন্ন অর্গানাইজেশন চাকুরী নিয়োগের ক্ষেত্রে CVএকটি বহুল চলিত ফরম্যাট। CV সাধারণ ৩-৪ পৃষ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়। CV তে যত কম পেইজে স্পেসিফিক তথ্য দেওয়া যায় তত ভালো। তবে একটি Standard CV এর ১৫ টি গুরুত্বপূর্ন অংশ আছে। নিম্নে তা আলোচনা করা হল
একটি CV তে কয়কেটি মূল বিষয়গুলো আসবে তা হলঃ
1) Curriculum Vitae
2) Brief Information
3) Photograph
4) Objective of Career
5) Educational Qualification
6) Job Experience
7) Internship
8) Training
9) Language Proficiency
10) Computer Skill
11) Scholarship / Award
12) Personal Information
13) Reference
14) Declaration
15) Signature & Date
এক এক করে চলে আসে পয়েন্ট ভিত্তিক আলোচনা তেঃ
Curriculum Vitae:
CV এর সর্ব উপরে বোল্ড ফন্টে লিখতে হবে Curriculum Vitae. কারণ আপনার দেওয়া তথ্য সমৃদ্ব এটা CV নাকি Resume নাকি Bio Data তা বুঝা যাবে না।
যদিও ৩ টা ভিন্ন ভিন্ন কিন্তু লেখাটা আবশ্যক।
Brief Information:
CV এর শুরুতে ডান পার্শ্বে আপনার নাম, লাস্ট ডিগ্রী, ঠিকান [ঠিকানা বলতে এখানে বর্তমান ঠিকান; যে ঠিকানায় Employer আপনাকে ডাক যোগাযোগ করবেন], টেলিফোন/ মোবাইল নম্বর এবং ই-মেইল এড্রেস। এই তথ্যগুলো শুরুতেই দেওয়া প্রয়োজন কারণ অনেক সময় আপনাকে সিলেক্ট করা হল কিন্তু Employer যেন at a glance আপনার সাথে ডাকে/ মোবাইলে কিংবা ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারে সেইজন্য এই তথ্যগুলো শুরুতে দেওয়া প্রয়োজন।
Md. Rashid Hossain
MBA from North South University
73 Indira Road, Dhaka - 1215
Mobile: +88-01911 ……
E-mail: ,
Photograph:
Brief Information এর বাম পাশে ছবি লাগানো জন্য জায়গা রাখতে হবে। অনেকেই ছবিটির স্ক্যান কপি সহ CV তে প্রিন্ট দেন।
এইটা একদমই করা উচিত নয়। তবে ই-মেইল করার সময় তা করা যেতে পারে। সাধারণত এই জায়গা ফাকা রাখতে হয়। কোথাও আবেদনের সময় ছবি স্ট্যাপল করা উচিত।
Objective of Career:
এই অংশটা অনেকেই বিভিন্ন জন থেকে কপি করে থাকেন বা ইন্টারনেট থেকে সাধারণত কপি করে থাকেন।
কিন্তু আপনি একবার গভীরভাবে চিন্তা করুন আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি। আপনি আপনার একাডেমিক কোয়ালিফিকেশন অনুযায়ী কিভাবে আপনার ক্যারিয়ার কে সমৃদ্ব করবেন তা নিয়ে লিখুন। অবজেক্টিভ ১/২ বাক্যের বেশি হবে না। বাহুল্য কথা না বলাই ভালো। চিন্তা ভাবনা করে লিখা উচিত।
Educational Qualification:
শিক্ষগত যোগ্যতা এই অংশে সর্বদাই Chronological Order অনুসরন করা উচিত। অর্থাৎ সর্বশেষ ডিগ্রী থেকে এস,এস,সি এইভাবে সাজানো উচিত। সবচেয়ে ভালো হয় টেবুলার ফরম্যাটে কয়েকটি সারি কলামে তথ্যগুলো উল্লেখ করলে। কলাম বরাবার যা যা থাকবে। Name of the degree, Name of the Board / University, Name of the Educational Institute, Passing Year, Result
Name of Degree Board / University Institute Name Passing Year Result
Job Experience:
যারা চাকুরীক্ষেত্রে নতুন / Fresh তাদের ক্ষেত্রে এই সেকশন লিখতে হবে না।
কিন্তু যাদের চাকুরী ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা আছে তাদের উচিত খুব গুছিয়ে এই সেকশন টা লিখা। এইক্ষেত্রেও Chronological Order অনুসরন করতে হবে। এখানে যা যা উল্লেখ করতে হবে; Employer / Company Name, Company Address, Designation, Job Responsibility, Duration.
Employer 01: Mutual Trust Bank Ltd.
• Designation: Management Trainee.
• Department / Division: Loan
• Job Responsibility:
[এই অংশে job responsibility উল্লেখ করুন]
• Duration: April, 2010 to Date. (About 1 Year 6 months)
Internship:
বিশেষ করে বিবিএ, এমবিএ, মার্কেটিং, কিছু প্রকৌশল বিদ্যা, এপ্লাইড সাইন্স সহ আরো কিছু হাতেকলমে বিদ্যার ছাত্রছাত্রীদের গ্রাজুয়েশন এর পূর্বেই Internship করতে হয়। বিভিন্ন অর্গানাইজেশনে এই Internship গুলো করা হয়। এইখানে যা যা উল্লেখ করা আবশ্যক; Name of the Organization, Department, Project Title / Section, Job Responsibility, Duration.
Training:
এই অংশটি উল্লেখ করা প্রয়োজন।
তবে আপনার CV টি চাকুরীর জন্য আবেদন করবেন সেই কাজের সাথে এই ট্রেনিং এর বিষয়বস্তু মিল থাকলে উল্লেখ করবেন। অযথা অসামাঞ্জস্য বিষয় উল্লেখ করা উচিত নয়। Training এর এই অংশটিতে যা যা উল্লেখ করা প্রয়োজন তা হল; Name of the Training, Name of the Training Institute, Duration of the Training ইত্যাদি
Language Proficiency:
এ ক্ষেত্রে ভাষার দক্ষতা টেবুলার ফরম্যাটে দিলে সবচেয়ে ভালো হয়। আমরা সবাই কমবেশি বাংলা এবং ইংরেজী এই দুইটা ভাষা দিয়ে থাকি। এই টেবিল ফরম্যাটে উল্লেখ করবেন আপনি সেই ভাষায় কেমন দক্ষ তা লিখবেন [Moderate, Good, Well] ভিন্ন ভিন্ন কলামে Verbal এবং Writing এর জন্য. আর Language Proficiency কোনও পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে থাকলে তাও উল্লেখ করা যেতে পারে।
Computer Skill:
এই অংশটি আজকাল যেকোনো চাকুরীর ক্ষেত্রে Employer রা মনযোগ সহকারে দেখেন। আজকাল সব চাকুরীর ক্ষেত্রে Computer Skill টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নেওয়া হয়। আপনার Computer এর কোন কোন বিভাগে কি কি বিষয়ে বিশদ দক্ষতা আছে, কোর্স করেছেন, সফটওয়্যারে ট্রেইনিং নিয়েছেন তা উল্লেখ করুন এই অংশে। সাধারণ বাহুল্য কথা বলার দরকার নেই যেমন ই-মেইল করতে পারি, ব্রাউজিং করতে পারি এইগুলো। Software গুলোকে নিচের দেওয়া বিন্যাস আকারে সাজাতে পারেন।
Operating System : Windows 95, 98, 2000,
Word Processor : Microsoft Word
Spreadsheet Analysis : Excel, Access
Presentation Graphics : Microsoft PowerPoint.
Graphics Software : Corel draw, Photoshop,
CAD Software : Auto CAD.
Project : Microsoft Project.
Programming Language : C/C++
Scholarship / Award:
এইটা একজন ব্যক্তি তার পড়ালেখা বা ছাত্রজীবনে কেমন ছিল তার একটা চিত্র তুলে ধরে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বা পড়াশুনা জীবনে আপনি কি কি বৃত্তি পেয়েছে বা পুরস্কৃত হয়েছেন তা উল্লেখ করুন। ডিটেইল উল্লেখ করার দরকার নেই। পয়েন্ট আকারে প্রতিটির জন্য ১ লাইনে উল্লেক করুন। আর যদি আপনার না থাকে তাহলে সিভি তে এই অংশ উল্লেখ করার দরকার নেই।
Personal Information:
আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের অংশে নিচের দেওয়া তথ্য আকারে অবশ্যই সাজিয়ে গুছিয়ে লিখে ফেলুন। মনে রাখবেন এই বিভাগের একটি অংশ যেন ভুল, অসত্য না হয়।
Date of Birth :
Father :
Mother :
Religion :
Nationality :
Gender :
Marital Status :
Blood group :
Permanent Address :
Reference:
এই অংশটি একটি CV তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনি রেফারেন্স হিসেবে কাকে কাকে ব্যবহার করতে পারবেন আর কাদেরকে ব্যবহার করতে পারবেন না তা আপনাকে জানতে হবে। আপনার পরিবারের কাউকে ব্যবহার করতে পারবেন না যেমন রেফারেন্স হিসেবে আপনার বাবা, ভাই বা আত্নীয় স্বজনকে ব্যবহার করা যাবে না।
এক্ষেত্রে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে, ব্যবহার করতে পারবেন আপনার পূর্বের অফিসের কলিগ বা Employer কে, ব্যবহার করতে পারেন আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র কোনও ভাই কে। Reference এ যা যা উল্লেখ করবেন তা হল Name of the Referee, Name of his Job organization, Post / designation, E-mail, Phone no.
এইখানে কয়েকটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। যাকে আপনি রেফারেন্সে ব্যবহার করছেন তার কাছ থেকে আগে অবশ্যই অনুমতি নিবেন। তিনি অনুমতি দিলেই তার নাম আপনার সিভির রেফারেন্স সেকশনে ব্যবহার করবেন। আপনার CV এর একটি কপি তাকে মেইল করে দিন।
আর কোথাও আবেদন করলে তাকে ফোনে বা ই-মেইল করে জানিয়ে দিন। হয়তো অনেক সময় আপনার আবেদন কৃত অর্গানাইজেশন এই রেফারেন্সকৃত ব্যক্তিকে ই-মেইল / ফোন করে আপনার সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার সম্পর্কে তিনি না বলতে পারলে আপনার জন্য তা নেগেটিভ হবে। রেফারেন্সেকৃত ব্যক্তির ই-মেইল সর্বদাই তার অর্গানাইজেরশনের ব্যবহার করলে ভালো হয়। পার্সোনাল ই-মেইল ব্যবহার করা উচিত নয়।
এবং একই সাথে অন্তঃত ২জন বা সর্বোচ্চ ৩ জনকে রেফারেন্সে ব্যবহার করা উচিত।
যেমনঃ
Name : Apurba Hossain
Organization : Prime Bank Ltd.
Designation : General Manager
E-mail :
Cell : 01711 ……
Declaration:
এই অংশটিতে উল্লেখ করতে হবে যে উপরে আমার দেওয়া সকল তথ্য নির্ভুল ও সঠিক। কোনও তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি তার প্রয়োজনমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।
Signature & Date:
অনেকেই CV তে স্বাক্ষর করতে ভুলে যান। এমনকি স্বাক্ষর করাটাকে গুরুত্বপূর্ণ ও মনে করেন না।
আপনার প্রদত্ত কোনও CV তে যদি আপনার স্বাক্ষর না থাকে তাহলে সেই CV কার্যত একজন Employer এর কাছে মূল্যহীন মনে হতে পারে। অবশ্যই আপনার CV এর শেষাংশে নীচে ডান পাশে আপনার নাম লিখে স্বাক্ষর ও তারিখ লিখতে ভুল করবেন না।
আগামীতে Resume কিভাবে লিখতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ধন্যবাদ
Find / Follow me on facebook:
https://www.facebook.com/neelchy
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।