ভারতের জনগন কংগ্রেস ও বিজেপির রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা, দূর্ণীতি ও কুশাষন থেকে মুক্তি খুঁজতে যেয়ে কয়েকবার সুযোগ দিয়েছে তৃতীয় রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক শক্তিকে। যে কারনেই আমার প্রিয় নেতা বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ (ভিপি সিংহ), চন্দ্রশেখর, আই কে গুজরাল ও দেবগৌড়াকে কয়েকবার সুযোগ দিয়েছিল। বাংলাদেশের জনগনকেও সে সুযোগটা দেবার একটা সুযোগ এবার এসেছে বলেই প্রতীয়মান হয়। নির্ভর করছে রাজনৈতিক কুশীলবদের উপর তারা সেটা সঠিকভাবে জনগনের পাতে তুলে দিতে পারবেন কিনা! চট্টগ্রামের লালদীঘি থেকে শুরু হলো। শুরুটা ভালভাবেই করেছেন সিপাহশালার, ডাকসুর দুইবারের ভিপি জনাব মাহামুদুর রহমান মান্না, গনতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরোওয়ার্দীর যোগ্য উত্তরাধিকারি ডক্টর কামাল হোসেনকে নিয়ে।
যার প্রতিফলন দেখা গেল বরিশালের অশ্বিনী কুমার মাঠে। উপস্হিত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বঙ্গ শার্দুল কাদের সিদ্দিকি, স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, ডাকসু ভিপি আ স ম আব্দুর রব সহ আরো অনেকেই। এবার আশা করি, পরবর্তী কোন জনসভায় উনাদের সাথে যোগ হবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ এবং নোবেল বিজয়ী ডক্টর ইউনুস। না, না, ভ্রু কুচকাবেন না! একদা স্বৈরাচার, স্বৈরাচার করতে যিনি মুখে ফেনা তুলতেন, সেই প্রিয় ইনু ভাই সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং সমস্যা নেই।
সকল সংকীর্নতা ঝেড়ে ফেলে উনারা যদি সত্যিই একসাথে একটা মোর্চা করে নির্বাচন পর্যন্ত যেতে পারেন, তাহলে কে জানে, বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিদলীয় রাহাজানি, দুর্বৃত্তপনার পরিবর্তে জনগন এবারই পেতে পারে একটা তৃতীয় গনতান্ত্রিক শক্তির সরকার। হোক না সেটা মাত্র নয় কিংবা ছয় মাসের! দীর্ঘদিনের একটা একঘেয়েমি থেকেতো মুক্তি পাওয়া যাবে! প্রফেসর ইউনুস, জনাব এরশাদ, বি চৌধুরী এবং ডক্টর কামালকে বলছি, মনে রাখবেন মোষ্ট প্রোব্যবলি, এটাই আপনাদের জীবনের শেষ সুযোগ। আপনাদের জন্যেতো বটেই, দেশের জন্যেও। জয় বাংলাদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।