সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পিএ কাজলের সন্ধান মিলেছে। বিতর্কিত এই নির্মাতা এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র সাব-এডিটর শামছুল হক রাসেলের সঙ্গে তার কথা হয়। এ সময় তিনি জানান, তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। কোনো চিত্র নির্মাতা বা কোনো শিল্পীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে তিনি কিছু বলেননি এবং কারও ভয়ে তিনি কলকাতা পালিয়ে যাননি।
চিকিৎসার প্রয়োজনে তাকে সেখানে যেতে হয়েছে। কাল শুক্রবার সেখানে তার এন্ড্রোসকপি হবে। রবিবার দেশে ফিরেই এ ঘটনার মোকাবিলা করবেন তিনি। তা ছাড়া ফিরে এসেই ৩টি বিগ বাজেটের চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজও শুরু করবেন। নায়িকা অমৃতার সঙ্গে ফেসবুকে তার কথোপকথন প্রসঙ্গে এ নির্মাতা বলেন, এ নামে আমি কাউকে তেমন একটা চিনি না।
সুতরাং অচেনা কারও সঙ্গে ফেসবুকে কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না। সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য অনেকেই আমাকে জড়িয়ে অনেক কিছু করতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। পিএ কাজল আরও জানান, প্রায় এক মাস আগে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে এবং ইনবঙ্ ম্যাসেজের মাধ্যমে তা ফেসবুক ফ্রেন্ডদের জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, হয়তো কেউ তার হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে এই অপপ্রচার চালিয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে এখন মুষ্টিমেয় কয়েকজন নির্মাতা কাজ করছেন।
তাদের মধ্যে তিনি একজন এবং পরিচালনায় স্বল্প সময়ে জাতীয় পুরস্কার লাভসহ নানা সফলতা অর্জন করেছেন। তার এ সফলতায় ইর্ষান্বিত হয়ে অনেকেই তার বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়িতে নেমেছেন। তিনি বলেন, কেউ যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে তবে তিনিও তার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবেন। কারণ এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন তিনি।
এদিকে পরিচালক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন আবারও জানিয়েছেন, পিএ কাজলের অপকর্মের যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ তার কাছে রয়েছে।
বিতর্কিত এই নির্মাতা ফোনে তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি ফিরে এলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমিতির সভাপতি খোকন আরও জানান, এ পর্যন্ত একাধিকবার শোকজ নোটিস নিয়ে সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিল্পী চক্রবতী পিএ কাজলের স্বামীবাগের বাসায় গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কাউকে না পেয়ে ফেরত এসেছেন। সভাপতি আরও বলেন, অপকর্মকারীকে উপযুক্ত শাস্তি পেতেই হবে।
বিচারের হাত থেকে কারও রেহাই নেই।
অপরদিকে চিত্রনায়িকা অমৃতা খান বিনোদন প্রতিবেদক আলী আফতাবের কাছে পিএ কাজলের এ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'তিনি আমাকে চেনেন না বলে যা বলেছেন তা একবারেই মিথ্যা। শুধু ফেসবুকে নয়, ফোনেও তিনি চলচ্চিত্রে কাজের ব্যাপারে অনেকবার কথা বলেছেন আমার সঙ্গে। এর যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে।
্এদিকে কাজলতত্ত্বে ক্রমেই বিস্ফোরণ উন্মুখ হয়ে উঠছে চলচ্চিত্র জগৎ।
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পিএ কাজলের দেওয়া কুপ্রস্তাবের কথা মিডিয়ার কাছে ফাঁস করে দেন মডেল তাবাসসুম রিয়া। এরপর নায়িকা অমৃতা খান একই অভিযোগে মুখ খোলেন। 'চলচ্চিত্রে সুযোগ পেতে হলে নির্মাতাদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রাখতে হয়' এই দুই মডেল অভিনেত্রীর কাছে দেওয়া পিএ কাজলের এমন তত্ত্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চলচ্চিত্র জগৎ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।