ইবাদতের মুল উদ্দেশ্য হলো মানুষের উপর
থেকে আল্লাহ
ছাড়া অন্য শক্তির প্রভুত্বকে খতম করা। আর এই
উদ্দেশ্য
জান মা ব্যায় করে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করার
নাম জিহাদ।
তাই জিহাদ ইসলামের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক।
মানুষের
জীবনে ইসলাম কে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম ও
প্রচেষ্টাকে বলা হয় জিহাদ। জিহাদ কথাটার অর্থ
তাই
ব্যাপক।
আমাদের চারিদিকে সীমাহীন অন্যায়-
অত্যাচার
,জুলুম নির্যাতন,পাপ,কুশিক্ষা, নোংরামি ও
উলংগপনার মুল
কারন কি কখনো কি আমরা ভেবে দেখেছি?এ
সবের প্রকৃত
ও মুল কারন হলো আজকের সমাজের নেতৃত্ব,
কর্তৃত্ব ও
শক্তি সামর্থ্য
রয়েছে অত্যাচারী দুরাচারী লোকদের হাতে।
সাধারন ভাবে আমরা দেখি একজন ড্রাইভার
নিজের
ইচ্ছেমত গাড়িকে যেদিক ইচ্ছা সেদিক
নিতে পারে। তাই
সমাজের উপর নেমে আসে অশান্তি বিপর্যয়। আর
তা থেকে মুক্তির একমাত্র পথই হলো এই অসৎ
নেতৃত্ব
থেকে সমাজ কে মুক্ত করে ফেলা। ইসলাম চায়
দুনিয়ার সব
জায়গায় এই অসৎ নেতৃত্বককে খতম করে আল্লাহর
আইন
প্রতিষ্ঠা করতে আর এই প্রচেষ্টার নামই জিহাদ।
এই
জন্ন্য প্রয়োজন হলে শক্তি প্রয়োগ যেমন জিহাদ
তেমনি এ উদ্দেশ্য সাহিত্য রচনার জন্ন্য কলম
ধরাও
তেমনি জিহাদ।
কিন্তু একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে যাওয়া উচিত।
তা হলো জিহাদের প্রথম পদক্ষেপ হলো নিজের
সাথে জিহাদ। নিজের মন ও মানসিকতায় আল্লাহ
ও রাসুলের
শিক্ষা দীক্ষার বিরোধী কোন শিক্ষা ও
ইচ্ছা থাকলে সবার
আগে তার বিরুদ্ধেই জিহাদ করতে হবে।
যে ব্যক্তি নিজের
ভেতরের বিদ্রোহী আত্নার সাথে জিহাদ
করেনি,সমাজের
চার পাশের অন্যায় অসত্যর বিরুদ্ধে সে জিহাদ
করতে পারেনা।
তাই জিহাদ বলতে কেউ
সাধারনত,যুদ্ধ
মারামারি,কাটাকাটি বুঝে তবে ভুল হবে। জিহাদ
একটি পবিত্র
কাজ। মুসলমানদের পবিত্র দায়িত্ব।
“”আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন”"”"”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।