প্রথমবারের মতো কার্বন ন্যানোটিউব ব্যবহার করে গাণিতিক হিসাব করতে পারে এমন কম্পিউটার তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
একটি গ্রাফিনের পর্দা বা একটি কার্বন পরমাণুর সমান পুরু চাদরকে সিলিন্ডারের মতো গুটিয়ে নিলে যে টিউব তৈরি হয় সেটাই কার্বন ন্যানোটিউব। ক্ষুদ্র এ টিউব শক্তিশালী ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ছাড়া দেখা যায় না। কার্বন কম্পিউটার তৈরিতে সফল হওয়ায় নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল পণ্য তৈরির দরজা উন্মুক্ত হয়েছে বলে গবেষকেরা মনে করছেন।
বিবিসি অনলাইনের এক খবরে জানানো হয়েছে, কার্বন ন্যানোটিউবের তৈরি এই কম্পিউটারের নাম ‘সেড্রিক’।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমানে সিলিকনভিত্তিক মডেলের কম্পিউটারের তুলনায় ভবিষ্যতে ক্ষুদ্র, দক্ষ ও দ্রুতগতির কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব হবে।
‘নেচার’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে ‘সেড্রিক’ কম্পিউটার নিয়ে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ।
গবেষকেরা অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছিলেন যে, সিলিকন কম্পিউটারের জায়গা নেবে কার্বন ন্যানোটিউবের কম্পিউটার কিন্তু সম্পূর্ণ ন্যানোটিউবের কম্পিউটার এতদিন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
সেড্রিক প্রসঙ্গে গবেষক ম্যাক্স সুলেকার জানিয়েছেন, মাত্র এক বিটের কম্পিউটার হলেও একে পূর্ণ কম্পিউটার বলা চলে। এ কম্পিউটারে যথেষ্ট মেমোরি থাকলে এটি সব ধরনের কাজই করতে পারবে।
বর্তমানে সেড্রিকে যে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে তা কেবল গুণতে পারে এবং নম্বর নির্বাচন করতে পারে। তবে এর আগে অন্যান্য গবেষকেদের তৈরি কার্বন ন্যানোটিউব ভিত্তিক কম্পিউটারের তুলনায় ‘সেড্রিক’ সঠিক উত্তর দিতে পারে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা আশা করছেন তাঁদের এই উদ্ভাবন শিগগিরই বাজারে আনার জন্য কাজ শুরু হবে।
এক নজরে’সেড্রিক’
১ বিটের প্রসেসর
১ কিলোহার্টজ গতি
১৭৮ ট্রানজিস্টর
প্রতি ট্রানজিস্টরে ১০-২০০ ন্যানোটিউব
২ বিলিয়ন কার্বন অণু
মাল্টিটাস্কিং সুবিধা
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।