অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা। আমার রুমমেট দেশে স্বল্প পড়াশুনা করা, আমাকে জিজ্ঞাস করলেন ভাই নাস্তিক কি? প্রশ্নটা শুনে প্রথমে চুপ হয়ে গেলাম এটা কেমন প্রশ্ন। কিছুক্ষন পর জবাব দিলাম স্কুলে পড়েছিস কিনা, ইশ্বরে বিশ্বাস করেন যিনি- আস্তিক
ইশ্বরে বিশ্বাস করেন না যিনি- নাস্তিক। সে বলল বুঝছি।
আমার উত্তর শুনে পাশের জন হেসে দিলেন। আমদের দেশে প্রযুক্তির ছড়াছড়ি। এখন গ্রাম না বলে মফস্বল বলাই উত্তম। গ্রামের ছেলেরা এখন লুঙ্গি পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়না। গ্রামে গনজে এখন ইন্টারনেট, ডিস্ স্যাটেলাইট।
মানুষ অনেক আপডেট এটা যেমন সত্য তেমন সত্য তারা এখনো অনেক কিছু জানেনা। গ্রামের অনেককে যদি জিজ্জাস করা হয় বাংলাদেশের রাষ্টপতির নাম কি? গ্রামে ছিলাম বলে বলতে পারি অনেকেই জানেনা বর্তমান রাষ্টপতির নাম। সাধারন মানুষের হাতের নাগালে এখন ইন্টারনেট। আমাদেরকে যেমন মসজিদের কথা বললে আমরা বিনা দ্বিদায় ২ টাকা বা সাদ্যসত দিয়ে দেই তেমনী এ ইনটানেটে বা ফেসবুকে ভন্ড জামাত- হেফাজত ফেজগুলো নানা ভুয়া তথ্য প্রচার করে আসছে ধর্মকে ব্যবহার করে রেপারেন্স ছাড়া, অনেক সময় লেখা থাকে মাস্ট শেয়ার। না জেনে, না বুঝে আমরা সধারন মানুষও শেয়ার দিয়ে দেই।
সাধারন মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে ব্যবহার করে জামাত দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এই হল বাস্তবতা। তারা অনেক কিছু নিয়ে ভাবেন না। এসব সহজ সরল মানুষকে পূজি করেই জামাত ধর্মের নামে ব্যবসা করে যাচ্ছে। নিরিহ মানুষকে খুন করে যাচ্ছে।
কিছু দিন আগের ঘটনা জামাতিরা প্রচার করল সাইদীকে চাদে দেখা গেছে, আর এ গুজবকে কাজে লাগিয়ে ভন্ড জামাত তাদের উদ্ধেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করল, নিরিহ মানুষ খুন হল। মাইকে ঘোষনা দিয়ে ফটিকছড়িতে কি পরিস্তিতি তৈরি করে জামাত। পুলিশ হিমশিম খেল পরিস্তিতি স্বাভাবিক করতে।
সময়ের জামাতের নানা গুজবের মধ্যে সরকারী পোলীও কার্যক্রম নিয়ে যে মিথ্যাচার করল, সারা দেশে আতঙ্ক ছড়ালো। মানুষ তার আদরের সন্তান নিয়ে দিশেহারা হযে পড়ল।
৫০০, ১০০০ টাকা খরচ করে মানুষ হাসপাতালে গেল। ৫ টাকার স্যালাইন ৫০ টাকায় কিনল। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে এক ভয়াবহ পরিস্তিতির তৈরী করল জামাত।
নানা গুজবে ভরপুর এখন বাংলাদেশ। শুরুটা হয় প্রথম ৫ মার্চ গনজাগরন মন্চকে নিয়ে।
নানা অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে, নানা ফতোয়া দিতে দিতে শেষ প্রচার শুরু করল শাহবাগে সব নাস্তিক। সেখানে সব নাস্তিকদের মদের আড্ডা। সেখানে যে যাবে সেই নাস্তিক। যেহেতু আন্দোলনটা ব্লগাররা শুরু করল, তাই প্রচার করা হল ব্লগার সব নাস্তিক। জামাতের শেষ সম্ভল ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা।
তারা তাই করল। প্রথম ভাবছিলাম, এসব বলে তারা বেশিদূর এগুতে পারবেনা। অদ্ধুত ব্যপার এ গুজবে জামাত সফল না হলেও কম করেনি সাধারন মানুষের ইমান নিয়ে। যে কারনেই আমার রুমমেট এতদিন পরও জিজ্জাস করে নাস্তিক কি? তাকে কে বুঝাবে নাস্তিকা কি? আর আমাদের দেশে জামাত হেফাজতের প্রচার করা নাস্তিক কি? তারা কি শুরু করল গতকার দেখলাম হেফাজতের আমির বিমানে করে সমাবেশে যোগ দিচ্ছে, এসব যে জামাতের টাকায় হচ্ছে তা আর বলতে চাচ্ছি না।
যাইহোক গুজব নিয়ে কথা বলছিলাম।
বাঙলাদেশে নানা দিক থেকে এখন গুজব আর গুজব। এটিএম সামসুজ্জামান শাহবাগের আন্দোলনে একত্ব হয়ায় তাকে মৃত বানানো হল। সারা দেশে কঠিন সময় পার করছে আর ভন্ডরা প্রচার করছে জীবিত মানুষকে মৃত বানানোর চেষ্টা। প্রতিদিনই নানা গুজব চালিয়ে যাচ্ছে জামাত। সেইদিন দেখলাম, জামাতি ফেজে প্রচার করছে শত শত পুলিশ চাকরী ছেড়ে মুজাহিদ হচ্ছে।
আজ দেখলাম তিন ট্রাক লাশ গুম করা হয়েছে এনাম মেডিক্যাল থেকে। তারা এত কষ্ট করে
মানুষের চিকিংসা করে যাচ্ছে আর ভন্ড জামাত তাদেরও ছাড়ছে না। নানা কল্পকাহিনীতো আর থামছে না। এরকম একটা কাহিনী আগে নাউযুবিল্লা বলে নেই-নোয়াখালী থেকে আগত এক লোক বলছে সে স্বপ্ন দেখছে নবীজি তাকে বলছে তুই এখানে কি করিছ, সারাদেশে নাস্তিক নিদন চলছে যা আন্দোলনে যা।
এরকম নানা গুজবে আমার নিজের অবস্থাই বলি, না দেখতে চাইলেও এসব গুজব দেখতে হয় কোন না কোন মারফতে আমার ফেজে এসব গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে।
আমার নিজের ফেজের অবস্থা এমন অন্যদের অবস্থা ভালো হওয়ার কারন আছে বলে মনে হয় না। এত কিছু বলার এত কিছু লিখার একটাই কারন সত্য-মিথ্যা যাচাই করার চেষ্টা করুন। সবার কাছে একটাই অনুরোধ দয়াকরে একটু ভাবেন, আপনি যে দলই করেন না কেন, মানুষের সরলতা নিয়ে খলবেন না, নিজে প্রতারিত হবেনা। একটু ভাবুন জানুন তারপর শেয়ার করুন। আপনাকে কেউ ব্যবহার করছে কিনা বুঝার চেষ্টা করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।