হইয়া আমি দেশান্তরি দেশ বিদেশে ভিরাই তরী..নোঙ্গর ফেলি ঘাটে ঘাটে বন্দরে বন্দরে...আমার মনের নোঙ্গর পইরা রইছে হায়রে সারেং বাড়ির ঘরে...
পিটিশনের লিংক
পিটিশন সাইন করে কি লাভ ভাবি আমরা অনেকেই। আলোচনা, সমাবেশ মতো কর্মসূচীতে সবার অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না ইচ্ছা থাকলেও। পিটিশন এর মাঝে সবার একাত্মতা প্রকাশ পাবে শারীরিকভাবে না হোক মানসিক ভাবে। আমরা যারা প্রতিবাদ কমসুচিগুলোর সাথে সময় দিতে পারছি না ৫ মিনিট সময় বের করে সাইন করে আসা আমাদের জন্য কোন ব্যাপার হবার কথা না।
যথেষ্ট কাভারেজ পাওয়া গেলে ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া সুন্দরবন সম্পর্কে জানবে সচেতন হবে আর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুখে দেয়া সহজ হবে।
নিজে সাইন করুন। বন্ধুদের ইনবক্স করুন, সাইন করার জন্য উৎসাহিত করুন। প্রথমিক ভাবে সাইনিং টার্গেট ১০,০০০রাখা হল, সবাই বন্ধুদের উৎসাহিত করলে, ইনভাইট করলে এই টার্গেট পৌঁছা দুরহ হবার কথা নয়। একটু করেই আগাই!
প্রতিটি সাইনের সাথে একটি ইমেইল ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে যাবে। আরো কনসারন অরগানাইজেশন যুক্ত করার চিন্তা আছে।
কারো মাথায় কোন সাজেশন আসলে জানাবেন অনুগ্রহ করে।
বাংলায় পিটিশনের সংক্ষিপ্ত ব্যাকগ্রাউন্ডঃ
পৃথিবীতে কোল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ক্লিন টেকনোলজি বলে কিছু নাই।
বায়ূদূষণ কোন এলাকা ভিত্তিক হয় না, "উন্নতমানের আমদানিনির্ভর কয়লা" নদীপথে আনা হবে, যা ওই এলাকার জীববৈচিত্রের জন্য ক্ষতিকারক হবে। "অত্যাধুনিক সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি" মুলত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইফেসিয়েন্সি বাড়ায়, সাধারণত যেই প্রডাকশন ইফিশিয়েন্সি সেটা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল কম্বাস্টনের জন্য ইফিসিয়েন্সি বেড়ে হয় ৪২-৪৮%, পলিউটেন্ট হিসেবে কার্বন ডাই অক্সসাইড এর পরিমাণ কমে (৩০-৫০%)
উল্লেখ্য, সুন্দরবনের পলিউট্যান্ট কন্সারন কার্বন ডাই অক্সাইড না, কার্বন ডাই অক্সাইড গ্লোবাল লেভেলের কন্সারন লোকাল না! সুন্দরবনে পাওয়ার প্ল্যান্ট করার কন্সারন হল ছাই না স্লারি এবং পারটিকুলেট ম্যাটার, সাথে SOx অ্যান্ড NOx , পারিপার্শ্বিক এলাকায় অ্যাসিড রেইন তৈরি করার সম্ভাবনা বাড়াবে। এছাড়াও আছে হেভি মেটাল, লিড, মারকিউরি দূষণ যা যে কোন পরিবেশের জন্য অতন্ত্য ক্ষতিকারক।
এই সব পলিউট্যান্টের কারণে, প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাবে, সুন্দরবনের মাটির ঊর্বরতা হ্রাস পাবে, নদী দূষণ হবে কয়লা ট্রান্সপোরটের জন্য, গাছের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত হবে, এইগুলা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি দিয়ে রোধ করা সম্বভ না।
কেন এই পিটিশনঃ
কারো কারো মতে, পরিবেশের তো এমনিতেও ক্ষতি হচ্ছে ওমনিতেও ক্ষতি হচ্ছে, তাই রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে মারামারি করার কিছু নেই। তারা আরো বলতে চাচ্ছে, কস্ট বেনেফিট এনালাইসিস করলে বেনেফিটটাই বেশি পাবো। কেউ কেউ সরকারের কাজে মদদ দেবার জন্য আর কেউ শুধুমাত্র জানার অভাবের কারণে প্রতিবাদ করছে না। আদতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার সাথে অনেক লুকানো কস্ট থাকে, কয়লা বিদ্যুতকেন্দ্রের দূষণের কারণে যে ধরনের প্রাকৃতিক/শারীরিক প্রভাব পড়ে যা এনভারমেন্টাল সাইন্সের ভাষায় সোশ্যাল বা সামাজিক কস্ট হিসেবে হিসাব হয় যার টাকায় মান নির্ধারণ করা মুশকিল।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ এই ধরনের খচরের হিসাব দেয় না আর তার দায় বহন করে সাধারণ জনগণ। এটা বলাই বাহুল্য যে রামপালে যে প্রাকৃতিক ক্ষতি হবে তার মাত্রা এখনই জানা সম্ভব নয়। কিন্তু মাত্রা কোনভাবেই কম হবে না।
অর্থনৈতিক দিক থেকে চিন্তা করলে, সুন্দরবন একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ, আমাদের ট্যুরিস্ম এ নিয়ে স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং করলে হয়তো একদিন আমরা এই সুন্দরবন থেকেই প্রচুর আয় করতে পারবো।
পিটিশন সাইন করে কি লাভ ভাবি আমরা অনেকেই!আলোচনা, সমাবেশ বা লং মার্চের মতো কর্মসূচীতে সবার অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না ইচ্ছা থাকলেও।
পিটিশন এর মাঝে সবার একাত্মতা প্রকাশ পাবে শারীরিকভাবে না হোক মানসিক ভাবে। আমরা যারা প্রতিবাদ কমসুচিগুলোর সাথে সময় দিতে পারছি না ৫ মিনিট সময় বের করে সাইন করে আসা আমাদের জন্য কোন ব্যাপার হবার কথা না।
যথেষ্ট কাভারেজ পাওয়া গেলে ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া সুন্দরবন সম্পর্কে জানবে সচেতন হবে আর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুখে দেয়া সহজ হবে। নিজে সাইন করুন। বন্ধুদের ইনবক্স করুন, সাইন করার জন্য উৎসাহিত করুন।
প্রথমিক ভাবে সাইনিং টার্গেট ১,০০০রাখা হল, সবাই বন্ধুদের উৎসাহিত করলে, ইনভাইট করলে এই টার্গেট পৌঁছা দুরহ হবার কথা নয়। একটু করেই আগাই!
প্রতিটি সাইনের সাথে একটি ইমেইল ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে যাবে। আরো কনসারন অরগানাইজেশন যুক্ত করার চিন্তা আছে। কারো মাথায় কোন সাজেশন আসলে জানাবেন অনুগ্রহ করে।
বাংলায় পিটিশনের সংক্ষিপ্ত ব্যাকগ্রাউন্ডঃ
পৃথিবীতে কোল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ক্লিন টেকনোলজি বলে কিছু নাই।
বায়ূদূষণ কোন এলাকা ভিত্তিক হয় না, "উন্নতমানের আমদানিনির্ভর কয়লা" নদীপথে আনা হবে, যা ওই এলাকার জীববৈচিত্রের জন্য ক্ষতিকারক হবে। "অত্যাধুনিক সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি" মুলত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইফেসিয়েন্সি বাড়ায়, সাধারণত যেই প্রডাকশন ইফিশিয়েন্সি সেটা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল কম্বাস্টনের জন্য ইফিসিয়েন্সি বেড়ে হয় ৪২-৪৮%, পলিউটেন্ট হিসেবে কার্বন ডাই অক্সসাইড এর পরিমাণ কমে (৩০-৫০%)
উল্লেখ্য, সুন্দরবনের পলিউট্যান্ট কন্সারন কার্বন ডাই অক্সাইড না, কার্বন ডাই অক্সাইড গ্লোবাল লেভেলের কন্সারন লোকাল না! সুন্দরবনে পাওয়ার প্ল্যান্ট করার কন্সারন হল ছাই না স্লারি এবং পারটিকুলেট ম্যাটার, সাথে SOx অ্যান্ড NOx , পারিপার্শ্বিক এলাকায় অ্যাসিড রেইন তৈরি করার সম্ভাবনা বাড়াবে। এছাড়াও আছে হেভি মেটাল, লিড, মারকিউরি দূষণ যা যে কোন পরিবেশের জন্য অতন্ত্য ক্ষতিকারক।
এই সব পলিউট্যান্টের কারণে, প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাবে, সুন্দরবনের মাটির ঊর্বরতা হ্রাস পাবে, নদী দূষণ হবে কয়লা ট্রান্সপোরটের জন্য, গাছের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত হবে, এইগুলা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি দিয়ে রোধ করা সম্বভ না।
কেন এই পিটিশনঃ
কারো কারো মতে, পরিবেশের তো এমনিতেও ক্ষতি হচ্ছে ওমনিতেও ক্ষতি হচ্ছে, তাই রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে মারামারি করার কিছু নেই।
তারা আরো বলতে চাচ্ছে, কস্ট বেনেফিট এনালাইসিস করলে বেনেফিটটাই বেশি পাবো। কেউ কেউ সরকারের কাজে মদদ দেবার জন্য আর কেউ শুধুমাত্র জানার অভাবের কারণে প্রতিবাদ করছে না। আদতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার সাথে অনেক লুকানো কস্ট থাকে, কয়লা বিদ্যুতকেন্দ্রের দূষণের কারণে যে ধরনের প্রাকৃতিক/শারীরিক প্রভাব পড়ে যা এনভারমেন্টাল সাইন্সের ভাষায় সোশ্যাল বা সামাজিক কস্ট হিসেবে হিসাব হয় যার টাকায় মান নির্ধারণ করা মুশকিল। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ এই ধরনের খচরের হিসাব দেয় না আর তার দায় বহন করে সাধারণ জনগণ। এটা বলাই বাহুল্য যে রামপালে যে প্রাকৃতিক ক্ষতি হবে তার মাত্রা এখনই জানা সম্ভব নয়।
কিন্তু মাত্রা কোনভাবেই কম হবে না।
অর্থনৈতিক দিক থেকে চিন্তা করলে, সুন্দরবন একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ, আমাদের ট্যুরিস্ম এ নিয়ে স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং করলে হয়তো একদিন আমরা এই সুন্দরবন থেকেই প্রচুর আয় করতে পারবো। পিটিশনের লিংক
পিটিশন সাইন করে কি লাভ ভাবি আমরা অনেকেই। আলোচনা, সমাবেশ মতো কর্মসূচীতে সবার অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না ইচ্ছা থাকলেও। পিটিশন এর মাঝে সবার একাত্মতা প্রকাশ পাবে শারীরিকভাবে না হোক মানসিক ভাবে।
আমরা যারা প্রতিবাদ কমসুচিগুলোর সাথে সময় দিতে পারছি না ৫ মিনিট সময় বের করে সাইন করে আসা আমাদের জন্য কোন ব্যাপার হবার কথা না।
যথেষ্ট কাভারেজ পাওয়া গেলে ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া সুন্দরবন সম্পর্কে জানবে সচেতন হবে আর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুখে দেয়া সহজ হবে। নিজে সাইন করুন। বন্ধুদের ইনবক্স করুন, সাইন করার জন্য উৎসাহিত করুন। প্রথমিক ভাবে সাইনিং টার্গেট ১০,০০০রাখা হল, সবাই বন্ধুদের উৎসাহিত করলে, ইনভাইট করলে এই টার্গেট পৌঁছা দুরহ হবার কথা নয়।
একটু করেই আগাই!
প্রতিটি সাইনের সাথে একটি ইমেইল ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে যাবে। আরো কনসারন অরগানাইজেশন যুক্ত করার চিন্তা আছে। কারো মাথায় কোন সাজেশন আসলে জানাবেন অনুগ্রহ করে।
বাংলায় পিটিশনের সংক্ষিপ্ত ব্যাকগ্রাউন্ডঃ
পৃথিবীতে কোল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ক্লিন টেকনোলজি বলে কিছু নাই।
বায়ূদূষণ কোন এলাকা ভিত্তিক হয় না, "উন্নতমানের আমদানিনির্ভর কয়লা" নদীপথে আনা হবে, যা ওই এলাকার জীববৈচিত্রের জন্য ক্ষতিকারক হবে।
"অত্যাধুনিক সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি" মুলত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইফেসিয়েন্সি বাড়ায়, সাধারণত যেই প্রডাকশন ইফিশিয়েন্সি সেটা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল কম্বাস্টনের জন্য ইফিসিয়েন্সি বেড়ে হয় ৪২-৪৮%, পলিউটেন্ট হিসেবে কার্বন ডাই অক্সসাইড এর পরিমাণ কমে (৩০-৫০%)
উল্লেখ্য, সুন্দরবনের পলিউট্যান্ট কন্সারন কার্বন ডাই অক্সাইড না, কার্বন ডাই অক্সাইড গ্লোবাল লেভেলের কন্সারন লোকাল না! সুন্দরবনে পাওয়ার প্ল্যান্ট করার কন্সারন হল ছাই না স্লারি এবং পারটিকুলেট ম্যাটার, সাথে SOx অ্যান্ড NOx , পারিপার্শ্বিক এলাকায় অ্যাসিড রেইন তৈরি করার সম্ভাবনা বাড়াবে। এছাড়াও আছে হেভি মেটাল, লিড, মারকিউরি দূষণ যা যে কোন পরিবেশের জন্য অতন্ত্য ক্ষতিকারক।
এই সব পলিউট্যান্টের কারণে, প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাবে, সুন্দরবনের মাটির ঊর্বরতা হ্রাস পাবে, নদী দূষণ হবে কয়লা ট্রান্সপোরটের জন্য, গাছের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত হবে, এইগুলা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি দিয়ে রোধ করা সম্বভ না।
কেন এই পিটিশনঃ
কারো কারো মতে, পরিবেশের তো এমনিতেও ক্ষতি হচ্ছে ওমনিতেও ক্ষতি হচ্ছে, তাই রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে মারামারি করার কিছু নেই। তারা আরো বলতে চাচ্ছে, কস্ট বেনেফিট এনালাইসিস করলে বেনেফিটটাই বেশি পাবো।
কেউ কেউ সরকারের কাজে মদদ দেবার জন্য আর কেউ শুধুমাত্র জানার অভাবের কারণে প্রতিবাদ করছে না। আদতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার সাথে অনেক লুকানো কস্ট থাকে, কয়লা বিদ্যুতকেন্দ্রের দূষণের কারণে যে ধরনের প্রাকৃতিক/শারীরিক প্রভাব পড়ে যা এনভারমেন্টাল সাইন্সের ভাষায় সোশ্যাল বা সামাজিক কস্ট হিসেবে হিসাব হয় যার টাকায় মান নির্ধারণ করা মুশকিল। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ এই ধরনের খচরের হিসাব দেয় না আর তার দায় বহন করে সাধারণ জনগণ। এটা বলাই বাহুল্য যে রামপালে যে প্রাকৃতিক ক্ষতি হবে তার মাত্রা এখনই জানা সম্ভব নয়। কিন্তু মাত্রা কোনভাবেই কম হবে না।
অর্থনৈতিক দিক থেকে চিন্তা করলে, সুন্দরবন একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ, আমাদের ট্যুরিস্ম এ নিয়ে স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং করলে হয়তো একদিন আমরা এই সুন্দরবন থেকেই প্রচুর আয় করতে পারবো।
পিটিশন সাইন করে কি লাভ ভাবি আমরা অনেকেই!আলোচনা, সমাবেশ বা লং মার্চের মতো কর্মসূচীতে সবার অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না ইচ্ছা থাকলেও। পিটিশন এর মাঝে সবার একাত্মতা প্রকাশ পাবে শারীরিকভাবে না হোক মানসিক ভাবে। আমরা যারা প্রতিবাদ কমসুচিগুলোর সাথে সময় দিতে পারছি না ৫ মিনিট সময় বের করে সাইন করে আসা আমাদের জন্য কোন ব্যাপার হবার কথা না।
যথেষ্ট কাভারেজ পাওয়া গেলে ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া সুন্দরবন সম্পর্কে জানবে সচেতন হবে আর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুখে দেয়া সহজ হবে।
নিজে সাইন করুন। বন্ধুদের ইনবক্স করুন, সাইন করার জন্য উৎসাহিত করুন। প্রথমিক ভাবে সাইনিং টার্গেট ১,০০০রাখা হল, সবাই বন্ধুদের উৎসাহিত করলে, ইনভাইট করলে এই টার্গেট পৌঁছা দুরহ হবার কথা নয়। একটু করেই আগাই!
প্রতিটি সাইনের সাথে একটি ইমেইল ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে যাবে। আরো কনসারন অরগানাইজেশন যুক্ত করার চিন্তা আছে।
কারো মাথায় কোন সাজেশন আসলে জানাবেন অনুগ্রহ করে।
বাংলায় পিটিশনের সংক্ষিপ্ত ব্যাকগ্রাউন্ডঃ
পৃথিবীতে কোল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ক্লিন টেকনোলজি বলে কিছু নাই।
বায়ূদূষণ কোন এলাকা ভিত্তিক হয় না, "উন্নতমানের আমদানিনির্ভর কয়লা" নদীপথে আনা হবে, যা ওই এলাকার জীববৈচিত্রের জন্য ক্ষতিকারক হবে। "অত্যাধুনিক সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি" মুলত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইফেসিয়েন্সি বাড়ায়, সাধারণত যেই প্রডাকশন ইফিশিয়েন্সি সেটা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল কম্বাস্টনের জন্য ইফিসিয়েন্সি বেড়ে হয় ৪২-৪৮%, পলিউটেন্ট হিসেবে কার্বন ডাই অক্সসাইড এর পরিমাণ কমে (৩০-৫০%)
উল্লেখ্য, সুন্দরবনের পলিউট্যান্ট কন্সারন কার্বন ডাই অক্সাইড না, কার্বন ডাই অক্সাইড গ্লোবাল লেভেলের কন্সারন লোকাল না! সুন্দরবনে পাওয়ার প্ল্যান্ট করার কন্সারন হল ছাই না স্লারি এবং পারটিকুলেট ম্যাটার, সাথে SOx অ্যান্ড NOx , পারিপার্শ্বিক এলাকায় অ্যাসিড রেইন তৈরি করার সম্ভাবনা বাড়াবে। এছাড়াও আছে হেভি মেটাল, লিড, মারকিউরি দূষণ যা যে কোন পরিবেশের জন্য অতন্ত্য ক্ষতিকারক।
এই সব পলিউট্যান্টের কারণে, প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাবে, সুন্দরবনের মাটির ঊর্বরতা হ্রাস পাবে, নদী দূষণ হবে কয়লা ট্রান্সপোরটের জন্য, গাছের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত হবে, এইগুলা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি দিয়ে রোধ করা সম্বভ না।
কেন এই পিটিশনঃ
কারো কারো মতে, পরিবেশের তো এমনিতেও ক্ষতি হচ্ছে ওমনিতেও ক্ষতি হচ্ছে, তাই রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে মারামারি করার কিছু নেই। তারা আরো বলতে চাচ্ছে, কস্ট বেনেফিট এনালাইসিস করলে বেনেফিটটাই বেশি পাবো। কেউ কেউ সরকারের কাজে মদদ দেবার জন্য আর কেউ শুধুমাত্র জানার অভাবের কারণে প্রতিবাদ করছে না। আদতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার সাথে অনেক লুকানো কস্ট থাকে, কয়লা বিদ্যুতকেন্দ্রের দূষণের কারণে যে ধরনের প্রাকৃতিক/শারীরিক প্রভাব পড়ে যা এনভারমেন্টাল সাইন্সের ভাষায় সোশ্যাল বা সামাজিক কস্ট হিসেবে হিসাব হয় যার টাকায় মান নির্ধারণ করা মুশকিল।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ এই ধরনের খচরের হিসাব দেয় না আর তার দায় বহন করে সাধারণ জনগণ। এটা বলাই বাহুল্য যে রামপালে যে প্রাকৃতিক ক্ষতি হবে তার মাত্রা এখনই জানা সম্ভব নয়। কিন্তু মাত্রা কোনভাবেই কম হবে না।
অর্থনৈতিক দিক থেকে চিন্তা করলে, সুন্দরবন একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ, আমাদের ট্যুরিস্ম এ নিয়ে স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং করলে হয়তো একদিন আমরা এই সুন্দরবন থেকেই প্রচুর আয় করতে পারবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।