রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আশরাফুর রহিমের কাছে তাঁর সম্পদের বিভিন্ন নথি চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার টানা দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের সময় আশরাফুর রহিমের দেওয়া মৌখিক তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে এসব তথ্য চান দুদকের উপপরিচালক শেখ মেসবাউদ্দিন। আশরাফুর রহিমের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, আশরাফুর রূপসী বাংলা হোটেলের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের (বিএসএল) প্রধান পরিকল্পনা প্রকৌশলী। বিএসএলের পরিচালিত আরেকটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (সাবেক বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র)।
উপপরিচালক শেখ মেসবাউদ্দিন জানান, সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে (রাজধানীর সেগুন বাগিচা) আশরাফুরের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে। এ সময় তাঁর বিরুদ্ধে থাকা নানা অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আশরাফুর নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন বলেও জানান দুদকের এই কর্মকর্তা। শেখ মেসবা জানান, মৌখিকভাবে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তা যাচাইয়ের জন্য আশরাফুরের কাছে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নথি চাওয়া হয়েছে। সেগুলো হাতে পেলে অনুসন্ধানের বাকি কাজ শুরু হবে।
দুদক সূত্র জানায়, আশরাফুর রহিমের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালে ওই হোটেলের পশ্চিম পাশের ভবন নির্মাণে অনিয়ম, ক্রু-লাউঞ্জ তৈরিতে লাখ টাকার দুর্নীতি এবং এক কোটি টাকা খরচ করে হোটেলের রান্নাঘর তৈরিসহ বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগপত্র অনুমোদন
কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেডের সাবেক দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
অভিযোগপত্রে যাঁদের আসামি করা ব্যক্তিরা হলেন বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেডের শ্যামলী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. রওশন আলী এবং একই শাখার সাবেক সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক মো. এনামুল হক।
সূত্র জানায়, কোম্পানির ৮৪ লাখ ৪৬ হাজার ১৫৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর আদাবর (ডিএমপি) থানায় ২০১১ সালে ১৬ আগস্ট মামলা করেন বাটারফ্লাইয়ের আইন কর্মকর্তা নিত্যানন্দ মজুমদার শিমুল। মামলাটির তদন্ত করেন দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ারুল হক।
এজাহার অনুযায়ী মো. রওশন আলী ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৬৮টি চালান মোতাবেক টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, এসি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ইত্যাদি গ্রহণ করেন। ওই সময়ে ঘাটতি পণ্য বাবদ ৭০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৩০ টাকা, ৫৮ জন গ্রাহক থেকে কিস্তি আদায় বাবদ ১৮ লাখ ৪০ হাজার তিন টাকা, নগদ দুই লাখ ৮৯ হাজার ৩৬২ টাকা, বিনিময় পণ্যের পার্থক্যকৃত মূল্য বাবদ ৩৩ হাজার ১০০ টাকা, খুচরা যন্ত্রাংশ বাবদ সাড়ে ১৯ হাজার টাকা ও সার্ভিস বিল বাবদ ১২ হাজার ৪৪০ টাকা—সব মিলিয়ে মোট ৯২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫ টাকা কোম্পানির হিসাবে জমা দেননি। পরবর্তী সময় নগদ ও মালামালসহ মাত্র সাত লাখ ৭১ হাজার ৮৮১ টাকা জমা দেন। অবশিষ্ট ৮৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৫৪ টাকা তিনি আত্মসাত্ করেন। কোম্পানির বিভাগীয় তদন্ত ও নিরীক্ষা বিভাগও ওই আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।