আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুপার ফ্লপ মৌসুমী শাবনূর!

এবারও দর্শক নজর কাড়তে পারলেন না মৌসুমী-শাবনূর। সম্প্রতি এই দুই নায়িকা অভিনীত 'কিছু আশা কিছু ভালোবাসা' চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে। সবার প্রত্যাশা ছিল দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায় আসা শীর্ষ এ অভিনেত্রীদের চলচ্চিত্র দেখতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ঢল নামবে। অনেক আশা নিয়ে দর্শক এসেছিলও। কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরে গেছে তারা।

এতে সুপার ফ্লপ হলেন মৌসুমী ও শাবনূর।

মুস্তাফিজুর রহমান মানিকের নির্মাণে আন্তরিকতার অভাব ছিল না। গল্পেও নতুনত্ব ছিল। সুদীপ কুমার দীপের লেখা গান ছিল এ চলচ্চিত্রের প্রাণ। ফেরদৌসের সাবলীল অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকের।

কিন্তু গল্প গড়িয়েছে মৌসুমী ও শাবনূরকে ঘিরে। দামিনী- কামিনী চরিত্রকে নিজেদের মধ্যে যথাযথভাবে ধারণও করেছিলেন তারা। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে প্রধান চরিত্রে তাদের বেমানান উপস্থিতি। বিশেষ করে শাবনূরের স্থূল শরীর দর্শকের আবেগ নষ্ট করেছে। অন্যদিকে মৌসুমীর শারীরিক গঠন এখনো কিছুটা নায়িকা সুলভ হলেও প্রধান চরিত্রে তাকে মেনে নিতে পারেনি দর্শক।

তাই এ দুই নায়িকাকে চলচ্চিত্রটির ব্যবসায়িক ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেছেন প্রেক্ষাগৃহ মালিক-দর্শক এবং বুকিং এজেন্ট। চলচ্চিত্রটির ওপেনিং কালেকশন ছিল হতাশ করার মতো। একসঙ্গে দুজন প্রথম গ্রেডের শিল্পী থাকা সত্ত্বেও এর গড় ওপেনিং কালেকশন ছিল ৪৫ থেকে ৬০ ভাগ। কিন্তু চলচ্চিত্রের হিটের জন্য প্রদর্শক সমিতির হিসাব অনুযায়ী প্রয়োজন গড়ে সর্বনিম্ন ৭০ ভাগ ওপেনিং কালেকশন।

চলচ্চিত্রটি দেখতে আসা দর্শকদের কথায় দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ায় উৎসাহ নিয়ে তা দেখতে এসেছিলাম।

কিন্তু তাদের অভিনয় প্রাণহীন মনে হয়েছে। তাই হতাশ হয়েছি। বিশেষ করে প্রধান চরিত্র রূপায়ণে ব্যর্থ হয়েছেন উভয়ে। দর্শকের মতে তাদের এখন প্রধান চরিত্রের পরিবর্তে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করা উচিত। কারণ স্বাভাবিকভাবে নায়িকা বলতে যে চেহারা এবং দৈহিক অবয়ব সবার চোখে ভেসে ওঠে বয়সের কারণে প্রাকৃতিক নিয়মেই এখন তাদের মধ্যে সেই গ্লামার নেই।

সুতরাং গল্প বা নির্মাণ যতই সমৃদ্ধ হোক, এদের প্রধান চরিত্রের চলচ্চিত্র কোনোভাবেই দর্শক মনকে আলোড়িত করতে পারবে না। এর আগে শাবনূর অভিনীত 'ভালোবাসার সেন্ট মার্টিন' এবং 'আত্দগোপন' একই কারণে দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। একই সঙ্গে মৌসুমীর 'দেবদাস'ও ব্যর্থ হয়েছে।

মৌসুমী ও শাবনূর চলচ্চিত্রে এসেছিলেন ১৯৯৩ সালে। তাদের অভিনয় জীবনের বয়স এখন প্রায় ২০ বছরের কোঠায়।

তাদের অভিন্ন বক্তব্য হচ্ছে নায়িকা চরিত্রেই অভিনয় করে যেতে চান তারা। এজন্য মৌসুমী আগেই শরীরের মেদ ঝেড়ে দৃষ্টিনন্দন হওয়ার চেষ্টা করেছেন। আর শাবনূর দৈহিক সৌন্দর্য পুনরুদ্ধারে আগামী ছয় মাস অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দর্শক-নির্মাতার কথায়, দেখা যাক এতে তাদের শেষ রক্ষা হয় কিনা।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।