আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ডি ক্রুইফ

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিয়ে তিনি খুব আশাবাদী। রোববার এ দলটি ইরাক যাচ্ছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে অংশ নিতে। সাফ ব্যর্থতার পর এই যুব দলটিকেই কদিন ধরে ‘ভবিষ্যতের জাতীয় দল’ বলে আসছেন লোডভিক ডি ক্রুইফ। কাল বিকেলে ইরাকগামী দলের অনুশীলন শেষে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়েও এই প্রশংসা করলেন ডাচ কোচ।
কিন্তু দ্রুতই প্রসঙ্গের বদল হলো।

সাফ ব্যর্থতার তাজা ক্ষত এসে দাঁড়াল সামনে। যাতে ডি ক্রুইফেরও দায় দেখছে বাফুফের তদন্ত কমিটি। তবে সব অভিযোগ এক ফুৎকারেই উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের কোচ।
প্রসঙ্গটা সামনে আনতেই ডি ক্রুইফ ব্যক্ত করলেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া, ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি কী বলেছে আমি আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে শুনেছি। এ ধরনের কমিটির কথা পৃথিবীর কোথাও আমি শুনিনি।

রেনে (রেনে কোস্টার) আমাকে বলেছে, তদন্ত প্রতিবেদন নাকি বাফুফের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে। এটা ভালো হয়নি। কারণ, ব্যাপারটা সবাই ওয়েবসাইটে দেখে বিরূপ ধারণা পাবে। ওই কমিটি ব্যর্থতার কারণ বের করতে পারে, কিন্তু বিচার করা তো তাদের কাজ নয়। ’
ফিটনেস ট্রেনার ইয়ামালি মোহাম্মেতকে দলের ফিটনেসের বেহাল দশার জন্য দায়ী করে তাঁকে ছাঁটাই করার সুপারিশ করেছে কমিটি।

এটাও পছন্দ হয়নি ডি ক্রুইফের, ‘ইয়ামালি তার কাজ করেছে। চোটগ্রস্ত খেলোয়াড়েরা বরং দলের সঙ্গী হতে আমার কাছে অনেক আকুতি জানিয়েছে। মামুনুলের চোট গুরুতর ছিল না। সোহেল রানা আমাকে বলেছে, সে দেশের জন্য লড়াই করতে চায়। আরও অনেকেই এমনটা বলেছে।

কাজেই ফিটনেস ট্রেনারকে দায়ী করা ঠিক হয়নি। ’
খেলোয়াড়েরা চার ডাচের কোচিং উপভোগ করেছেন, দাবি ডি ক্রুইফের, ‘ওরা যদি আমাদের সঙ্গে কাজ করে খুশি না হয়, আমরা চলে যাব। তবে আমি জানি ওরা আমাদের সঙ্গ উপভোগই করেছে। ’ শেষটায় অবশ্য মানলেন যে কোচিং স্টাফেরই ওপরই ব্যর্থতার দায় বর্তায়, ‘হ্যাঁ, ব্যর্থতার দায় তো আমার কাঁধেই আসে প্রথমে। ’
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পরিবারকে আনতে দেশে যাওয়া, কাঠমান্ডু যেতে বিমানের ফ্লাইট মিস।

সাফের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকায় প্রীতি ম্যাচ খেলতে অনাগ্রহ ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে তদন্ত কমিটি জাতীয় দলের প্রতি ক্রুইফের ‘অবহেলা’ খুঁজে পেয়েছে। এবং তাঁকে সতর্ক করতে সুপারিশ করেছে বাফুফের নির্বাহী কমিটির কাছে। এসব শুনে একটু ক্ষুব্ধই দেখাল ডি ক্রুইফকে, ‘আমার জীবনে এমন নির্বোধ কথা কখনো শুনিনি। আমি এক শ ভাগেরও বেশি দিয়েছি। যারা এসব বলেছে, তাদের আপনারা বাকি জীবন সিরিয়াসলি নিতে পারবেন না।


তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলার আগে-পরে ডি ক্রুইফ বারবারই বলছিলেন, এই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে সম্ভাবনার দুয়ার খোলা। এই দলের কয়েকজনকে ইউরোপে ট্রায়ালে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে তাঁর। গ্রুপে ইরাক, কুয়েত, পাকিস্তানের সঙ্গে লড়ে পরবর্তী পর্বে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেটি প্রায় অসম্ভবই। তবে সেরা ছয়টি রানার্সআপ দলের একটি হওয়ার সুযোগ অন্তত তিনি দেখছেন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.