পানিতে নেমে কুমিরের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে স্বামীর প্রাণ বাঁচিয়েছেন আনসুরা বিবি।
মৃদঙ্গভাঙা নদীপাড়ের ছোট বনশ্যামনগর গ্রামের মত্স্যজীবী হাসিবুল শেখকেই সাক্ষাত্ মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে এনেছেন তার স্ত্রী ৷ কুমিরের পিঠে চেপে তার মাথায় বাঁশ দিয়ে মেরে, চোখ গেলে স্বামীকে ছিনিয়ে এনেছেন তার দাঁতের ফাঁক থেকে৷
গুরুতর জখম হাসিবুল এখন ভর্তি পাথরপ্রতিমা ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে৷ আনসুরা অবশ্য সুস্থ৷ দিকে দিকে ছড়িয়েছে তার সাহসের কথা!
হাসিবুল শেখ রোজকার মতো বেরিয়েছিলেন মৃদঙ্গভাঙায় মাছ ধরতে৷ পাড়ের কাছে জালের এক প্রান্ত হাতে ধরে দাঁড়িয়েছিলেন বছর ছাব্বিশের আনসুরা৷ আচমকা মাঝ নদীতে সাক্ষাত্ যমদূতের আক্রমণ৷ কুমির চেপে ধরল হাসিবুলের বাঁ পা৷ পাড় থেকে ততক্ষণে আনসুরার নজর পড়ে মাঝনদীতে৷ স্বামী যে কুমিরের পেটে যাওয়ার উপক্রম! হতভম্ব হয়ে যান তিনি৷ অগ্রপশ্চাত্ না ভেবে বাঁধ থেকে বাঁশ খুলে নিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন আনসুরা৷ সাঁতার দিয়ে মাঝনদীতে পেৌঁছে ঘা কয়েক বসিয়ে দিলেন কুমিরের পিঠে৷ সুযোগে আনসুরা এক লাফে চেপে বসলেন কুমিরের পিঠে৷ তারপর পড়তে লাগল কুমিরের পিঠে অবিরাম লাঠির বাড়ি৷ তখনও হাসিবুলকে ছাড়েনি কুমির৷ শেষ চষ্টোয় আনসুরা বাঁশ ঢুকিয়ে দিলেন কুমিরের চোখে৷হাসিবুলকে ছেড়ে লেজের এক ঝাপটে আনসুরাকে জলে ফেলে সাঁতার দিয়ে পালায় কুমির।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।