আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের গরীব মানুষগুলো তাকিয়ে আছে কুরবাণীর দিকে - এসময়ই তারা কিছু গোস্ত খেতে পায় !

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি

বাংলাদেশ পৃথিবীর ৭ম বৃহত্তম গরুর দেশ। বিশ্বে মোট গরু সংখ্যা ১.৪ বিলিয়ন, আর আমাদের আছে ২৫ মিলিয়ন। কিন্তু মাথা পিছু গোস্ত ভক্ষনের তালিকায় আমাদের অবস্থান সর্বপশ্চাতে। ২০০২ সালের ফাও ডাটা অনুযায়ী মাথা পিছু গোস্ত ভক্ষনের বাৎসরিক পরিমান- আমেরিকা ১৯৭০ সালে ১০৫.৯ কেজি, ২০০২ সালে বেড়ে দাড়ায় ১২৪.৮ কেজি। ইংল্যান্ড ১৯৭০ সালে ৭৩ কেজি ও ২০০২ সালে ৭৯.৬, ভারত ৩.৬ ও ৫.২, পাকিস্তান ৭.৫ ও ১২.৩, মালেশিয়া ১৫.৫ ও ৫০.৯, চীন ৯ ও ৫২.৪।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নিরামিষাসী দেশ ভারত, যার প্রায় ৩৫ তেকে ৪০ শতাংশ মানুষ ভেজিটেরিয়ান, সেদেশেও মাথা পিছু গোস্ত ভক্ষনের পরিমান ৫.২। ব্যতিক্রম একমাত্র বাংলাদেশ ১৯৭০ সালে ৩.৭ কেজি ২০০২ সালে তা কমে দাড়ায় ৩.১ কেজি । বর্তমান বিশ্বে মাথা পিছু গোস্ত ভক্ষনের গড় ৪২ কেজি। মুসলিম অধ্যুষিত দেশ গুলোতে গড় ভক্ষণ ২৫ থেকে ৩০ কেজি। আর আমাদের ৩.১ কেজি।

আমাদের মত কিংবা তারচেয়েও কম গোস্ত ভক্ষন করে পৃথিবীতে একটি মাত্র দেশ ভূটান; জনপ্রতি বাৎসরিক ৩ কেজি কিন্তু ভূটানেও ভেজিটারিয়ানের সংখ্যা অনেক। সেই হিসেবে বিশ্বে এই বাঙালির পাতেই সবচেয়ে কম গোস্ত জোটে। সবার পাতই ক্রমস্ফীত আর আমাদেরই উল্টো এবং যথারীতি প্রান্তপাত। যে দেশের মানুষ বছরে গড়ে ৩ কেজি গোস খায়, তার গরীব জনতা যে সারা বছর গোস পায় না তা বলাই বাহুল্য ! কুরবাণীর সময় -ই বেচার গরীবরা কিছু গোস পায় !

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.