আজো ডানা ভাঙ্গা একটি শালিক হৃদয়ের দাবি রাখে..।
আমার দাদী ছিলেন অদ্ভুত এক মানুষ। ছিলেন জ্ঞানী এবং ধার্মীক। অসংখ্য কবিতা তাঁর মুখস্ত ছিল। "সোনার তরী" কবিতাটি প্রথম দাদীর মুখেই শুনি।
মজার মজার অনেক ছড়া তিনি নাতি-নাতনিদের শুনাতেন। সবাই একসাথে গ্রামের বাড়িতে গেলে তাঁর চেহারার যে ঔজ্জ্বল্য দেখতাম, তা আজো মনে পড়ে।
সবার সেই "বু'জান" আজ আর আমাদের ছড়া-কবিতা শুনান না। আজ আর তাঁর "আদরের বিড়ম্বনা" সইতে হয় না। হঠাৎ খুব মনে পড়ছে দাদীর কথা।
আর মনে পড়ছে তাঁর দু'টি ছড়ার কথা। পড়ে দেখুন, ভালো লাগতেও পারে।
#পেটুক গিরীশ
পেটুক গিরিশ পেটুক গিরীশ,
যাচ্ছো কোথায় ধেয়ে?
যাচ্ছি আমি ওদিকখানে
ভোজের গন্ধ পেয়ে।
পেটুক গিরীশ পেটুক গিরীশ,
তোমার পেটটি ক্যানে মোটা?
কলা খেয়েছি কাঁদি কাঁদি
কাঁঠাল খেয়েছি গোটা।
পেটুক গিরীশ পেটুক গিরীশ,
কি কি খেতে রুচি?
গরম গরম রসের গোল্লা,
নরম নরম লুচি।
পেটুক গিরীশ পেটুক গিরীশ,
লেখা পড়া জানো?
অত সত বুঝিনাক
খাবার থাকলে আনো।
পেটুক গিরীশ পেটুক গিরীশ,
মরণ তোমার নাই?
তুই মর, তোর গুষ্ঠি মরুক,
তোর মুখে পড়ুক ছাই।
#সাত আহাম্মক
আহাম্মক নম্বার এক,
যে ভদ্রলোকের কথায় ধরে ঠ্যাক।
আহাম্মক নম্বর দুই,
যে ঘর ছাই না ধরে টুই*।
আহাম্মক নম্বর তিন,
যে ছোটলোকের লগে করে ঋণ।
আহাম্মক নম্বর চাইর,
যে ঘরের কথা করে বাইর।
আহাম্মক নম্বর পাঁচ,
যে সীমাত লাগায় গাছ।
আহাম্মক নম্বর ছয়,
যে নিজের কথা অন্যের কাছে কয়।
আহাম্মক নম্বর সাতের কথা বলব কি,
যে বাড়ির কাছে বিয়া দেয় ঝি।
*টুই= টুয়া।
ঘরের দুই চালের মাঝখানের ফাঁক বন্ধ করার জন্য ত্রিভুজাকৃতির চাল। পংক্তির অর্থ হচ্ছে, যে পুরো ঘর তৈরি করে ফেলেছে অথচ টুয়াই দেয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।