ঘুম থেকে জেগে দেখি মৃত্যু শিয়রে গুনছে প্রহর......
[অ্যাপালেচিয়ান ট্রেইলের প্যানারমিক ভিউ - সামনে কাটাওবা উদ্যান]
---প্রথম পর্ব---
এর আগের পর্বে আমরা অ্যাপালেচিয়ান ট্রেইলটা ঘুরে দেখার প্ল্যান করেছি। এই পর্বে আমরা ট্রেইল ধরে চলতে শুরু করব।
[আপনি যদি দক্ষিনের পর্বতমালা দিয়ে শুরু করেন তাহলে দেখতে পাবেন ট্রেইলটি শুরু হয়েছে জর্জিয়ার 'স্প্রিংয়ের' পর্বতের একেবারে মাথা থেকে]
[আর সবচেয়ে কাছের গাড়ীর রাস্তাটি ১০ মাইল দুরে। ]
[স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দলও আসবে আপনাকে হাঁটা শুরু করিয়ে দিতে। আর কিছু না হোক, আপনি AT ট্রেইল ধরে হাঁটতে যাচ্ছেন।
]
[ইনি হচ্ছেন চাঁদ কিনসে। ৩৩ বছর বয়স্ক নেটওয়ার্ক এডমিনিসট্রেটর। ইনি আজকে হাইকিং শুরু করেছেন। সেকশন হাইকার। ৫/৭ দিন হাঁটবেন আমাদের সাথে।
এরপর বাড়িতে ফিরে যাবেন। ]
[কয়েকদিন হাঁটার পর মোটামুটি ১৫% হাইকারদেরকে গামছার সাথে আজীবন-ভাব করতে দেখা যায়। কেউ কোমরে বেঁধে রাখে, কেউ মাথায় বেঁধে রাখে, কেউবা গলায় ঝুলিয়ে রাখে। একটা কারন হতে পারে - কিছুক্ষন পর পর ঘামের শরীর মুছতে হয়। ]
[হাইকারদের তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ার বড় একটা কারন হল তাদের ফুললি লোডেড ব্যাগগুলো।
]
[২ দিন পরে পথিমধ্যে একটি সরাইখানা পাবেন। এখানে অধিকাংশ হাইকাররা তাদের কয়েক পাউন্ড জিনিসপত্র ফেলে যান। ]
[এই যেমন ধরুন, অতিরিক্ত খাবার, তাবু, পানির বোতল। পানির বোতল হয় এরা পুরোপুরি ফেলে দেয় নয়তো স্টোর থেকে আরেকটু কম ওজনের বোতলের সাথে বিনিময় করে নেয়। অনেক উচ্চাভিলাষী হাইকারদেরকে বই নিয়ে আসতেও দেখা গেছে।
ওরা ভেবেছিল রাতের বেলা শুয়ে শুয়ে পড়বে। অথচ ওদের দিন শেষ হয় প্রচন্ড ক্লান্তি নিয়ে। ]
[এক হিসেবে দেখা গেছে, স্টোরগুলো প্রতিবছর প্রায় ৪.৫ টন জিনিসপত্র বাসায় বাসায় মেইল করে পাঠায়। অর্থাৎ জনপ্রতি ৪.৫ পাউন্ড!!!]
[কথা বলতে বলতে আমরা ২৮ মাইল পথ পাড় করে এসেছি। চাঁদ কিনসে সাহেব আর কিছুদুর গিয়ে ফিরতি পথ ধরবেন।
]
[আসার পথে আমরা অত্যন্ত পুরনো একটি হাইকিং শেল্টার পেয়েছিলাম। ১৯৩৪ সালে এরকম আরও ২৫০ টিরও বেশি হাইকিং শেল্টার তৈরী করা হয়েছিল। কাঠের মেঝের এই বাড়িতে আপনি ইচ্ছে করলে রাতটা কাটিয়ে যেতে পারবেন। ]
[আমরা এখন দাড়িয়ে আছি 'ব্লাড' পর্বতের চুড়ায়। এই চুড়াটি এই ট্রেইলের জর্জিয়ান সেকশনের সর্বোচ্চ চুড়া।
কিনসে সাহেব এখান থেকেই বিদায় নিবেন। ]
[কিন্তু আমরা সামুর অ্যাডভেন্চার প্রেমী 'থ্রু-হাইকার'রা দক্ষিনের বাকী পর্বতমালার দিকে রওয়ানা দিব কিছুক্ষনের মধ্যেই। ]
[ক্রমশ...]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।