ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের মোল্লারহাট বাজার সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর তীর দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের মহোৎসব চলছে। দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা নির্মান চললেও দেখার কেউ নেই। আর এই দখল প্রক্রিয়ার সঙ্গে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট জড়িত থাকায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
আজ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারের দক্ষিন পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ধলেশ্বরী নদী। নদীর সীমানা ঠিক রাখতে মোল্লারহাট বাজার থেকে নতুন বক্তারচর পর্যন্ত তীর ঘেষে নির্মিত হয় একটি পাকা সড়ক।
কিন্তু সড়ক ঘেষে নদীর তীর ভরাট করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বেশ কিছু স্থাপনা নির্মান করেছেন। ভরাট করা জায়গায় মুদি দোকান, ছোট ছোট ঝাপড়া ঘর, স’মিল গড়ে তোলা হয়েছে। স’মিলের হাজারো গাছ ও কাঠ নদীতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। এভাবে দিন দিন দখলের কারনে নদীটির প্রস্থ কমে আসছে।
রাসেল টিম্বার এন্ড স’মিল এর পাশেই নদীর তীরের প্রায় ১৫ শতাংশ জায়গা বালু দিয়ে নতুন করে ভরাট করা হয়েছে।
জানা যায়, স্থানীয় নুর হোসেন, নাজু, আয়নাল, জহির ও রিয়াজুল ইসলাম ভরাটের সঙ্গে জড়িত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারি জায়গা দখল করেনি। এই জমি আমাদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে মৌখিকভাবে নিষেধ করা হলেও তারা শুনছে না।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাল বা নদী ভরাট দন্ডনীয় অপরাধ।
কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।