প্রথম দিন খেলা শেষ হওয়ার পর নাসির হোসেন উইকেট নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে রাজ্জাকেরও একই অনুভূতি।
সংবাদ সম্মেলনে হতাশ কণ্ঠে তিনি বলেন, “পিচ আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। অবশ্য এই পিচে রান হচ্ছে। ওদের মতো আমরাও বড় সংগ্রহ গড়তে পারলে হয়তো কোনো অভিযোগ থাকবে না।
আর অভিযোগ করাও হয়তো ঠিক হবে না। সব সময় তো মন মতো সব কিছু হয় না। ”
‘১১ নম্বর ব্যাটসম্যানকে আউট করতেও কি উইকেটের সহায়তা প্রয়োজন?’ এমন প্রশ্নের জবাবে রাজ্জাক বলেন, “আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। কিন্তু আজ ওদের শেষ উইকেট জুটি খুবই ভালো খেলেছে।
”
এরপর নিউ জিল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান ট্রেন্ট বোল্টের প্রশংসা করে রাজ্জাক বলেন, “প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স বেশ ভালো। সে আসলে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান নয়। তাছাড়া আজ সে মারার কোনো চেষ্টাই করেনি, শুধু ডিফেন্স করেছে। প্রথম দিকে তো ব্যাটের কানায় লেগে রান পেয়েছে। প্রথম ড্রাইভ খেলেছে ২৭ রান করার পর।
আজ সে কোনো ঝুঁকিই নেয় নি। ”
“এই উইকেটে সেট হওয়ার পর কোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করা ভীষণ কঠিন। টার্ন এতো কম যে সোজা ব্যাটে খেললে উইকেট নেয়া কঠিন। তাছাড়া উপমহাদেশের চেয়ে বোধহয় ওদের (নিউ জিল্যান্ড) টেল এন্ডারদের মাথা বেশি ঠাণ্ডা,” যোগ করেন তিনি।
বিজে ওয়াটলিংয়ের শতক অতিথিদের স্কোর ৪৬৯ পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
অথচ ব্যক্তিগত ৬ রানে রুবেল হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়েও ‘নো’ বলের কারণে বেঁচে যান তিনি।
এ নিয়ে কোনো আফসোস আছে কি না জানতে চাইলে দার্শনিকসুলভ ভঙ্গিতে রাজ্জাক বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য যে বলটা ‘নো’ ছিল। ওয়াটলিং শতক না করলে হয়তো ওদের রান এতো বেশি হতো না। আবার হতেও পারতো। হয়তো দেখা যেত ওর পরে যে নেমেছে সে বড় ইনিংস খেলেছে।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।