আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজধানীর দৃশ্যমান সব প্রকল্প বিএনপির: খোকা

শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ঢাকার যানজট নিরসনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সরকার-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) এটি বাংলাদেশের প্রথম প্রকল্প।
“আমাদের সরকারের আমলে প্রকল্প প্রণয়ন, দরপত্র আহবান, নকশা প্রণয়ন ও অর্থায়নসহ এই প্রকল্পের ৪০ ভাগ কাজ শেষ করা হয়েছিল। বর্তমান সরকার এই প্রকল্পকে দলীয়করণ করেছে। অসামপ্ত এই প্রকল্পের আজ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি তাদের কৃতিত্ব।


বিএনপির সহসভপতি ও ঢাকার সাবেক মেয়র খোকা বলেন, “রাজধানীতে যতো সব দৃশ্যমান প্রকল্প দেখা যায় তার শতভাগ দাবিদার বিএনপি। যারা এসব স্বীকার করতে চায় না তারাই আমাদের সরকারের সময়ের প্রকল্প হাইজ্যাক করে ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উদ্বোধন করছেন। আমরা এহেন মিথ্যাচারের নিন্দা জানাই। ”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকালে গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন। ২০১০ সালের ২২ জুন তিনিই ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকার এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।


সাদেক হোসেন খোকা বলেন,  “২০০৬ সালের ৪ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী  খালেদা জিয়া যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আমাদের সময়ে এই বৃহৎ প্রকল্পের ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়ার ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক তুলে ফেলে লোপাট করে দিয়েছে। ”
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় এ ফ্লাইওভারের সঙ্গে আশপাশের প্রধান সড়ক ও বাস টার্মিনালের সংযোগ রাখা হয়েছে। চার লেনের এই উড়াল সড়কে প্রবেশের জন্য ছয়টি এবং বের হওয়ার জন্য সাতটি পথ রয়েছে।


এই ফ্লাইওভার নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে সন্ধ্যায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সাদেক হোসেন খোকা বলেন, “ঢাকায় বিএনপি সরকারের আমলে নেয়া সব প্রকল্পকে সরকার নিজেদের কৃতিত্ব বলে দাবি করছে। এটা অন্তঃসারশূন্য। ”
“কুড়িল ফ্লাইওভার প্রকল্প আমাদের সময়ে বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২০০৬ সালে ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে দিয়ে জিয়া কলোনি থেকে পল্লবী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প ও খিলগাঁওয়ের মুগদায় পাঁচশ’ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন খালেদা জিয়া।

২০০৪ সালে হাতিরঝিল প্রকল্পটিও আমাদের সরকারের আমলে নেয়া হয়েছিল। এখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করে নিজের সরকারের উন্নয়ন বলে দাবি করছেন। এটা ঠিক নয়। ”
তিনি বলেন, “যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার প্রকল্পের কাজ আমরা শুরু করে এসেছি। ৪০ ভাগ কাজ আমরা শেষ করে এসেছি।

এরপর রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে বর্তমান সরকার এই প্রকল্পের কাজ করেছে। এখনো প্রকল্পের ৩০ ভাগ কাজ অসমাপ্ত রেখেই আজ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। ”
ঢাকায় রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, দৃশ্যমান সব বড় প্রকল্প, রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধনসহ সব কর্মকাণ্ড বিএনপির কৃতিত্ব বলে দাবি করেন সাবেক মেয়র খোকা।
তিনি বলেন, শান্তিনগর-মগবাজার-তেগগাঁও  যে ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয়েছে সেই প্রকল্পটিও বিএনপির আমলে শুরু হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের কি কোনো প্রকল্প নেই-প্রশ্ন করা হলে এই বিএনপি নেতা বলেন,  “সত্যি কথা বলতে কি, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সরকারের শেষ সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভার প্রকল্পটি তাদের আমলে শুরু হয়েছিল।

আমরা এসে এই প্রকল্পটি শেষ করেছি। ”
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক বলেন, “আমাদের সরকারের আমলে যাত্রাবাড়ী প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬২৭ কোটি টাকা। এটি বাড়িয়ে এখন করা হয়েছে ২১শ কোটি টাকা। পিপিপিতে এতো ব্যয়ে প্রকল্পের নজির নেই। আমি মনে করি, কেনো ব্যয় এতো বৃদ্ধি করা হলো- তার অনুসন্ধান করে দেখা উচিৎ।


সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, যুগ্ম আহবায়ক কাজী আবুল বাশার, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।