আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাইলিনের আগে ঝড়ো হাওয়া-বর্ষণ উড়িষ্যায়

গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ  উড়িষ্যা  উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর দুই ঘণ্টা পর ঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
ঘণ্টায় ২১০ থেকে ২২০ কিলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে এই ‘সাইক্লোন’ এগিয়ে আসলেও উপকূলে আঘাত হানার সময় ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটারে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে সাড়ে তিন মিটার উঁচু জোয়ার এবং উপকূলীয় এলাকায় ৩০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার সাগরের পানিতে প্লাবিত হতে পারে। ঝড়ে এক কোটি ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশের পাঁচ  লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হাওড়া-বিশাখাপত্তম রুটে ৫৬টি ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে। গতিপথ পাল্টে অন্যদিকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় ডজনখানেক ট্রেন। রোববারও ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, পাইলিনের প্রভাবে শনিবার বিকাল ৩টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা উড়িষ্যার কিছু এলাকায় অতি ভারী বর্ষণসহ পুরো প্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকায় ভারী বর্ষণ হতে পারে।

ভারী বর্ষণ হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায়ও।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি এড়াতে উড়িষ্যার উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে চার লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, যার মধ্যে শুধু গঞ্জাম থেকেই নেয়া হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার মানুষ। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এক লাখের বেশি মানুষকে।
ঝড় পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ রেখে বিমানবাহিনীকে ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে।


ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির মুখে থাকা উড়িষ্যার গঞ্জাম, জগৎসিংপুর ও খোরদায় রিজার্ভ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে উড়িষ্যার পুরী ও অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম ঘূর্ণিঝড় পাইলিনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে আছে। এই পাঁচ জেলায় ২৩টি সাইক্লোন সেন্টার ও একশ’টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।