টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক কৃতিত্বের অনন্য তালিকায় প্রথম বাংলাদেশের নামটি খোদাই করেছিলেন অলক কাপালি। আজ থেকে ১০ বছর আগে ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে। পাকিস্তানের বিপক্ষে পেশোয়ারে সেদিন লেগস্পিনের বিষে অলক গড়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হ্যাটট্রিকের কীর্তি। আজ ১০ বছর পর সোহাগ গাজীর নামটিও যোগ হলো সেই তালিকায়। টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক-ক্লাবের গর্বিত তালিকায় দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে যুক্ত হলো তাঁর নাম।
সোহাগের হ্যাটট্রিক টেলিভিশনে দেখেছেন অলক। সোহাগের সেঞ্চুরি কিংবা হ্যাটট্রিক—কোনোটিই অবাক করেনি জাতীয় দলের এক সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারকে। সোহাগের খেলার সঙ্গে পরিচিতি আছে বলেই হয়তো অলকের কণ্ঠে বিস্ময় নেই, ‘ওকে তো অভিনন্দিত করতেই হয়। আসলে সোহাগ যে মানের ক্রিকেটার, তাতে সেঞ্চুরি কিংবা হ্যাটট্রিক, কোনোটিই আমাকে খুব একটা অবাক করেনি। ও ভালো ব্যাটিং করে, সেঞ্চুরি পেয়েছে।
সে এখনো পর্যন্ত আমার দেখা বাংলাদেশের সেরা অফস্পিনার। তাই সে হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছে, ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিকই মনে হয়েছে আমার কাছে। ’
সোহাগের হ্যাটট্রিকের দিনে পেশোয়ারের মাঠে ১০ বছর আগে করা নিজের হ্যাটট্রিকটি খুব করেই মনে পড়ছে অলকের, ‘কী বলব, হ্যাটট্রিক তো দারুণ এক ব্যাপার। পরপর তিন বলে উইকেট নেওয়াটা যেকোনো ক্রিকেটারের কাছেই স্বপ্নের মতো। ’
পেশোয়ারে নিজের হ্যাটট্রিকটির চেয়ে সোহাগের হ্যাটট্রিককেই এগিয়ে রাখতে চান অলক, ‘আমি দুই-তিন ওভার বল করেই হ্যাটট্রিকটি পেয়ে গিয়েছিলাম।
খুব যে ভালো বল করেছিলাম তা-ও নয়। ভাগ্য আমার সহায় ছিল। কিন্তু আজ সোহাগ টানা দারুণ বল করে, নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলেই হ্যাটট্রিকটি তুলে নিয়েছে। এসব ব্যাপারে তুলনা হয় না, তবে আমি সোহাগের হ্যাটট্রিকটিই এগিয়ে রাখব। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।