দাতিয়া শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের এ মন্দিরে রোববার সকালে দুর্গা পূজা উপলক্ষে জড়ো হয় প্রায় ৫ লাখ মানুষ।
পূণ্যার্থীরা মন্দিরটির কাছে সিন্ধু নদীর ওপর এটি সেতু পার হওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে পড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে হুড়োহুড়িতে পায়ের চাপায় হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
বেশির ভাগ মানুষই পায়ের চাপায় নিহত হয়েছে। আর কিছু মানুষ মারা গেছে সেতু থেকে লাফিয়ে পড়ে।
পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর দিলীপ বলেন, “এ মুহূর্তে আমরা ৬৪ জনের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি।
আর আহত ১শ’রও বেশি মানুষকে কাছাকাছি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ”
এনডিটিভি জানায়, মন্দিরে সমবেত মানুষের লম্বা লাইন ভাঙতে একদল লোক সেতু ভেঙে পড়ার গুজব রটায়। এতে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই ঘটনা ঘটে বলে কয়েকটি সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আবার অন্য কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ মানুষের ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করার কারণেও লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সেতুটিতে ওই সময় অন্তত ২৫ হাজার মানুষ ছিল বলে জানানো হয়েছে কয়েকটি প্রতিবেদনে।
আতঙ্কে পানিতে লাফিয়ে পড়া মানুষদের অনেকের হদিসই এখনো পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকাজ চলছে।
সকাল ৯ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটলেও মন্দিরটি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ার কারণে খবর দেরীতে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
৫শ’ মিটার দীর্ঘ ওই সেতুটিতে ২০০৭ সালে পদপিষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যুর আরেকটি ঘটনার পর সম্প্রতি এটি মেরামত করা হয়েছিল।
ভারতে ধর্মীয় উৎসবগুলোতে প্রায়ই পায়ের চাপায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে।
গত বছরও এরকম ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালে জোধপুরের চামুন্ডা দেবী হিন্দু মন্দিরে পদচাপায় ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।