আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গরুর হাটে একদিন : ল্যাঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড

দূর্বোধ্যতা নয়, প্রাঞ্জলতা বা সহজবোধ্যতাই হোক রচনার ধর্ম ।

গোবরে পদ্মফুল । ছোটবেলা থেকেই এই শব্দযুগল শুনে আসছি, সাধারণ দৃষ্টিতে দেখলে এর বাস্তব ভিত্তি এতদিন পাইনি । অবশেষে গতরাতে গরুর হাটে পেয়েছি । ভরপুর পশু দিয়ে সাজানো হাটে, যাতায়াতের রাস্তার প্রতিটা অংশ গোবরময় ।

হঠাৎ চোখ আটকে গেল অপরূপ সুন্দরি এক মেয়ের দিকে । আরে জ্বালা! কাজে ব্যাঘাত..!! এ যেমন তেমন ফেসবুক সুন্দরী নয় । বয়স চৌদ্দ/পনেরো হবে, তাকে লাগছিল ফুলের মতোই । কি নির্দোষ, মায়াবী চেহারা । সেখানে গোবর তো ছিলই, তাই মিলিয়ে নিলাম ‘গোবরে পদ্মফুল’ ।

আমাকে নিয়ে যাও । পশুর হাটে গেটের কাছেই মাইকে নানান কিছু বলা হচ্ছে । ‘মলম পার্টি চোখে মলম লাগিয়ে এক ব্যক্তির পঞ্চাশ হাজার নিয়ে গেছে, আপনারা সাবধানে থাকবেন। ’ এমন আরও অনেক কিছু । সব কিছু ছাপিয়ে একটা ঘোষণায় মনযোগ আটকে গেল ।

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোক বারবার বলছে, ‘রিফাত, মুন্না তোমরা আমি মাইকের এখানে দাড়ানো, আমাকে নিয়ে যাও । ’ মজাই লাগলো । ল্যাঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড । গরু হাটতেছে, কখনো রাগ করে দৌড়াচ্ছে । গাড়ি ঘোড়া, গরুর সম্মানে জায়গা করে দিতে লাগলো ।

হঠাৎ গরুর মূত্র বিসর্জন । আবার লেজ নেড়ে লেজে লেগে থাকা ময়লা ছিটিয়ে দিচ্ছে । চাছিলাম গরুর লেজটা এক জায়গায় স্থির রাখতে । কিন্তু গরু কি আর আমার ইচ্ছের মূল্যায়ন করে! আকার ইঙ্গিতে যেন জানান দিল, ‘ল্যাঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড!’

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।