অন্ধ বিশ্বাস নয় বরং যুক্তিতে বিশ্বস্ত
**যোগফল**
জীবনে কী সফল হয়েছি?
মিটেছেকি সব সাধ?
জানিনা -
আর মেলাতেও পারিনা ধাধাময় প্রশ্নের উত্তরটা!
ছোটবেলায় বছরে একদিন মাত্র ভাবতাম আমি খুব
সুখী!
যেদিন একটা নতুন শার্ট কিংবা প্যান্ট পেতাম।
তারপর -
সারাবছর সেই ইংলিশ প্যান্ট আর রংচটা শার্টটা ,
কোঁকড়া হয়ে উপরে উঠতো!
ভাবতাম কাপড় গুলো এত বেরসিক কেন!
ঈদে বাবা সেগুলোই লন্ডী করে এনে দিত ;
বলতেন -"পোশাক নয় নামাজটাই আসল "
আমি জল চোখে চেয়ে থাকতম,
চেয়ে দেখতাম পাশের দালান ঘেরা বাড়ীর
ছেলে মেয়েদের,
রংবেরংয়ের পোষাক পড়ে ঘুরছে!
আমায় দেখে ভুরু কুচকে একটা হাসি দিত,
যেন আমি ঈদের চাঁদের তিল!
আমি অপমানে লজ্জায় লাল হয়ে যেতাম।
রাতে ওবড়ী থেকে রকমারী খাবারের
সুগন্ধি ভেসে আসতো,
আমি বুক ভরে সেই ঘ্রাণ নিতাম,
যেন অনেক ক্ষণ দম আটকে থাকার পরে কেউ!
ওরা মাংসের হাড় চুষতো, আর আমি........!
কত আত্মনাদ করেছি, কত কেঁদেছি,
মায়ের কোলে মুখ লুকিয়ে কেঁদেছি,
বাবার অসহায় চোখ দেখে কেঁদেছি,
ক্ষুধার জ্বালায় পেট চিপে কেঁদেছি,
শীতের রাতে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে কেঁদেছি,
জীবনে অনেক কেঁদেছি!
তারপর কেউ একজন আমার জীবনে এলো, আর আমায় বড়
হবার মন্ত্র দীক্ষা দিল!
সেই থেকেই শুরু ......
তারপর শুধু সিঁড়ি বেয়ে উপড়েই উঠেছি,
অনেক উপরে ......
এত উপরে যে এখন মাটিতে হেটে বেড়ানো মানুষদের
দেখতেই পারিনা,
অনেক উপরে ......
এত উপরে যে এখন স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারিনা!
ঘাড় নিঁচু করে হাটতে হয়!
কারণ ঘাড় উঁচু করলেই মাথায় আকাশ ঠেকে!
তারপরও জীবনের এই বেলা শেষে
মাঝে মধ্যে হা -হুতাশ করি!
যদি আরও একটু উপরে ওঠা যেত,
যদি আমার পায়ের নিচে আকাশ থাকতো!
তাহলে হয়তো আকাশেই শেষ
শয্যাটা পাততে পারতাম!
কিন্তু হায় ভাগ্যের বিড়াম্বনা....
শেষ শয্যার জন্য আবার আমায় ফিরতে হবে,
নামতে হবে শেষ সিঁড়ি অবধি,
যা দিয়ে আমায় সৃষ্টি করা হয়েছিল!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।