আমি তোমাদের গান গাই
না এটা গ্রামিন ফোনের কোন বিজ্ঞাপন নয়,শুধু কথায় নয় কাজেও প্রমান দিলেন এই অনন্ত জলিল। যাকে নিয়ে সত্যিই কত তামাসার ঝড় উঠেছিল সামাজিক মাধ্যমগুলাতে। । আলিম আল রাজির লিখা এই অনন্ত ভাইয়ের প্রতি ভালবাসা আর কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ । রাজির সাথে সুর মিলিয়ে আমিও বলতে চাই সেলুট তোমায় ভাই,যাহা তুমি করেছ তার সত্যিই কোন উপমা নাই।
মানুষগুলো এমন হবে এটাই তো মানুষের রুপ। সমাজের কত বিত্ত্যবানই তো আছে,যাদের অর্থ ব্যয়ের কোন মাত্রা নাই। কত প্রান অকালেই ঝরে যায় ওই অর্থহীনতায়।
অনন্ত জলীল কেবল চলচ্চিত্রের নায়ক নন বাস্তবেও নায়ক ...
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া তারকাকে আমরা কখনো মানুষের পাশে দাড়াতে দেখিনা। তিনি শ্যুটিং নিয়েই ব্যাস্ত থাকেন।
আমাদের নেত্রী ২০০ কোটি টাকা দিয়ে মৃত্যু কেনাবেচা করেন। সদ্য পাখনা গজানো সেলিব্রেটি কন্যা ভিক্ষুকদের ছবি দিয়ে ফেইসবুকে জোক্স করেন। আরেক প্লাস্টিক কন্যা রানা প্লাজার নিচে হাজার মানুষকে রেখে ইমরান হাশমী টাইমস পালন করেন।
মিছিলের বাইরে দাঁড়িয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে যান একজন। তিনি এম এ জলীল অনন্ত।
স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে। কিছুটা একঘুয়েমী নিয়েই চেষ্টা করে যান বাংলাদেশের সিনেমাকে আন্তর্যাতিক অংগনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।
সিনেমার বাইরেও তিনি আরেক নায়ক। নিজের টাকায় এতিমখানা চালান, বৃদ্ধাশ্রম চালান তিনি। অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের জন্য সবার আগে কেঁদে উঠে তার মন।
তিনি আনোয়ার হোসেনের পাশে দাঁড়ান।
ফেইসবুকে কিছু ছেলেমেয়ে যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত আমাদের ভাই আনহাফকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করে তখন সেই চিৎকার গিয়ে পৌছায় অনন্ত জলীলের কানে। তিনি ছুটে আসেন আনহাফের কাছে, আনহাফকে বাঁচাতে।
আর কারো কানে গিয়ে পৌছায়না সে চিৎকার। রুপালী পর্দার মানুষগুলো পর্দার ওপাশেই থেকে যান।
এ পাশে আর আসেন না।
প্রিয় অনন্ত জলীল,
আপনাকে অনেকবার পঁচানোর চেষ্টা করেছি। কখনো অজ্ঞানে, কখনো সজ্ঞানে।
সেই ধৃষ্ঠতার পূনরাবৃতি না করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এখন থেকে।
ভালো থাকুন।
শ্রদ্ধা ….. ! ! !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।