এখানে সিন্ডিকেটবাজদের পাত্তা দেয়া হয় না
নিত্যিদিনের ব্যবহৃত বিএমডব্লু থেকে নামেন স্যুটেড বুটেড সানগ্লাসড জলিল ভাই। নেমেই তার চোখ পড়ে ১ সুন্দরীর ওপর। সুন্দরীর পিছু পিছু তাড়াতাড়ি ১ই লিফটে ঢুকে পড়েন তিনি। সানগ্লাস খোলেন না, কারণ চেহারায় অবুঝ নিষ্পাপ ভাব ফুটিয়ে রেখে ওর ভেতর দিয়ে সুন্দরীর দিকে চেয়ে থাকা যায়। মেয়েটিও স্বপ্নের নায়ককে সামনে দেখে আবেগে উদ্বেলিত হোয়ে ওঠে, পারলে জলিল ভাইয়ের গায়ে পড়ে আর কী।
তা অশোভন হবে দেখে আফসোসে সুন্দরী হাত ঝাড়াতে থাকে। জলিল ভাই কিন্তু স্মিতহাস্যে চশমার আড়াল থেকে সবই খেয়াল করেন। লিফট থেকে নেমে গেলেও জলিল ভাই মেয়েটির ওপর নজর রাখেন। আর তাই ত মেয়েটির মোবাইল ব্যালেন্স শেষ হওয়া মাত্র তিনি 'অসম্ভবকে সম্ভব' করে তাকে মুগ্ধ কোরে দিতে হাজির।
গ্রামীণফোন থেকে ৫টাকা ঋণ (যা অবশ্যই পরিশোধ্য) এনে দেন, তবে তখন মোবাইল ঝাড়া দিয়ে ব্যাপারটাতে ১টা জাদুর আমেজ আনেন।
বিএমডব্লুর মালিক স্যুটেড বুটেড গ্লাসড মহানায়ক মোবাইলে ৫টাকা এনেছেন- এই পর্বতের মূষিক প্রসবে মেয়েটি যারপরনাই মুগ্ধ হয়। বলে ওঠে- এ ত অসম্ভব!
৫টাকার বিনিময়ে ঐ ডায়লগ শুনে জলিল ভাই নিজেই বিব্রত অনুভব করেন, ভাবেন- বেশি হোয়ে গেল না? মেয়েটির কথার মান রাখতে তাই আচমকা লাফ দিয়ে ১০মি. দূরের ছাদে গিয়ে পড়েন আর পা দেখিয়ে গোটা দশেক নিষ্পাপ (ছাদে ফাইট প্র্যাকটিস করা কী পাপ?) লোককে ছাদ থেকে ফেলে দেন।
এতেও অসম্ভব সম্ভব হয় নি ভেবে জলিল ভাই পায়ের বদলে হাতের আঙুল দিয়ে ধোঁয়া বের করে অসম্ভবকে সম্ভব করেন।
(জলিল ভাইয়ের এডটি আমার প্রিয়। এডটি যতই দেখি ততই কেন মজা বেড়ে যায় তা বিশ্লেষণ কত্তে গিয়ে উপরিউক্ত লুক্বায়িত মজাগুলো বেরিয়ে এল)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।