মেডিকেল এডমিশন এক্সাম দেয়ার সময়কার কাহিনী। এক্সাম দিতে বসছি বেঞ্চির মাঝখানে। আমার দুপাশে দু সিট খালি। কিছু মুহুর্ত পরেই এক কমলা সুন্দরী আমার পাশে বসল। বারবার তার দিকেই তাকাই থাকতে মুঞ্চাইতেছে।
বুক ধুরু ধুরু লগে মনও।
একটু পর আরেক সুন্দরী লালবানু লগে আইয়া বসছে। লও ঠেলা, কিসের পরীক্ষা? কোনদিকে তাকাইলে চান্স পাইতে পারি সেই টার্গেট ঠিক করতেছিলাম। কমলা নাকি লাল? আমার এক ফাজিল পেয়ারের দোস্ত কখন যে আমার ক...লমটা বেঞ্জি থেইক্কা তার পকেটে ঢুকাই নিছিলো টেরই পাই নাইক্কা। তাকাই আছি ত আছি-ই।
এক সময় স্যার আইস্যা প্রশ্নপত্র দিল। উত্তর দেয়ার সময় দেহি আমার কলম নাই। কলম খুজাখুজি করতেছি এমন সময় কমলা বানুর মনে দয়া হইছে আমাকে একটা কলম ধার দিলো। কলম পাইয়া নিজের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পারি নাই। রকেট গতিতে গোল্লা ভরাট করতেছিলাম।
মাইয়া দেহি বারবার আমার দিকে তাকায়, এই অবস্থা দেইখা আমার হাত হইয়া গেল বিদ্দুত। ২০মিনিটে পরীক্ষা শেষ। বাকী সময় কমলা বানুর কলম চাবাইছি।
বাইর হইছি এমন সময় দেহি মাইয়া নিজেই আমার দিকে আগাইয়া আইতাছে। আমার ত খুশিতে মন উপরের দিকে লাফাইতেছে।
আইসা মুচকি হাসি দিয়া কইলো এক্সাম কেমন হইছে? খুব ভালো না? আমিও মুচকি হাসির বদলি ৩২ দাত বাইর কইরা কইলাম, সব ত আন্দাজি মারছি।
তখন কমলা বানু কইল অহ আচ্ছা- আমার কলম কই?
ইশ! কামড়াইয়া কি বিশ্রী অবস্থা!
আমি: সরি
কমলা বানু: তুমি কি ইস্টুডেন্ট?
আমি: কোন সন্দেহ? একলগে না এক্সাম দিলাম?
কমলা বানু: পরীক্ষা দিতে আসছো নাকি চেহারা দেখাইতে আসছো? কলম নাই, ক্যালকুলেটর নাই। যত্তসব পাগলের কারখানা।
আমি ত পুরাই হতাশ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।