সমস্ত প্রাগ কথন,,অনির্ধারিত কিছু শব্দ..
ক্যামেরা ফল, অন, কাঠবোর্ড বেজে উঠল,
তারপর কি ভয়ংকর ডাটাবেজ এ্যকশান;
আমি মেকাপ মাখা হাতে আটকে আছি,
বৃষ্টি পরছে চুল ধরে, এঁকে বেঁকে কাদা মাটিতে
কস্টিউম শ্যাত শ্যাতে, আইভ্র বুঝি গলেই গেল।
অদুরে দাঁড়ায় ছায়া মুর্তি, গুলিয়ে ফেলে
বজ্রাঘাতে নিউমেরিক অংক দানার মতন।
কৈশরের সন্যাস যাপন প্রথম অবগাহন;তখন থেকে
জলস্নাত কীটের মত গুনেই যাচ্ছি গুনেই যাচ্ছি।
বলতে পার বর্জুয়াদের হাতে কত গুলো ঝর্না আছে?
তপ্ত মরু চিরে বৃষ্টি চুইয়ে পরে একটা দুটো,
তারপর গুটি গুটি করে উপস্থিত আর;
অতপর সুটি মেরে ঝুটি বেঁধে আসে তারা বাসে,
প্রগল্ভা নারীর মত ঝাপ দেয় কল্পিত শহরে ।
কি হবে কি হবে হবে কি শেষ দৃশ্যে,
কি ভয়ংকর এই সব কি বলছে গর্ধব?
বৃষ্টি বুঝি সেদিন এলোই অনেক বৃষ্টি,
পবিত্র হল বজ্জুয়ার নষ্ট পঁচা বেডসিট..............
.......................জাঙ্গুলী.........................
শরীর তখনো জেগেছিল, জেগেছিল তালতলায়,
দেবী তখনও প্রতিক্ষারত অন্ধকার বুঝি এই এল;
এই এল সন্ধ্যা মালতী বিদারিত পুজোর ফুলে,
পুজো সে তো মূর্তির কাছে আপেক্ষিক আয়োজন;
মগরুর রামচন্দ্র মচ্ছবে দিয়েছিল নিজের চোখ;
নজ্জুম নই তবুও দিতে চাই আজন্ম পাপবিদ্ধ জীবন,
দিতে চাই সেখানে যেখানে পতিতার মাটিও থাকে পবিত্র,
আমার অপবিত্র দেহে এখনও কিছু আছে পবিত্র কাশফুল;
ওহে শরৎ দেখে যাও ঝাউবনে আমার কর্মফল,
যেখানে আমি দেবীকে দেবী করে পুজো করেছি,
শহস্র নদীকে পবিত্র করেছি বার বার হাজার বার,
শুদ্ধির আড়ালে লেপ্টে দেইনি ব্যাবসায়ীক সম্পর্ক।
আমাকে নাও আমার প্রান নাও, ছিন্ন কর তোমার মন্দিরে,
একবার নয়, বছর বছর নয়, পুজিতে হবে তুমি প্রতি মুহুর্তে
আমাকে মৃত্যু দাও হে দেবী অথবা পুর্ণ কর পুন্য কর শেষ বার.....
..............অঘোরনাথের স্বর্ণলতা...........
সে গেছে সে গেছে জঠরে অস্টমীর পুত্র লাথ মারে
লাথমারে, অঘোরনাথ শোনে পশ্চিমা বাতাসে;
বাতাসে তখনও মদ আর স্বর্ণলতার গন্ধ আহা;
আহা সহদররা ঘুমিয়ে সংগোপিত পুজোর থালায়।
প্রেমতলাটা বিষাদ ম্যাচ বক্সে,
রাত প্রহরের গাঙে উজান ভাসে,
পেঁজা তুলোর মেঘে ভাসান দেয় অমাবশ্যায়
তখন দেখিনি বুঝেছি রঞ্জন জল উস্ন হল
উড়ে গেল তাদের কাছে যেখানে তাদের অধ্যায়।
চিলে কোঠার চোধারে ইটপাথরের রেলিঙ্গে,
আধো আধো অন্ধকারে অঘোরনাথ হিসেব খোঁজে;
সে হয়তো পুরুষ নয়, হয়তো পুরুষ নয়, হয়তো নয়;
পুরুষরা সব আষ্টেপৃষ্টে রুদ্ধ দ্রবে
হিসেব কসে চোরাবালির বসন্ত বাতাসে।
পুরুষ হলে সেও চাইতো নাকফুল রমনী,
ব্যাস্ত থাকতো কুমরো ফুলে সজনে ডাটায়,
রাতপ্রহরের পাশবালিশে আঁকতোনা স্বর্নলতার বিলবোর্ড ,
যদিও জানে সপ্তমীতে সে গেছে তার সাথে অনেক দূরে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।