ডিজিটাল বাংলাদেশ (www.digitalbangladesh.gov.bd) ব্লগ এডিটর
বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে যে সব সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ গ্রহন করেছে “ইউআইএসসি ব্লগ” সেটিরই একটি চমৎকার বহি:প্রকাশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের গড়ার লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে জেলা সমন্বয়ক, স্থানীয় সরকার কর্মকর্তা, ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র উদ্যোক্তা, এবং প্রশিক্ষক দের প্রশিক্ষণ দিয়েছে/দিচ্ছে। কিন্তু শুধু প্রশিক্ষণ দিলেই তো কাজ শেষ হলো না, এই প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা কি কি উদ্যোগ নিচ্ছে সেটির ফলোআপ করা সবচেয়ে জরুরী।
ইন্টারনেটের ব্যবহার, বিস্তৃতি, এবং ক্ষমতা সম্বন্ধে বলতে গিয়ে আমরা প্রায়ই “অফুরন্ত সম্ভাবনা” কথাটি উল্লেখ করে থাকি (সেটি হোক আর নাই হোক)। কিন্তু আমাদের অনেকেই এই অফুরন্ত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে সবসময় দুপা ফেলতে তেমন আগ্রহ বোধ তাও কিন্তু নয়।
সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে ইন্টারনেট যে কত কার্যকর একটি হাতিয়ার হতে পারে তার একটি প্রমাণ পেলাম গত সপ্তাহে ইউআইএসসি ব্লগে গিয়ে।
এই ব্লগে গিয়ে দেখতে পেলাম ডিজিটাল বাংলাদেশে তৈরির বিভিন্ন স্তরের কারিগরদের একসাথে একই সুতোয় গেঁথেছে ইউআইএসসি ব্লগ। এই ব্লগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সবাই লিখছেন নিয়মিত। চোখের পলকে তৈরি হয়ে যাচ্ছে হালনাগাদ করা নির্ভূল ডাটাবেজ। জানা যাচ্ছে সকল জেলা/ ইউনিয়নের প্রতি মুহূর্তের অগ্রগতির সংবাদ, চিত্র, ভিডিও।
কেউ বা দিচ্ছেন মজার মজার সব টিপস। কারো কারো কাব্য প্রতিভারও সন্ধান পাওয়া গেল এই ব্লগে এসে। তবে সবচেয়ে অবাক হয়েছি মাত্র একদিনে এই ব্লগের মাধ্যমে ডাটাবেজ তৈরির প্রক্রিয়া দেখে।
তাহলে খুলেই বলি, গত ২৩শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের একজন কনসালটেন্ট মানিক মাহমুদ গত ২৩শে আগস্ট,২০১০ তারিখে “আগামীকালের মধ্যেই একটা প্রশিক্ষক ডাটাবেজ বানাতে হবে” এই শিরোণামে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সাধারণ এই ধরণের ডাটাবেজ তৈরি বেশ সময়সাপেক্ষ।
এছাড়া ভূল হওয়ার আশংকা তো থাকেই। কিন্তু পোস্টটি দেয়ার দু’ঘন্টার মধ্যেই অভাবনীয় সাড়া পাড়া গেল। বাংলাদেশের সকল প্রান্ত থেকেই প্রশিক্ষকরা তাদের প্রশিক্ষণের শিডিউল এর সর্বশেষ তালিকা জানাতে লাগলেন। মনে হলো প্রশিক্ষকদের মধ্যে কে সবার আগে তার নিজ প্রশিক্ষণের তথ্য দিতে পারবেন সেটি জানানোর একটি প্রতিযোগিতা লেগেছে। অবশেষে নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে তৈরি হয়ে গেল একটি নির্ভূল প্রশিক্ষক ডাটাবেজ।
নির্ভূল বলার কারণ ইউআইএসসি ব্লগে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উদ্যোক্তা, স্থানীয় সরকার কর্মকর্তারা নিয়মিত লিখছেন তাই, একই তথ্য কয়েকবার ক্রসচেক করা হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তথ্যে কোন অসঙ্গতি থাকলে সেটি কেউ ধরিয়ে দিতে পারছেন (অবশ্য এটির প্রয়োজন হয়নি)।
অথচ একবার ভেবে দেখুন তো। ইন্টারনেটের এই শক্তিকে কাজে না লাগিয়ে যদি ম্যানুয়ালি এই কাজটি করার চেষ্টা করা হতো, তাহলে কত খরচ হতো অথবা কত সময় লাগতো? সে হিসেব আপনি করুন গিয়ে, আমি চললাম ইন্টারনেটের বিস্ময়জালে জড়াতে…
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।