মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। https://www.facebook.com/nana.bhai.5209
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর পক্ষে করা দুটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
আবেদন দুটি হল- নিজামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১১তম সাক্ষী শামসুল হক নান্নুকে পুনরায় জেরা (রিকল) এবং ইউটিউবে প্রকাশিত ও সংবাদ সম্মেলনে নান্নুর বক্তব্য যাচাইকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন সার্ভিসের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জন পি স্লেটারকে সাক্ষী হিসেবে সমন জারি।
বুধবার বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চেম্বারে বসে এ আবেদন খারিজ করেছে বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
এছাড়া অতিরিক্ত ডকুমেন্ট দাখিল বিষয়ে করা আবেদনের আংশিক খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত রবিবার আমরা দুটি আবেদন করেছিলাম। ট্রাইব্যুনাল আবেদন দুটি শুনানি না করে চেম্বারে বসেই খারিজ করে দিয়েছেন। ’
তিনি বলেন, ইউটিউবে প্রকাশিত বক্তব্য এবং সংবাদ সম্মেলন করে নান্নু যে বক্তব্য দিয়েছেন তা একই ব্যক্তির। এই দুই বক্তব্য যাচাই করে রিপোর্ট করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন সার্ভিসের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জন পি স্লেটার।
রিপোর্টে তিনি বলেছেন, ইউটিউবে প্রকাশিত বক্তব্য এবং সংবাদ সম্মেল রাখা বক্তব্য একই ব্যক্তির।
প্রসঙ্গত, নিজামীর বিরুদ্ধে সরকার ও প্রসিকিউশন জোরপূর্বক সাক্ষ্য নিয়েছে বিদেশি পত্রিকা দ্যা টেলিগ্রাফ ও ইউটিউবে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে গত ২২ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন সাক্ষী শামসুল হক নান্নু।
তিনি বলেন, ‘আমাকে জাড়িয়ে বিদেশি পত্রিকার যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ইউটিউবে প্রকাশিত বক্তব্য আমার নয়। ’
রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী আরো বলেন,’ আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন সংকটময়। হীন উদ্দেশ্য নিয়ে আমার সম্পর্কে এ সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।
’
আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জন পি স্লেটার ফ্রিকোন্সি যাচাই করে দেখেছেন ইউটিউবে প্রকাশিত নান্নুর বক্তব্য ৯৯ ভাগ সত্য। ’
প্রসঙ্গত, বৃটেনের ডেইলি টেলিগ্রাম পত্রিকায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল কাদের মোল্লা শীর্ষক এক সংবাদে আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষজ্ঞ টবি ক্যাডম্যানের বরাত দিয়ে অ্যাডভোকেট শামসুল হক নান্নুর বক্তব্য প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদে নান্নু বলেছেন, ‘এ মামলার সরকারপক্ষ ৪/৫ জন সাক্ষীর একটা সিন্ডিকেট তৈরি করলো। আমি সেই সাক্ষীদের একজন। আমাদের ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হলো।
সরকার আমাকে চার/পাঁচটা মামলার প্রধান আসামি করে জোর করে সাক্ষ্য নিয়েছে। ’
পত্রিকার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষীর হলে তিনি বলেন, যে আমাকে সাক্ষ্য দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, তুই সাক্ষী দিয়ে দে, আমি তোকে মুল্যায়ন করবো। ’
এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুতে সরাসরি আর্মি সংযুক্ত আছে। শেখ হাসিনার ডান হাত বলে খ্যাত লে. জেনারেল ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে মিলিটারির একটা ইন্টিলিজেন্স বিভাগ ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করছে।
নান্নু বলেন, ‘ইমরুল কায়েসকে পরবর্তী সেনাপ্রধান করা হবে। ছেলেটাই আমাকে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেছে। ’
সাক্ষী বলেন, ‘আমার ছেলে বিসিএস–এ এএসপি পদে চাকরি পেয়েছে। কিন্তু তাকে আউট করে দেয়া হয়েছে। তখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর সঙ্গে আমার একটা বোঝাপড়া হলো।
টুকু বলল, ‘তুমি মুক্তিযোদ্ধা। নিজামীর বিরুদ্ধে তোমাকে যেভাবে সাক্ষ্য দিতে বলি, তুমি ঠিক সেভাবে সাক্ষ্য দিবে। ’
টুকু বলেন, ‘তাহলে তোমার ছেলের চাকরি বহাল থাকবে। অন্যথায় পুলিশ ইনভেস্টিগশনে তোমার ছেলের নাম বাদ দেয়া হবে। ’
নান্নু বলেন, ‘এছাড়া আমার ছেলের বিরুদ্ধেও মামলা দেয়া হয়েছে যাতে কোনভাবেই চাকরিতে জয়েন করতে না পারে।
তখন আমি ছেলের চাকরির জন্য টুকুর কাছে স্যারেন্ডার করলাম। ’
টুকু বলল, ‘আমি তোমার ছেলেকে চাকরি দেব কিন্তু তোমাকে নিজামীর মামলার চাক্ষুস সাক্ষী হতে হবে। ’
‘এছাড়া আর্মির ডিজিএফআই প্রধান বলল, ‘সাক্ষ্য আপনাকে দিতেই হবে, ইচ্ছা হলেও দিতে হবে, অনিচ্ছায় হলেও দিতে হবে। কারণ সরকার আপনার ওপর ডিপেন্ড করছে। আর এভাবেই আমাকে নিজামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হলো’ যোগ করেন নান্নু।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘ওরা বলল ওরা আমাকে (নান্নু) পিক আপ করে নিয়ে যাবে, রিহার্সাল করাবে, যা বলবে তাই সাক্ষ্য দিতে হবে। অন্যথায় র্যা ব আমাকে নিখোঁজ করে ফেলবে। এছাড়া বলল, ‘যদি আমি তাদের শেখানোর বাইরে কোনো কথা বলি তারা আমাকে মামলায় জড়াবে এবং গ্রেপ্তার করবে। ’
নান্নু বলল, ‘এদের যা ভিউ দেখলাম, হাসিনার সঙ্গে কথা বলে, এরা যেকোন প্রকারে ক্ষমতায় আসবে, আর তাতে যদি বহু লোক ফেরে ফেলতে হয়, তাও ফেলবে। ’
নান্নুর ভাষ্যমতে, হিটলারের পঞ্চম বাহিনীর মত র্যা বের মধ্যে টুকুর একটা নিজস্ব বিশেষ বাহিনী আছে।
এরাই যখন ইচ্ছা, যাকে ইচ্ছা ধরে নিয়ে যায়।
নান্নু বলল, ‘এই শয়তানগুলোকে ভয় পাচ্ছি কেন জানেন? এরা মানুষ না। কথা না শুনলে এরা যে কাউকে মেরে ফেলতে পারে। ’
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।