"ডেইলি স্টার-এশিয়া ফাউন্ডেশন জরিপ, এই মুহুর্তে ভোট হলে বিএনপি ৫৫%, আওয়ামী লীগ পাবে ২৮%"
বিএনপি যদি ১৯৯৪ সালে আওয়ামীলীগের দাবির সাথে সাথে তত্বাবধায়কের দাবি মেনে নিত তবে ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন করতে হত না। যার ফলশ্রুতিতে পর জুন মাসের নির্বাচনে ১১৬ টা সিট পেয়ে বিরোধীদলে যেতে হত না।
২০০৫ সালে এসে কোন দরকার ছিল না আইন পরিবর্তন করে কে এম হাসানকে তত্বাবধাক সরকারের প্রধান হবার ব্যবস্হা করার। অথবা আইন করলেও আমেরিকার মত সেই আইন কার্যকর করতে হত পরবর্তী সরকার থেকে। তাহলে তা বিতর্কিত হত না।
যেহেতু আওয়ামীলীগ সরকারের করা প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের অধীনে নির্বাচনে জিটে বিএনপি ক্ষমতার এসেছিল তাহলে ভয়ের কি কারন ছিল?
কে এম হাসান না হয়ে অন্য কেউ হলেই কি বিএনপি সমর্থকদের ভোট আওয়ামীলীগের বক্সে ঢুকাতা পারত???
২০০৬ সালে আওয়ামীলীগের দাবি মত প্রথমেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজ কে সরিয়ে দিত তবে আওয়ামীলীগ হয়ত কে এম হাসনাকে মেনে নিলেও নিতে পারত তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে। এক গুয়েমির ফলাফল হলো পরবর্তী নির্বাচনে ৩৫ টা সিট। ধরে নিলাম বিএনপি এর কথা মত নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় নাই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে কি হত? বড়জোর আর ২০-৩০ টা সিট বাড়ত। এর বেশি কি কিছু হবার কথা ছিল???
গত কয়েক মাস থেকে দেখা যাচ্ছে যে প্রতিমাসে বিভিন্ন পত্রিকায় (যার বেশি ভাগই আওয়ামী মতাদর্শে পরিচালিত) নতুন যে নির্বাচনী জরিপ প্রকাশ হচ্ছে তাতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে ভোট দেবে এই রকম মানুষের সাংখ্যে কমে যাচ্ছে।
দৈনক প্রথম আলো ও আজকে ডেইলি স্টার-এশিয়া ফাউন্ডেশন পরিচালিত জরিপ দেখে মনে হচ্ছে আগামীতে আওয়ামীলীগ নামক রাজনৈতিক দলটির জন্য ২০০৮ সালে বিএনপি যে অবস্থা হয়েছিল তার চেয়ে বেশি শাস্তি অপেক্ষা করতেছে।
বিএনপি এর দেখানো পথেই হাটতেছে আওয়ামীলীগ। মওদুদ আহমেদের খারাপ বুদ্ধির প্রাশ্চিত করেছে জিয়া পরিবার ও তার দল।
কিন্তু ভয় পাই যখন ভাবি, হাসিনার পরিবারের কোন সদস্যই তো দেশের থাকে না: সবাই তো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের পাসপোর্ট ধারী। তাছাড়া, অতীত ইতিহাস বলে ক্ষমতার না থাকলে বা হরতাল ডেকে বিদেশে গিয়ে বসে থাকর একাধিক উদাহারন আছে শেখ হাসিনার।
তাই নিশ্চিত করেই বলা যায় যে শেখ হাসিনার এই এক গুয়েমির প্রাশ্চিত্ব করতে হবে আওয়ামীলীগ সমর্থক মানুষদের অন্তত আগামী নির্বাচনের পরের ৫ বছর।
যে হারে জনসমর্থন কমতেছে তাতে করে উপরের মুরগীটির অবস্হা হয় কি না সময়ে বলে দেবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।