আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২২ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত হবে মেট্রোরেল

রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের জন্য পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক সাহায্য ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর সরকারি অর্থায়ন পাঁচ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
সচিবালয়ে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে জাপান যে ৪০ কোটি ডলার দেবে বলেছিল, ওই অর্থের পুরোটাই দেশটি দেবে এখন মেট্রোরেল প্রকল্পে।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, ৯২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান ও বাংলাদেশের সাত প্রতিষ্ঠানকে আট বছরের জন্য প্রকল্পটির পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাপানের অর্থ পাওয়া গেলে ২০১৪ সালেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্পের (মেট্রোরেল) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোট ১৬টি স্টেশনসংবলিত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার।


মেট্রোরেলসহ মোট ১২টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে: সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মাণের জন্য জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস) চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের পরামর্শক সেবা ক্রয়, ১২ হাজার ৬০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি থেকে ওষুধ ক্রয়, নবীনগর-ডিইপিজেড-চন্দ্রা সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের এক ও দুই নম্বর প্যাকেজের ভ্যারিয়েশন, কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সড়কে গড়াই নদীর ওপর গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, তিউনিসিয়া থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানি, কিশোরগঞ্জে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ নির্মাণ, ৫০ হাজার টন গম আমদানি ইত্যাদি।
রাজনৈতিক প্রসঙ্গ: এটাই এই সরকারের শেষ ক্রয় কমিটির বৈঠক কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বলা যায় না। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। ’
প্রধানমন্ত্রী কি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, বলেছেন।

আর সরকারি কাজকর্ম তো চলছেই। ’ সর্বদলীয় সরকার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নির্বাচনের তারিখ থেকে ৪৫ দিন আগে হতে হবে। ’
চলমান হরতালে অর্থনীতির কী হবে—জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ট্রিকি ইস্যু। বিরোধীদলীয় নেত্রী আপসহীন। সুতরাং তাঁকে অনেক কিছুই রক্ষা করতে হয়।


অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। দলটির দ্বিতীয় দাবি হলো শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া। আর আমাদের প্রস্তাব হলো সর্বদলীয়। প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেনই, বিএনপি কোন কোন মন্ত্রণালয় চায়। ’
বিএনপির সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সমঝোতা হবে কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, ‘হবে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।