আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ঃসাইক্লিস্টদের স্বর্গরাজ্য

মুর্খদের সাথে তর্ক করতে ভাল্লাগেনা,মুর্খ দের এভয়েড করতে ভাল্লাগে

চট্টগ্রমা বিশ্ববিদ্যালয়। সবাই তো চিনেন এটা তাই না?অনেকে হয়তো এসেছেন বেড়াতে,নাহয় ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে। চবির সবচেয়ে বড় পরিচয় তার অসহ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এরপর আর বাদবাকী সব কিছু। আমি এই এলাকায় থাকি ১৯৯৬ সাল থেকে।

স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সবই এখানে আমার। এককথায় এইসব সৌন্দর্য দিয়া জীবন চলেনা। সৌন্দর্য সত্যিকার অর্থে অসহ্য লাগা শুরু করে। আধুনিক জীবনের অনেক প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এখানে অপ্রতুল। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে অন্যভাবে আবিষ্কার করি।

যার মূলত কারণ মারামারির জন্য ২মাস বন্ধ আর বয়স অনুসারে অনেক ধরনের(!!!) বুঝ আসা শুরু করে। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় যেসকল বাধ্য-বাধকতা ছিল সেগুলাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে দিন নাই রাত নাই পুরো ক্যাম্পাস এলাকা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গা সুন্দর জায়গা,বিভিন্ন আড্ডার জায়গা বের করা হয়ে গেল কাজ। আর রাতের বেলার ক্যাম্পাসটা অসাধারন লাগে। দিনের বেলায় যে জায়গা দিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ টাকা দিলেও যাইতে মন চায়না রাতের বেলা সেখানেই বইসা আছি। চাদের আলো আর রাতের অন্ধকার জায়গা গুলোকে পুরোই চেঞ্জ করে দেয়।

গত বছর সাইকেল চালানো স্টার্ট করলাম। আর এই বছর কিনলাম। দিনের আলোয় কমই চালিয়েছি। রাতেই পুরো ক্যাম্পাস রাউন্ড দেওয়াটা এখন রুটিন ওয়ার্ক। এই অসহ্য জায়গাটা কে সহনীয় করে তোলার পিছনে এই সাইকেল ভালোই অবদান রাখছে।

ধন্যবাদ আমার বেস্ট ফ্রেন্ডরে এই পোস্ট দেওয়ার মূল কারনে আসি। এই এলাকাটা বেসিক্যালি সন্ধ্যার পর থেকে হয়ে সাইক্লিস্টদের স্বর্গরাজ্য। রাস্তাঘাট মোটামুটি খালি হয়ে যায়। ৯টার পর থেকে একেবারেই খালি হয়ে যায়। আরামসে মজা করেই সাইকেল রাইডের উপর থাকা যায়।

পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় প্রচুর স্লোপস। অসাধারন সব লোকেশন। রাস্তাগুলাও চরম। রাস্তাগুলাও তেমন বিজি না। টায়ার্ড লাগলে কিছু দূর পরপর ই সুন্দর মতন বসার জায়গা পাবেন।

সিকিউরিটিও খারাপ না। আপুদের জন্য অবশ্য সব এলাকার কমন সমস্যা আছেই। দিনের আলোয় মেয়ে সাইকেল চালাচ্ছে দেখলে সবাই ৩৬০ডিগ্রী করে মাথা ঘুরাবেই। "ওবাজী চাছোনা মাই পুয়া ইবে পুয়াদের ডিল্লে ফেন্ট পড়ি সাইকেল চালার"[ওরে দেখ মেয়েটা ছেলেদের মতন প্যান্ট পরে সাইকেল চালাচ্ছে] । সন্ধ্যা পরে যাওয়ার পর থেকে অবশ্য এত খেয়াল কেউ করেনা।

যথেষ্টই সেফ & সাউন্ড এলাকা। আর সাইকেল মেরামত করার দোকান আছে ৪টা। এগুলোর ২টা আছে এক জায়গায় বাকী ২টা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় অবস্থিত। শেষ কথা হিসেবে বলি গিয়ার ওয়ালা সাইকেল থাকলে সুবিধা এইধরনের পাহাড়ি এলাকায়। নিচে কিছু ছবি দিলাম।

আপনাদের কারোর সাথে দেখা হয়ে যাওয়ার আশায় থাকলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.