আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কার হরতাল? বিএনপি নেত্রীর নাকি জামায়াত-শিবির নেত্রীর?



বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য এই যে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দু’টি দলের মধ্যে একটি বার বারই গণতন্ত্রের প্রশ্নে অন্য দলটির কাছে মার খেয়ে আসছে। এবারও সংলাপের দাবি জানিয়ে তা মেনে নিলেও একবার দিচ্ছে আল্টিমেটাম আরেকবার সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী ফোন করার পরও মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী হরতালকেই বেছে নিলেন, জনজীবনে ভয়ঙ্কর দুর্ভোগ সৃষ্টির জন্যÑ এ লাইন ক’টি আমার কথা নয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক-এ একজনের স্ট্যাটাস থেকে নিয়েছি। তিনি আরও লিখেছেন, নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার দুর্ভাগ্য যে, বেগম খালেদা জিয়ার মতো একজন তাঁর প্রতিপক্ষ, এ যেন শচীন টে-ুলকর বা ভিভ রিচার্ডের সামনে একজন নবীশ ক্রিকেটারকে দাঁড় করিয়ে দেয়া, এর ফলে এদেশের রাজনীতি ম্যাচুরিটি অর্জন করতে পারছে না, যেমনটি শচীন বা রিচার্ডের সঙ্গে আনাড়ি কোন বালকের খেলায় দেখতে পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আমরা যদি গত কয়েকদিনের ঘটনা-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে দেখি তাহলে দেখতে পাব, একপক্ষ বেশ স্বচ্ছতার সঙ্গে রাজনীতির মাঠে নিজেদের অবস্থানকে পরিষ্কার করতে চাইছে। আমার স্মরণ করতে পারি ৫ মে ২০১৩-র ঘটনাবলী, সংলাপ প্রস্তাব তখনও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু সে প্রস্তাবে কোন সাড়া না দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা হেফাজত নামের উগ্রবাদী একটি ধর্মশক্তির ওপর নির্ভর করে দিলেন ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, তাও কিসের? ক্ষমতা ছাড়ার। একটি নির্বাচিত সরকার, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সরকার ও তার প্রধানমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমতা ও দেশছাড়া করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হলো। সে রাতে মতিঝিলে কি হয়েছিল তা এখন আর নতুন করে বলার কিছুই নেই। কিন্তু হেফাজত এতটা উস্কানি পেত না যদি বেগম জিয়ার বক্তব্য একটু সংযত হত। তারপর আমরা দেখতে পাই যে, সংলাপের জন্য বিএনপি কি মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তারা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে চিঠি দিয়েও সংলাপের কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা এই নির্বাচিত সরকারকে অবৈধ ঘোষণা দিয়েছে। যদিও বেগম জিয়ার এই বক্তব্য সর্বত্রই নিন্দিত হয়েছে, এমনকি তার প্রিয়জনদের কাছেও। যাঁদের অবৈধ বলে ছুড়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে তাদের কাছেই আবার সংলাপের দাবি জানানোটাও যে অশোভন সেটি কে, কাকে বোঝাবে? তারপর বেগম জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি আলোচনার উদ্যোগ না নেয়া হয়, তাহলে তিনি ৬০ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা দিলেন। ৪৮ ঘণ্টা পেরুনোর আগেই প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে ফোন করলেন এবং গণভবনে দাওয়াত দিলেন আলোচনার জন্য।

দেশে-বিদেশে সর্বত্রই প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হলো। কিন্তু এই ফোনালাপের পরও বেগম জিয়া হরতাল প্রত্যাহার করলেন না। গত দু’দিনে সারা দেশে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে তার দায়িত্ব কি পুরোটাই তাহলে বেগম জিয়ার ওপর গিয়ে বর্তাচ্ছে না? সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ হলে এর দায়ভার নিয়ে বেগম জিয়াকে রাজনীতি ত্যাগ করতে হতো কিন্তু এদেশে হয়ত তা হবে না কিন্তু সত্যিই কি মানুষ সবকিছু ভুলে যাবে? আমার মনে হয় না। কারণ, আগেও অনেকবার লিখেছি, ১৯৯১ কি ২০০১ আর ২০০১৩ এক নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এদেশের মানুষও কিছুটা হলেও এগিয়েছে। কেন সময় বদলেছে এবং মানুষ কিভাবে এগিয়েছে সে বিষয়ে যাওয়ার আগে বিএনপি রাজনীতির দেউলিয়াত্ব নিয়ে আরও কিছু কথা বলতে চাই।

আওয়ামী লীগের জন্ম-ইতিহাস ও তার এগিয়ে চলার বৃত্তান্ত আমরা কমবেশি জানি। দলটিকে বার বারই অস্তিত্বের পরীক্ষা দিয়ে এগুতে হয়েছে এবং কেবল গণতান্ত্রিক-বিশ্বাসকে আগলে থাকায় দলটি এসব পরীক্ষায় শুধু উতরে গিয়েছে বললে ভুল হবে, বলতে হবে ভালভাবেই পাস করেছে। পাকিস্তানে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে সামরিক শাসনামলে এই দলটিকে কিভাবে নিজেদের ও গণতন্ত্রের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হয়েছে তা দীর্ঘ আলোচনার দাবি রাখে। কিন্তু একটি সাধারণ বাক্যে একথা বলা বোধ করি অত্যুক্তি হবে না যে, অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতির পরও আওয়ামী লীগ এই উপমহাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন দলগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে বাম রাজনৈতিক শক্তির জনপ্রিয়তা ও শক্তি আশা জাগানিয়া ছিল বলেই হয়ত অনেকেই মনে করেছিলেন, এদেশে আওয়ামী লীগ ও তার বিকল্প বা বিরোধী হিসেবে বামপন্থী রাজনীতি দাঁড়িয়ে থাকবে।

সন্দেহ নেই তেমনটি হলে এদেশের আজকে এ দূরবস্থা হতো না। কিন্তু তা না হলে এদেশে স্বাধীনতার পরে জন্ম নিয়েছে একটি অপ-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যা আসলে জন্মেছে সামরিক শাসনের ছত্রছায়ায়, পৃষ্ঠপোষকতায় ও অর্থায়নে। যে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী-বিরোধী, রাজাকার, মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী, ফড়ে ব্যবসায়ী, কালোবাজারি, দুর্নীতিবাজ ও পরিচয়হীন কিছু ব্যক্তি, যারা এই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে বিগত কয়েক দশকে এদেশে নিজেদের পরিচিত করেছে এবং গণতন্ত্রের প্রতি যতভাবে অশ্রদ্ধা দেখানো সম্ভব, তাই-ই দেখানোর সংস্কৃতি চালু করেছে। মজার ব্যাপার হলো এই প্ল্যাটফর্মে বামদের একটি অংশ গিয়ে জুটেছিল হালুয়া-রুটির ভাগ পেতে, যদিও একে একে তারা ছিট্কে পড়তে শুরু করেছে এর থেকে। কিন্তু দুঃখজনক সত্যি হচ্ছে, এই প্ল্যাটফর্ম দেশের রাজনীতিকে আজ এমন এক ভয়ঙ্কর অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছে যে, এর থেকে যেন কোনভাবেই পরিত্রাণের উপায় দেখা যাচ্ছে না।

অথচ ভোটের রাজনীতিতে এরা সংখ্যাগতভাবে কম নয়, মানুষ তাদের প্রতি আস্থাশীলও হতে চায় বটে। কিন্তু বার বারই মানুষ আশাহত হয় তাদের আচরণে ও কর্মকা-ে, যেমনটি হয়েছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। বিশেষ করে এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যখন স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির যুক্ত হয়ে গোটা দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ড শুরু করে, তখন আর মানুষের দাঁড়ানোর কোন জায়গা থাকে না। অনেকেই বিশ্বাস করেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি’র একার সরকার হাজার গুণ ভাল ছিল ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের চেয়ে। এখনও বিএনপি নামক এই প্ল্যাটফর্মটিকে জামায়াত-শিবিরের অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেক শুভবিবেকসম্পন্ন মানুষই ভীত।

এমনকি বিএনপি’র ভেতরেও এ নিয়ে চলছে ব্যাপক দ্বন্দ¦-বিভেদ। ইতোমধ্যেই এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা চলছে যে, বিএনপি এভাবে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে তাতে সাড়া দেয়ার পরও এরকম কঠোর অবস্থান নেয়ার মাধ্যমে কি পুরোপুরি জামায়াত-শিবিরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কি না? কে কাকে চালাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তো দীর্ঘদিনের। কিন্তু এই যে অচলাবস্থা এ দেশে চলছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর ফোনের পরও বিএনপি নেত্রীর হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী থেকে সরে না আসা কি শেষ পর্যন্ত বিএনপি’র রাজনৈতিক মৃত্যুই ডেকে আনে কি না তা নিয়েও তরুণদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনায় সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণও চোখে পড়ার মতো। কেউ কেউ এমনও বলছেন যে, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বাংলাদেশকে যতটুকু দেয়ার তা দিয়েছে, এখন বিএনপিকে প্রমাণ করতে হবে, এই দলটিরও বাংলাদেশকে বড় কিছু দেয়ার আছে এবং তারা দিতে আগ্রহী।

বিশেষ করে বিগত সময়ে এই দলটির নেতা বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী-পুত্র তারেক ও কোকো যেভাবে দেশকে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে দুর্নীতি দিয়ে এবং এখনও যেভাবে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে তাতে দলটির জন্য ভবিষ্যতে রাজনীতি করাটা খুব সহজ বলে মনে করার কোন কারণ নেই। সে ক্ষেত্রে অবিলম্বে বিএনপিকে জামায়াত-শিবিরের খপ্পর থেকে বেরিয়ে জনগণের রাজনীতি শুরু করা উচিত বলে সর্বত্রই আলোচনা শোনা যায়। অথচ তরুণ প্রজন্মের এই আকুতি শোনার কোন ইচ্ছেও দলটি দেখাচ্ছে বলে বোঝা যায় না বরং বেগম জিয়া ক্রমাগত বিএনপি নেত্রী থেকে জামায়াত-শিবিরের নেত্রী বলে নিজেকে প্রমাণের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। বিএনপি দলটি পরিচালিত হচ্ছে বাঁশের কেল্লা নামক শিবিরীয় ওয়েবসাইটের মনস্তত্ত্ব দিয়ে। সেখানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, দেশের তরুণ সমাজের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অন্যায় ও অন্যায্য, ধর্মান্ধ এবং উস্কানিমূলক প্রচারণা চালানো হয় সেসবই হয় বেগম জিয়া ও তাঁর আশপাশের নেতাদের মেঠো বক্তব্য।

উদাহরণ হিসেবে আমরা শাহবাগে তরুণ প্রজন্মের গণজাগরণের কথা বলতে পারি, বাঁশের কেল্লা থেকেই মূলত এদের নাস্তিক উপাধি দিয়ে তাদের হত্যার হুমকি দেয়া হয় এবং সেরকম হত্যাকা- ঘটানোও হয়। বেগম জিয়া ও তাঁর পারিষদবর্গও বাঁশের কেল্লাকে অনুসরণ করে এদেশের তরুণ চেতনার উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করেন। উদাহরণ আরও দেয়া যাবে, তবে তাতে কেবল নিবন্ধের কলেবরই বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আগেই উল্লেখ করেছি, মানুষ বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা অনেক বেশি সচেতন হয়েছে এবং এখন মোবাইল টেলিফোন ও ইন্টারনেটের যুগ, মানুষ মুহূর্তেই সত্য-মিথ্যের ফারাকটা ধরে ফেলতে পারে, চাইলেই। বেগম জিয়া ও তার বিএনপি নামক প্ল্যাটফরমটি আসলে সেই ফারাকের মধ্যেই পড়তে যাচ্ছেন বলে বলে মনে হচ্ছে।

আলোচনা, সংলাপ এবং একপক্ষের এগিয়ে আসা আরেক পক্ষের পিছিয়ে যাওয়া দিয়ে শুরু করেছিলাম, আবারও ফিরে আসি সেখানেই। সংলাপের আহ্বান সত্ত্বেও বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার হরতাল পালনের নেট ফলাফল কি? যে কোন সচেতন ব্যক্তিই নিজেকে এ প্রশ্ন করতে পারেন কিন্তু এই প্রশ্নটি নিঃসন্দেহে আরও কিছু প্রশ্নকে সামনে আনবে, যেমন : ১. এই হরতাল বেগম জিয়া ও তাঁর দলের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে এবং এর জন্য যে ক্ষতি হচ্ছে তার সম্পূর্ণটাই যাচ্ছে জনগণের জানমালের ওপর দিয়ে। ২. হরতাল পালনে বেগম জিয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করছেন জামায়াত-শিবিরের ওপর। জামায়াত-শিবির কেন বিএনপিকে সহায়তা করছে? কারণ বিএনপি’কে ক্ষমতায় আনতে পারলে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের মুক্ত করা যাবে। বেগম জিয়া ইতোমধ্যেই সে ঘোষণা দিয়েছেন।

৩. আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় কিছু পদক্ষেপগত ভুল ছাড়া এমন কোন অন্যায় করেনি যাতে তাদের নির্বাচন ছাড়া আর কোন অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা যেতে পারে, তাহলে জনগণের জীবনের মূল্যে কেন এই হরতাল? কেবল বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য? ৪. আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচিত ব্যক্তি ছাড়া কারও কাছে ক্ষমতা দেয়া যাবে না, বিএনপি বলছে, অনির্বাচিতদের দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কার দাবিটি বেশি যৌক্তিক? সংবিধান সংশোধন করে অনির্বাচিতদের দেশের দায়িত্ব দেয়া, নাকি সংবিধানের ভেতরে থেকেই নির্বাচিতদের মাধ্যমেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া? ৫. এই হরতাল কি বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার নাকি জামায়াত-শিবিরের বিএনপি শাখার মহিলা আমির বেগম জিয়ার হরতাল? প্রশ্ন আরও আছে কিন্তু এগুলোর উত্তর খুঁজব আমরা কার কাছে? ৫ নং প্রশ্নেই বলেছি যে, বেগম জিয়াকে আজকাল প্রকাশ্যেই তরুণ প্রজন্ম জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমির হিসেবে উল্লেখ করতে শুরু করেছে। ভয় হচ্ছে, এটা না সত্যিই সত্যিই হয়ে যায়। আমার বিশ্বাস, এই ৬০ ঘণ্টার হরতাল বিএনপি নামক প্ল্যাটফর্মটির মৃত্যু-পরবর্তী এপিটাফ লেখার সঙ্গে সঙ্গে বেগম জিয়ারও রাজনৈতিক মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করছে। দুঃখজনক সত্যি হলো, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য এর কোনটিই সুখকর হবে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.