গরিব মানুষকে ঋণের কিস্তির জ্বালা থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলে গঠন করা হচ্ছে ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’। বিশেষায়িত এই ব্যাংক গঠনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
‘একটি বাড়ি একটি খামার’ শীর্ষক প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়সেবা প্রদান এবং তাঁদের মধ্যে ঋণ বিতরণের জন্য ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। সদস্যদের সঞ্চয়, সরকারের বোনাস ও আবর্তক ঋণ মিলিয়ে প্রকল্পটির বর্তমান তহবিল এক হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।
বৈঠকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক গঠনের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কিছু যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, কোনোভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও কুচক্রীদের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের হাত থেকে রক্ষার জন্য আইন করে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মতো একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান দরকার। এই ব্যাংক স্থাপিত হলে অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও কিস্তির জ্বালা থেকে মুক্তি পাবে গরিব মানুষেরা।
অর্থমন্ত্রী জানান, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন, ২০১৩-এর খসড়া আগামী সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে (ভেটিং) মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদনের জন্য তা জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে ১৮ নভেম্বর।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক পল্লী সঞ্চয় ব্যাংককে অ-তফসিলি ব্যাংক হিসেবে এরই মধ্যে অনাপত্তিপত্র দিয়েছে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকারের পক্ষে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এই ব্যাংকের উদ্যোক্তা। এই ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা আর পরিশোধিত মূলধন হবে ২০০ কোটি টাকা। এই ব্যাংক বাণিজ্যিক ও ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এতে পরিচালক থাকবেন ১৫ জন—আটজন সরকারি ও সাতজন বেসরকারি। একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) থাকবেন, যাঁর বয়স হতে হবে ৬৫ বছরের মধ্যে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচনের বহু ধরনের কর্মসূচি থাকে। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এগুলোর বেশির ভাগই সফল হয় না। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ভালো উদ্দেশ্যে গঠন করে থাকলে সজাগ থাকতে হবে যে এটি যাতে ব্যর্থ না হয়। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।