মেহেরপুর গাংনীর হোগল বাড়ি গ্রামের খেদের আলীর ছেলে জামাল উদ্দীন আশা এনজিওর কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গাংনী থানা পুলিশ জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
কৃষক জামালের পরিবারের অভিযোগ, ক্ষেতের ফসল উত্পাদনের জন্য আশা এনজিও'র গাংনী উপজলোর মোহাম্মদপুর শাখা থেকে মাত্র ১৬ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন জামাল। কিন্তু ফসল ভালো না হওয়ায় তিনি আশা এনজিওর নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগস্থ সহযোগিতার আওতায় পুন তফসিল করতে বলেন। কিন্তু এনজিও কর্তৃপক্ষ এ দাবি নামেনে তাতে চাপদিলে গত ৬ মাসে তিনি ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকী টাকা আগামী রোববার পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু শাখা ব্যবস্থাপক আতিয়ার রহমান এ প্রতিশ্রুতি মানতে নারাজ।
তাই সমপ্রতি মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় মামলাটি দায়ের নথিভূক্ত হয়। গত ২৫ মে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারী করেন। গতকাল শেষরাতে মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
গাংনী থানার ওসি মাছুদুল আলম বলেন আদালতের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
আশা এনজিও মহাম্মদপুর শাখা ব্যবস্থাপক আতিয়ার রহমান জানান, ঋণ খেলাপি জামালকে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও আমাদের সাথে খারাম ব্যবহার করে তার এতবড় সাহস সে আমাদের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কথাও কর্ন পাত করেননি। আমরা বাধ্য হয়ে মটমুড়া ইউপি চেয়ার ম্যানের কাছে বিচার দিলে তিনি আমাদের মামলা করতে নির্দেশ দেন। তাই মামলা করা হয়েছে।
ক্ষতিগস্থ সহযোগিতার আওতায় পুন তফসিলের সুযোগ কেন দেওয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে।
মটমুড়া ইউপি চেয়ার ম্যান বলেন, এ বিষয়ে আমার সাথে এনজিও কর্তৃপক্ষ কোন বিচার নিয়ে আসেনি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।